Dhaka রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৬ বলে শিকার ৬ উইকেট

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৪৭:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
  • ২০১ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ক্রিকেটে ‘পারফেক্ট ওভার’ শব্দযুগলের সঙ্গে ক্রিকেটারদের পরিচয় নেই বললেই চলে। সবদিক থেকে একজন নিখুঁত বোলারও এক ওভারের প্রতিটি বলে উইকেট নেওয়ার কল্পনা করতে পারেন না। অথচ একজন স্কুলবালক এই বিরল কীর্তি গড়ে ফেলেছেন। নিউ জিল্যান্ডে এক স্কুল টুর্নামেন্টে পালমেরস্টোন নর্থ বয়েজ হাই স্কুলের ফার্স্ট একাদশের বোলার ম্যাট রোয়ে এই সাফল্য পেয়েছেন।

বুধবার (২২ মার্চ) নিউজিল্যান্ডের স্কুল ক্রিকেটে বিরল এই ঘটনা ঘটেছে। পালমারস্টোন নর্থ বয়েজ হাইস্কুলের বোলার ম্যাট রোয়ি’র ওই ওভারকে ক্রিকেটীয় পরিভাষায় বলা হচ্ছে ‘পারফেক্ট ওভার’।

রোটোরুয়া বয়েজ হাই স্কুলের বিপক্ষে এক ওভারে ছয় উইকেট নিয়েছেন ১৩ বছর বয়সী রোয়ে। নিউ জিল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্যাম্পে আমন্ত্রণ পেয়ে তিনি তার ছয় ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে পেয়েছেন ৯ উইকেট। নিজের পঞ্চম ওভারে অবিশ্বাস্য কীর্তির দেখা পান তিনি। রোয়ে বলেন, সত্যি বলতে এটা ছিল অদ্ভুত। একেবারে অবিশ্বাস্য।

টাউরাঙ্গায় সুপার এইট টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নেমেছিল নর্থ বয়েজ। প্রথম ওভারেই উইকেট নিয়ে ভালো শুরু এনে দেন রোয়ে। এরপর দলের নবম ওভারে আগুন ঝরে তার বলে।

তিনি বলেন, প্রথম দুয়েকটি বল ভালো মনে আছে। প্রথম বল স্নিক করে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ হলো। পরেরগুলো স্টাম্প বরাবর করে ছেড়ে দিলাম, চারটি ক্লিন বোল্ড এবং অন্যটি ছিল এলবিডব্লিউ।

হ্যাটট্রিকের পর ডাবল হ্যাটট্রিকে অনুভূতিটা কেমন ছিল? রোয়ের জবাব, ‘মনে হচ্ছিল, ওহ তাই নাকি, সত্যিই হয়ে গেলো।’ পঞ্চম উইকেটের পর?, ‘বিস্মিত। আমি সত্যিই অবাক হয়েছিলাম, কল্পনা করিনি এমন কিছু হবে।’ তারপর ষষ্ঠ উইকেট?, ‘একেবারেই বিশ্বাস হচ্ছিল না। ছেলেরা সবাই আমাকে ঘিরে ধরলো, সত্যি বলতে পাগলের মতো লাগছিল। আমার চেয়েও তারা অনেক বেশি আনন্দিত হয়েছিল।’

১০ উইকেট নেওয়ার কাছে ছিলেন রোয়ে। কিন্তু অন্য উইকেটটি পড়ে রানআউটের কারণে। ২৬ রানে গুটিয়ে যায় রোটোরুয়া, ২.১ ওভারে রান তাড়া করে ফেলে নর্থ বয়েজ।

এর আগে ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বালারাত ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের টুর্নামেন্টে এক ওভারে ৬ বলে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন অ্যালেড ক্যারি। সেই ওভারে দুটি ক্যাচ, একটি এলবিডব্লু ও বাকি তিন বলে বোল্ড আউট করেন ক্যারি।

তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক ওভারে কেউ ৬ কিংবা ৫ উইকেট নিতে পারেননি। টেস্ট ক্রিকেটে এক ওভারে ৪ উইকেট নেওয়ার নজির আছে। ১৯২৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েছিলেন ইংল্যান্ডের পেসার মরিস অ্যালম। তার সঙ্গে আছেন আরও পাঁচজন—ইংল্যান্ডের ক্রেন ক্রানস্টোন, ফ্রেড টিটমাস, ক্রিস ওল্ড, অ্যান্ড্রু ক্যাডিক ও পাকিস্তানের ওয়াসিম আকরাম। ১৯৯০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে এক ওভারে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন আকরাম। এছাড়া টি-টোয়েন্টিতেও রয়েছে এক ওভারে ৪ উইকেট নেওয়ার কীর্তি। লঙ্কান পেসার লাসিথ মালিঙ্গা ও আইরিশ কার্টিস ক্যাম্ফার এই কীর্তি গড়েন।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

৬ বলে শিকার ৬ উইকেট

প্রকাশের সময় : ০৩:৪৭:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ক্রিকেটে ‘পারফেক্ট ওভার’ শব্দযুগলের সঙ্গে ক্রিকেটারদের পরিচয় নেই বললেই চলে। সবদিক থেকে একজন নিখুঁত বোলারও এক ওভারের প্রতিটি বলে উইকেট নেওয়ার কল্পনা করতে পারেন না। অথচ একজন স্কুলবালক এই বিরল কীর্তি গড়ে ফেলেছেন। নিউ জিল্যান্ডে এক স্কুল টুর্নামেন্টে পালমেরস্টোন নর্থ বয়েজ হাই স্কুলের ফার্স্ট একাদশের বোলার ম্যাট রোয়ে এই সাফল্য পেয়েছেন।

বুধবার (২২ মার্চ) নিউজিল্যান্ডের স্কুল ক্রিকেটে বিরল এই ঘটনা ঘটেছে। পালমারস্টোন নর্থ বয়েজ হাইস্কুলের বোলার ম্যাট রোয়ি’র ওই ওভারকে ক্রিকেটীয় পরিভাষায় বলা হচ্ছে ‘পারফেক্ট ওভার’।

রোটোরুয়া বয়েজ হাই স্কুলের বিপক্ষে এক ওভারে ছয় উইকেট নিয়েছেন ১৩ বছর বয়সী রোয়ে। নিউ জিল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্যাম্পে আমন্ত্রণ পেয়ে তিনি তার ছয় ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে পেয়েছেন ৯ উইকেট। নিজের পঞ্চম ওভারে অবিশ্বাস্য কীর্তির দেখা পান তিনি। রোয়ে বলেন, সত্যি বলতে এটা ছিল অদ্ভুত। একেবারে অবিশ্বাস্য।

টাউরাঙ্গায় সুপার এইট টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নেমেছিল নর্থ বয়েজ। প্রথম ওভারেই উইকেট নিয়ে ভালো শুরু এনে দেন রোয়ে। এরপর দলের নবম ওভারে আগুন ঝরে তার বলে।

তিনি বলেন, প্রথম দুয়েকটি বল ভালো মনে আছে। প্রথম বল স্নিক করে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ হলো। পরেরগুলো স্টাম্প বরাবর করে ছেড়ে দিলাম, চারটি ক্লিন বোল্ড এবং অন্যটি ছিল এলবিডব্লিউ।

হ্যাটট্রিকের পর ডাবল হ্যাটট্রিকে অনুভূতিটা কেমন ছিল? রোয়ের জবাব, ‘মনে হচ্ছিল, ওহ তাই নাকি, সত্যিই হয়ে গেলো।’ পঞ্চম উইকেটের পর?, ‘বিস্মিত। আমি সত্যিই অবাক হয়েছিলাম, কল্পনা করিনি এমন কিছু হবে।’ তারপর ষষ্ঠ উইকেট?, ‘একেবারেই বিশ্বাস হচ্ছিল না। ছেলেরা সবাই আমাকে ঘিরে ধরলো, সত্যি বলতে পাগলের মতো লাগছিল। আমার চেয়েও তারা অনেক বেশি আনন্দিত হয়েছিল।’

১০ উইকেট নেওয়ার কাছে ছিলেন রোয়ে। কিন্তু অন্য উইকেটটি পড়ে রানআউটের কারণে। ২৬ রানে গুটিয়ে যায় রোটোরুয়া, ২.১ ওভারে রান তাড়া করে ফেলে নর্থ বয়েজ।

এর আগে ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বালারাত ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের টুর্নামেন্টে এক ওভারে ৬ বলে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন অ্যালেড ক্যারি। সেই ওভারে দুটি ক্যাচ, একটি এলবিডব্লু ও বাকি তিন বলে বোল্ড আউট করেন ক্যারি।

তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক ওভারে কেউ ৬ কিংবা ৫ উইকেট নিতে পারেননি। টেস্ট ক্রিকেটে এক ওভারে ৪ উইকেট নেওয়ার নজির আছে। ১৯২৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েছিলেন ইংল্যান্ডের পেসার মরিস অ্যালম। তার সঙ্গে আছেন আরও পাঁচজন—ইংল্যান্ডের ক্রেন ক্রানস্টোন, ফ্রেড টিটমাস, ক্রিস ওল্ড, অ্যান্ড্রু ক্যাডিক ও পাকিস্তানের ওয়াসিম আকরাম। ১৯৯০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে এক ওভারে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন আকরাম। এছাড়া টি-টোয়েন্টিতেও রয়েছে এক ওভারে ৪ উইকেট নেওয়ার কীর্তি। লঙ্কান পেসার লাসিথ মালিঙ্গা ও আইরিশ কার্টিস ক্যাম্ফার এই কীর্তি গড়েন।