Dhaka শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাঁদ দেখা যায়নি, রোজা শুরু শুক্রবার

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশের আকাশে বুধবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে মুসলমানদের সিয়াম সাধনার (রোজা) মাস রমজান শুরু হচ্ছে শুক্রবার (২৪ মার্চ)। মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) দিনগত রাতে পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

বুধবার (২২ মার্চ) বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে রোজা শুরুর তারিখ নির্ধারণে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে বৈঠক ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক বশিরুল আলম, বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি রুহুল আমিনসহ জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সদস্য ও বরেণ্য আলেমরা উপস্থিত ছিলেন।

ইফা জানায়, যেহেতু বুধবার চাঁদ দেখা যায়নি, সেহেতু বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) শাবান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। রমজান মাস গণনা শুরু হবে শুক্রবার (২৪ মার্চ) থেকে। সেক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার রাতে হবে প্রথম তারাবি, আর শেষ রাতে সেহেরি খাওয়া হবে।

বৈঠকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদপ্তর, মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান (স্পারসো) থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করা হয়।

এক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার রাতে এশার নামাজের পর তারাবি নামাজ শুরু হবে। রোজা রাখতে শেষ রাতে সাহরি খাবেন মুসলমানরা। ঢাকায় প্রথম দিন সাহরির শেষ সময় রাত ৪টা ৩৯ মিনিট। শুক্রবার প্রথম রোজার ইফতারের সময় ৬টা ১৪ মিনিট।
রমজান শুরুর জন্য চাঁদ দেখা আবশ্যক। কারণ, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা রমজানের চাঁদ দেখে রোজা রাখো এবং চাঁদ দেখে ইফতার করো। যদি আকাশ তোমাদের কাছে মেঘাচ্ছন্ন হয়, তবে তোমরা ৩০ দিন পূর্ণ করো। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১০৮১)

এছাড়া রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানের চাঁদ অনুসন্ধান করতে বলেছেন। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, লোকেরা রমজানের চাঁদ অনুসন্ধান করছিল, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জানালাম, আমি চাঁদ দেখেছি। তিনি রোজা রাখলেন এবং অন্যদের রোজা রাখার নির্দেশ দিলেন। (সুনানে আবি দাউদ)

ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে রমজান সংযম, আত্মশুদ্ধি এবং ত্যাগের মাস। রমজান রহমত (আল্লাহর অনুগ্রহ), মাগফিরাত (ক্ষমা) ও নাজাত (দোজখের আগুন থেকে মুক্তি)- এ তিন অংশে বিভক্ত। এ মাসে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, স্ত্রী-সহবাস ও যে কোনো ধরনের পাপ কাজ থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে রোজা পালন করেন মুসলমানরা।

এ মাসের শেষ অংশে রয়েছে হাজার মাসের এবাদতের চেয়েও উত্তম লাইলাতুল কদরের রাত। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, রমজান মাসে প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব আল্লাহ ৭০ গুণ বাড়িয়ে দেন। রমজান শেষে পালিত হয় মুসলমানদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর।

অন্যদিকে, পবিত্র কোরআন খতমের পূর্ণ সওয়াব থেকেও যাতে কেউ বঞ্চিত না হন সেজন্য রমজান মাসে খতমে তারাবি নামাজ পড়ার সময় সারা দেশের সব মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণ করার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

রমজান মাসের প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ৯ পারা এবং বাকি ২১ দিনে এক পারা করে ২১ পারা তিলাওয়াত করতে আহ্বান জানানো হয়েছে। এভাবে ২৬ রমজান দিনগত রাতে অর্থাৎ শবে কদরে পবিত্র কোরআন খতম করার অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

চাঁদ দেখা যায়নি, রোজা শুরু শুক্রবার

প্রকাশের সময় : ০৮:০৮:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশের আকাশে বুধবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে মুসলমানদের সিয়াম সাধনার (রোজা) মাস রমজান শুরু হচ্ছে শুক্রবার (২৪ মার্চ)। মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) দিনগত রাতে পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

বুধবার (২২ মার্চ) বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে রোজা শুরুর তারিখ নির্ধারণে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে বৈঠক ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক বশিরুল আলম, বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি রুহুল আমিনসহ জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সদস্য ও বরেণ্য আলেমরা উপস্থিত ছিলেন।

ইফা জানায়, যেহেতু বুধবার চাঁদ দেখা যায়নি, সেহেতু বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) শাবান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। রমজান মাস গণনা শুরু হবে শুক্রবার (২৪ মার্চ) থেকে। সেক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার রাতে হবে প্রথম তারাবি, আর শেষ রাতে সেহেরি খাওয়া হবে।

বৈঠকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদপ্তর, মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান (স্পারসো) থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করা হয়।

এক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার রাতে এশার নামাজের পর তারাবি নামাজ শুরু হবে। রোজা রাখতে শেষ রাতে সাহরি খাবেন মুসলমানরা। ঢাকায় প্রথম দিন সাহরির শেষ সময় রাত ৪টা ৩৯ মিনিট। শুক্রবার প্রথম রোজার ইফতারের সময় ৬টা ১৪ মিনিট।
রমজান শুরুর জন্য চাঁদ দেখা আবশ্যক। কারণ, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা রমজানের চাঁদ দেখে রোজা রাখো এবং চাঁদ দেখে ইফতার করো। যদি আকাশ তোমাদের কাছে মেঘাচ্ছন্ন হয়, তবে তোমরা ৩০ দিন পূর্ণ করো। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১০৮১)

এছাড়া রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানের চাঁদ অনুসন্ধান করতে বলেছেন। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, লোকেরা রমজানের চাঁদ অনুসন্ধান করছিল, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জানালাম, আমি চাঁদ দেখেছি। তিনি রোজা রাখলেন এবং অন্যদের রোজা রাখার নির্দেশ দিলেন। (সুনানে আবি দাউদ)

ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে রমজান সংযম, আত্মশুদ্ধি এবং ত্যাগের মাস। রমজান রহমত (আল্লাহর অনুগ্রহ), মাগফিরাত (ক্ষমা) ও নাজাত (দোজখের আগুন থেকে মুক্তি)- এ তিন অংশে বিভক্ত। এ মাসে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, স্ত্রী-সহবাস ও যে কোনো ধরনের পাপ কাজ থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে রোজা পালন করেন মুসলমানরা।

এ মাসের শেষ অংশে রয়েছে হাজার মাসের এবাদতের চেয়েও উত্তম লাইলাতুল কদরের রাত। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, রমজান মাসে প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব আল্লাহ ৭০ গুণ বাড়িয়ে দেন। রমজান শেষে পালিত হয় মুসলমানদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর।

অন্যদিকে, পবিত্র কোরআন খতমের পূর্ণ সওয়াব থেকেও যাতে কেউ বঞ্চিত না হন সেজন্য রমজান মাসে খতমে তারাবি নামাজ পড়ার সময় সারা দেশের সব মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণ করার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

রমজান মাসের প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ৯ পারা এবং বাকি ২১ দিনে এক পারা করে ২১ পারা তিলাওয়াত করতে আহ্বান জানানো হয়েছে। এভাবে ২৬ রমজান দিনগত রাতে অর্থাৎ শবে কদরে পবিত্র কোরআন খতম করার অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।