Dhaka শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আ.লীগ ক্ষমতায় এলে মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয় : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল। এ দল মানুষের পাশে থাকে। তাদের জন্য কাজ করে।আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেছে। আমাদের একটাই লক্ষ্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় কোনো মানুষ ঠিকানাবিহীন থাকবে না। আমরা চাই দেশের সবার ঘর-বাড়ি থাকবে।

বুধবার (২২ মার্চ) সকালে চতুর্থ ধাপে গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষকে ৩৯ হাজার ৩৬৫টি ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে স্বাগত বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা শুধু ঘর-বাড়িই যে তৈরি করে দিচ্ছি তা কিন্তু নয়, সেই সঙ্গে পানির ব্যবস্থা, সুপেয় পানি, বিদ্যুতের ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি। একটি উপজেলায়ও ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না। দুর্যোগে কেউ ভূমিহীন হলে তাকেও ঘর করে দেওয়া হবে। ঘর পেয়ে দুঃখী মানুষের মুখে হাসিই বড় পাওয়া। ভূমিহীন-গৃহহীনদের ঋণ দেওয়া হচ্ছে। তারা যে কাজ করতে চায় সে কাজ যেন তারা করতে পারে আমরা সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটা মানুষ ঘর পাবে, তার জীবন-জীবিকা হবে, কারও কাছে বোঝা হবে না, নিজের পায়ে দাঁড়াবে- সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

PM Sheikh Hasina

শেখ হাসিনা বলেন, ইতোমধ্যেই আমাদের এই পদক্ষেপের ফলে ১৫৯টি উপজেলা সম্পূর্ণ ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত হয়ে গেছে। এর আগে পঞ্চগড় ছাড়াও মাগুরা জেলার সব উপজেলাসহ ৫২টি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত করেছি। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশের একটি উপজেলাও বাকি থাকবে না।

জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, কেউ যদি ভূমিহীন বা গৃহহীন থাকে আপনার তার তালিকা করবেন। আমরা তাদেরও ঘর করে দেব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ের সময় বিএনপি সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। যেহেতু আমাদের সংগঠন সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে আছে, তাই আমি প্রথমে ফোন পাই। ঘূর্ণিঝড়ে চট্টগ্রাম, বিশেষ করে দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চল পুরোপুরি তছনছ হয়ে যায়। আওয়ামী লীগই প্রথম ছুটে গিয়েছিল মানুষের পাশে।

সরকারপ্রধান বলেন, সেই ঘূর্ণিঝড়ে লাখ লাখ মানুষ মারা যায়, আমরা নিজের চোখে দেখেছি। আমরা ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে দেখি মানুষ ও পশু-পাখির লাশ একসঙ্গে ভাসছে। আমরা সেখানে বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে মানুষের পাশে দাঁড়াই, তাদের সাহায্য করি এবং মরদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করি।

শেখ হাসিনা বলেন, তখনকার সংসদে আমরা বিষয়টা তুলে ধরলাম। তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খালেদা জিয়া। তিনি তখন ঘুমিয়ে ছিলেন, জানেন না কিছু। তখনকার তিন বাহিনীর প্রধান গলফ খেলছিলেন। ঘূর্ণিঝড়ে যে এত বড় ক্ষতি হয়ে গেছে, তা-ও তারা জানতেন না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমানবাহিনীর, নৌবাহিনীর সবকিছু চট্টগ্রামে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। সারা বাংলাদেশ তছনছ। একেবারে চট্টগ্রামসহ পুরো অঞ্চল। রাস্তাঘাট বন্ধ ছিল। তারপরও আমরা ছুটে গিয়েছিলাম, মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। সে সময় অনেক মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে কক্সবাজারে বস্তিতে থাকতো। আমরা তাদের পুনর্বাসন করেছি।
এদিন মাদারীপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, রাজশাহী, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি ১৫৯টি উপজেলাকেও ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা দেন। গেল বছর মাগুরা ও পঞ্চগড় জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঞ্চালনায় এতে গণভবনসহ বিভিন্ন প্রান্তে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, রাজনৈতিক নেতা ও সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা ও উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

আ.লীগ ক্ষমতায় এলে মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয় : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১২:০০:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল। এ দল মানুষের পাশে থাকে। তাদের জন্য কাজ করে।আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেছে। আমাদের একটাই লক্ষ্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় কোনো মানুষ ঠিকানাবিহীন থাকবে না। আমরা চাই দেশের সবার ঘর-বাড়ি থাকবে।

বুধবার (২২ মার্চ) সকালে চতুর্থ ধাপে গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষকে ৩৯ হাজার ৩৬৫টি ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে স্বাগত বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা শুধু ঘর-বাড়িই যে তৈরি করে দিচ্ছি তা কিন্তু নয়, সেই সঙ্গে পানির ব্যবস্থা, সুপেয় পানি, বিদ্যুতের ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি। একটি উপজেলায়ও ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না। দুর্যোগে কেউ ভূমিহীন হলে তাকেও ঘর করে দেওয়া হবে। ঘর পেয়ে দুঃখী মানুষের মুখে হাসিই বড় পাওয়া। ভূমিহীন-গৃহহীনদের ঋণ দেওয়া হচ্ছে। তারা যে কাজ করতে চায় সে কাজ যেন তারা করতে পারে আমরা সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটা মানুষ ঘর পাবে, তার জীবন-জীবিকা হবে, কারও কাছে বোঝা হবে না, নিজের পায়ে দাঁড়াবে- সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

PM Sheikh Hasina

শেখ হাসিনা বলেন, ইতোমধ্যেই আমাদের এই পদক্ষেপের ফলে ১৫৯টি উপজেলা সম্পূর্ণ ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত হয়ে গেছে। এর আগে পঞ্চগড় ছাড়াও মাগুরা জেলার সব উপজেলাসহ ৫২টি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত করেছি। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশের একটি উপজেলাও বাকি থাকবে না।

জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, কেউ যদি ভূমিহীন বা গৃহহীন থাকে আপনার তার তালিকা করবেন। আমরা তাদেরও ঘর করে দেব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ের সময় বিএনপি সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। যেহেতু আমাদের সংগঠন সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে আছে, তাই আমি প্রথমে ফোন পাই। ঘূর্ণিঝড়ে চট্টগ্রাম, বিশেষ করে দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চল পুরোপুরি তছনছ হয়ে যায়। আওয়ামী লীগই প্রথম ছুটে গিয়েছিল মানুষের পাশে।

সরকারপ্রধান বলেন, সেই ঘূর্ণিঝড়ে লাখ লাখ মানুষ মারা যায়, আমরা নিজের চোখে দেখেছি। আমরা ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে দেখি মানুষ ও পশু-পাখির লাশ একসঙ্গে ভাসছে। আমরা সেখানে বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে মানুষের পাশে দাঁড়াই, তাদের সাহায্য করি এবং মরদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করি।

শেখ হাসিনা বলেন, তখনকার সংসদে আমরা বিষয়টা তুলে ধরলাম। তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খালেদা জিয়া। তিনি তখন ঘুমিয়ে ছিলেন, জানেন না কিছু। তখনকার তিন বাহিনীর প্রধান গলফ খেলছিলেন। ঘূর্ণিঝড়ে যে এত বড় ক্ষতি হয়ে গেছে, তা-ও তারা জানতেন না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমানবাহিনীর, নৌবাহিনীর সবকিছু চট্টগ্রামে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। সারা বাংলাদেশ তছনছ। একেবারে চট্টগ্রামসহ পুরো অঞ্চল। রাস্তাঘাট বন্ধ ছিল। তারপরও আমরা ছুটে গিয়েছিলাম, মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। সে সময় অনেক মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে কক্সবাজারে বস্তিতে থাকতো। আমরা তাদের পুনর্বাসন করেছি।
এদিন মাদারীপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, রাজশাহী, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি ১৫৯টি উপজেলাকেও ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা দেন। গেল বছর মাগুরা ও পঞ্চগড় জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঞ্চালনায় এতে গণভবনসহ বিভিন্ন প্রান্তে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, রাজনৈতিক নেতা ও সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা ও উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।