নিজস্ব প্রতিবেদক :
২০২৩ সালে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনী মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন জাতীয় কমিটি।
হাফিজ বলেন, এই যুদ্ধে নেতৃত্ব দেবে বিএনপি এবং আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এই যুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র মুক্ত করা হবে। আমরা যে বীরের জাতি তা আবার প্রমাণ করতে হবে। প্রভুভক্তের কারণে সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুর সমাধান করতে পারছে না। চীন, ভারত এবং রাশিয়া মিয়ানমারের পক্ষে থাকায় রোহিঙ্গা সংকট সমাধান করতে পারছে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশ আজ বন্ধুশূন্য একটি দেশ। রোহিঙ্গা ইস্যুতে দু’একটি মুসলিম রাষ্ট্র ছাড়া কেউ সরাসরি বাংলাদেশকে সমর্থন করেনি।
হাফিজ বলেন, দেশে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার নেই। আওয়ামী লীগের কাছ থাকে ভালো কিছু আশা করা যায় না। আমরা এখনও স্বাধীন নই।
আজ বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বারবার বলা হচ্ছে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিন। কিন্তু আওয়ামী লীগ ভ্রূক্ষেপ করছে না, বরং ইভিএমের মাধ্যমে কারচুপি করে আবার একদলীয় শাসন কায়েম করতে চায়।
বাংলাদেশ স্বাধীন হোক— সেটা আওয়ামী লীগ কখনো চায়নি বলে দাবি করে তিনি বলেন, মওলানা ভাসানী টেপ রেকর্ডার নিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে গিয়ে বলেছিল, তুমি স্বাধীনতা ঘোষণা করো। তখন তিনি বলেছিলেন, আমি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হতে চাই না।
বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, জিয়াউর রহমান সেদিন স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে এই দেশে মুক্তিযুদ্ধ হতো না। অথচ এই আওয়ামী লীগ নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে দাবি করে।
হাফিজ উদ্দিন বলেন, জাতিসংঘে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান নিয়ে কথা উঠলে সেখানে চীন, ভারত ও রাশিয়া মিয়ানমারের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় এ সংকট সমাধান করতে পারছে না। বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর পার্শ্ববর্তী দেশ প্রীতির কারণে রোহিঙ্গা সংকট সমাধান হচ্ছে না।
বাংলাদেশ আজ বন্ধুশূন্য একটি রাষ্ট্র— দাবি করে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে পৃথিবীর দুএকটি মুসলিম রাষ্ট্র ছাড়া কেউ সরাসরি বাংলাদেশকে সমর্থন করেনি। সেই দুএকটি রাষ্ট্রও তেমন ক্ষমতাধর নয়।
ভারতের সীমান্তে কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, অথচ এই সরকার বলছে ভারত না চাইতে আমরা সব দিয়েছি। এই সরকার যা কিছু করছে তা প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে খুশি করার জন্য।
উপযুক্ত সময়ে বাংলাদেশে অবস্থানরত ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে উল্লেখ করে হাফিজ উদ্দিন বলেন, তখন তারা নিজেদের অধিকার নিজেরাই আদায় করতে পারবে।
আলোচনা সভায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন জাতীয় কমিটির সভাপতি হারুনূর রশিদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত কাইয়ূম, জাসদের সহসভাপতি এম জাবির, সাবেক ছাত্রনেতা নুরুর রহমান জামিল, সাইফুল ইসলাম শিশিরসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক 




















