Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধামরাইয়ের বাইশাকান্দিতে হচ্ছে নতুন ব্রিজ

  • নূরুল ইসলাম
  • প্রকাশের সময় : ০১:৫১:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩
  • ১৯২ জন দেখেছেন

ধামরাইয়ের বাইশাকান্দিতে নতুন ব্রিজের কাজ চলছে

ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার বাইশাকান্দি ইউনিয়নে ধানতারা-কুশুরা সড়কে ১০ মিটার (আরসিসি) নতুন ব্রিজ (রিপ্লেসমেন্ট) নির্মাণের কাজ চলছে। প্যাকেজ নং SupRB/Dha/Replace/21-22/w-143. আগে একই স্থানে ৭ দশমিক ১৭ মিটার দৈর্ঘ্যরে পুরাতন একটি ব্রিজ ছিল। ব্রিজটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় ১ কোটি ৭৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রোগ্রাম ফর সাপোর্টিং রুরাল ব্রিজেসের আওতায় নতুন করে ব্রিজ প্রতিস্থাপনের কাজ চলছে।

সরেজমিনে ব্রিজটি পরিদর্শনকালে দেখা যায়, ১০জন মহিলা শ্রমিক ব্রিজের সংযোগ সড়কে বালু ভরাটের কাজ করছেন। সুফিয়া বেগম (৪০) নামে একজন মহিলা শ্রমিক বলেন, প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত আমরা এখানে কাজ করি। এজন্য প্রতিদিন পাই ৫শ’ টাকা। তিনি জানান, মহিলা শ্রমিকদের জন্য ব্রিজসংলগ্ন একটি সেমি-পাকা বাড়িকে পৃথক টয়লেট আছে। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থাও আছে। আরেক মহিলা শ্রমিক নাসিমা আক্তার (৪২) বলেন, এক মাস ধরে কাজ করছি। প্রতিদিনের টাকা প্রতিদিনই পাই। ঠিকাদারের লোকজন খুবই আন্তরিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, কাজের ফাঁকে ফাঁকে আমরা বিশ্রাম নিতে পারি। কুশুরা পশ্চিম বল্লা গ্রামের বাসিন্দা নাসিমা বলেন, আমার বাড়ি এখান থেকে দুই কিলোমিটার দূরে। খুব সকালে পায়ে হেঁটেই কাজে আসি। তিনি বলেন, আমাদের স্বাস্থ্যগত দিক নিয়ে খুব যত্ন করে ঠিকাদারের লোকজন। কেউ অসুস্থ হলে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।

ব্রিজ সংলগ্ন সেমিপাকা বাড়ির মালিকের নাম শাজাহান খান। তিনি বলেন, বাড়ির দুটি রুম শ্রমিকদের বিশ্রামাগার ও মহিলাদের জন্য একটি টয়লেট মাসিক ২৫ হাজার টাকা চুক্তিতে ভাড়া দিয়েছেন। এছাড়া বিশুদ্ধ খাবার পানি তার বাড়ি থেকেই সরবরাহ করা হয়।

জনসাধারণের মতামত

স্থানীয় বাসিন্দা সাঈদুর রহমান বলেন, ব্রিজটি আগে সরু ও ভাঙা ছিল। তাতে যানবাহন ও মানুষজন চলাচলে অসুবিধা হতো। এখান থেকে ৫ কিলোমিটারের মধ্যেই এলাকার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সে কারণে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হতো। ব্রিজটির নির্মাণকাজ শেষে হলে এই এলাকার শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, কৃষক, শ্রমিক সবার জন্যই চলাচলের পথ সুগম হবে। একই সাথে কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির চাকা আরও সচল হবে।

ধামরাইয়ের বাইশাকান্দিতে হচ্ছে নতুন ব্রিজ
ধামরাইয়ের বাইশাকান্দিতে নতুন ব্রিজের কাজ চলছে

স্থানীয় ধামরাই সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র সাব্বির হোসেন বলেন, আগের ব্রিজটি ভাঙা ও সরু ছিল। এজন্য যানবাহন চলাচলে অসুবিধা হতো। নতুন ব্রিজ হলে আমাদের যাতায়াতের সুবিধা হবে। ভাড়া কমবে, খরচও বাঁচবে। দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র নাজমুল হোসেন বলেন, নতুন ব্রিজ হলে যাতায়াতের সময় কমে যাবে। এতে করে আমাদের মতো শিক্ষার্থীসহ সকল পেশার মানুষ উপকৃত হবে। এলাকার কৃষকরা সহজেই মালামাল আনা নেয়া করতে পারবে।

কীটনাশক ব্যবসায়ি কাওছার আহমেদ বলেন, ব্রিজটি নির্মাণের শুরু থেকেই দেখছি। এখানকার পরিবেশের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। নিয়মিত পানি ছিটানো হয় যাতে ধূলা-বালি না ওড়ে। আশপাশের পরিবেশও বেশ পরিচ্ছন্ন। এটা খুবই ভালো দিক। শ্রমিকদের জন্য পৃথম টয়লেটের ব্যবস্থা দেখেও ভালো লেগেছে। বিকল্প রাস্তাটিও পর্যাপ্গ প্রশস্ত হওয়ায় এই রাস্তায় যানবাহন চলাচলে খুব একটা অসুবিধা হচ্ছে না। ব্রিজটি হয়ে গেলে সুবিধা আরও বাড়বে। বিশেষ করে এই অঞ্চলের লেবু ব্যবসায়িদের খুব সুবিধা হবে। কারণ এখানকার ক্ষেত থেকে লেবু আহরণ করে কৃষকরা ভ্য্যানে করে লেবু বাজারে নিয়ে যায়। অবশ্য কখনও কখনও বড় ট্রাকে করেও লেবু নিয়ে যাওয়া হয়।

আবহাওয়া

বদলির চিঠি প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় ৮ কর কর্মকর্তা বরখাস্ত

ধামরাইয়ের বাইশাকান্দিতে হচ্ছে নতুন ব্রিজ

প্রকাশের সময় : ০১:৫১:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩

ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার বাইশাকান্দি ইউনিয়নে ধানতারা-কুশুরা সড়কে ১০ মিটার (আরসিসি) নতুন ব্রিজ (রিপ্লেসমেন্ট) নির্মাণের কাজ চলছে। প্যাকেজ নং SupRB/Dha/Replace/21-22/w-143. আগে একই স্থানে ৭ দশমিক ১৭ মিটার দৈর্ঘ্যরে পুরাতন একটি ব্রিজ ছিল। ব্রিজটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় ১ কোটি ৭৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রোগ্রাম ফর সাপোর্টিং রুরাল ব্রিজেসের আওতায় নতুন করে ব্রিজ প্রতিস্থাপনের কাজ চলছে।

সরেজমিনে ব্রিজটি পরিদর্শনকালে দেখা যায়, ১০জন মহিলা শ্রমিক ব্রিজের সংযোগ সড়কে বালু ভরাটের কাজ করছেন। সুফিয়া বেগম (৪০) নামে একজন মহিলা শ্রমিক বলেন, প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত আমরা এখানে কাজ করি। এজন্য প্রতিদিন পাই ৫শ’ টাকা। তিনি জানান, মহিলা শ্রমিকদের জন্য ব্রিজসংলগ্ন একটি সেমি-পাকা বাড়িকে পৃথক টয়লেট আছে। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থাও আছে। আরেক মহিলা শ্রমিক নাসিমা আক্তার (৪২) বলেন, এক মাস ধরে কাজ করছি। প্রতিদিনের টাকা প্রতিদিনই পাই। ঠিকাদারের লোকজন খুবই আন্তরিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, কাজের ফাঁকে ফাঁকে আমরা বিশ্রাম নিতে পারি। কুশুরা পশ্চিম বল্লা গ্রামের বাসিন্দা নাসিমা বলেন, আমার বাড়ি এখান থেকে দুই কিলোমিটার দূরে। খুব সকালে পায়ে হেঁটেই কাজে আসি। তিনি বলেন, আমাদের স্বাস্থ্যগত দিক নিয়ে খুব যত্ন করে ঠিকাদারের লোকজন। কেউ অসুস্থ হলে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।

ব্রিজ সংলগ্ন সেমিপাকা বাড়ির মালিকের নাম শাজাহান খান। তিনি বলেন, বাড়ির দুটি রুম শ্রমিকদের বিশ্রামাগার ও মহিলাদের জন্য একটি টয়লেট মাসিক ২৫ হাজার টাকা চুক্তিতে ভাড়া দিয়েছেন। এছাড়া বিশুদ্ধ খাবার পানি তার বাড়ি থেকেই সরবরাহ করা হয়।

জনসাধারণের মতামত

স্থানীয় বাসিন্দা সাঈদুর রহমান বলেন, ব্রিজটি আগে সরু ও ভাঙা ছিল। তাতে যানবাহন ও মানুষজন চলাচলে অসুবিধা হতো। এখান থেকে ৫ কিলোমিটারের মধ্যেই এলাকার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সে কারণে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হতো। ব্রিজটির নির্মাণকাজ শেষে হলে এই এলাকার শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, কৃষক, শ্রমিক সবার জন্যই চলাচলের পথ সুগম হবে। একই সাথে কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির চাকা আরও সচল হবে।

ধামরাইয়ের বাইশাকান্দিতে হচ্ছে নতুন ব্রিজ
ধামরাইয়ের বাইশাকান্দিতে নতুন ব্রিজের কাজ চলছে

স্থানীয় ধামরাই সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র সাব্বির হোসেন বলেন, আগের ব্রিজটি ভাঙা ও সরু ছিল। এজন্য যানবাহন চলাচলে অসুবিধা হতো। নতুন ব্রিজ হলে আমাদের যাতায়াতের সুবিধা হবে। ভাড়া কমবে, খরচও বাঁচবে। দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র নাজমুল হোসেন বলেন, নতুন ব্রিজ হলে যাতায়াতের সময় কমে যাবে। এতে করে আমাদের মতো শিক্ষার্থীসহ সকল পেশার মানুষ উপকৃত হবে। এলাকার কৃষকরা সহজেই মালামাল আনা নেয়া করতে পারবে।

কীটনাশক ব্যবসায়ি কাওছার আহমেদ বলেন, ব্রিজটি নির্মাণের শুরু থেকেই দেখছি। এখানকার পরিবেশের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। নিয়মিত পানি ছিটানো হয় যাতে ধূলা-বালি না ওড়ে। আশপাশের পরিবেশও বেশ পরিচ্ছন্ন। এটা খুবই ভালো দিক। শ্রমিকদের জন্য পৃথম টয়লেটের ব্যবস্থা দেখেও ভালো লেগেছে। বিকল্প রাস্তাটিও পর্যাপ্গ প্রশস্ত হওয়ায় এই রাস্তায় যানবাহন চলাচলে খুব একটা অসুবিধা হচ্ছে না। ব্রিজটি হয়ে গেলে সুবিধা আরও বাড়বে। বিশেষ করে এই অঞ্চলের লেবু ব্যবসায়িদের খুব সুবিধা হবে। কারণ এখানকার ক্ষেত থেকে লেবু আহরণ করে কৃষকরা ভ্য্যানে করে লেবু বাজারে নিয়ে যায়। অবশ্য কখনও কখনও বড় ট্রাকে করেও লেবু নিয়ে যাওয়া হয়।