Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রিকশায় ধাক্কা দিয়ে পালানোর চেষ্টা, দুমড়েমুচড়ে গেল আরো ৪ গাড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর কাটাঁবন মোড়ে একটি প্রাইভেটকার কয়েকটি রিকশাকে চাপা দিয়ে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার সময় অন্য একটি প্রাইভেটকারকে ধাক্কা দিয়েছে। সেই গতির ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরো দুটি রিকশা, একটি ভ্যান ও একটি প্রাইভেট কার। এতে আহত হয়েছেন কয়েকজন।

শনিবার (১১ মার্চ) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঢাকা মেট্রো-গ-৩৯৯৫১৮ নম্বরের প্রাইভেট কার এ দুর্ঘটনা ঘটায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কারটি কাঁটাবন মোড়ে একটি রিকশাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় আরো দুটি রিকশা ও একটি ভ্যানকে ধাক্কা দেয়। পরে গতি বাড়িয়ে সামনে গেলে আরেকটি প্রাইভেট কারের পেছনে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার আইল্যান্ডে ধাক্কা খায়। ধাক্কা খেয়ে প্রাইভেট কারটি সেখানে থেমে যায়। কাঁটাবন প্রাণী মার্কেটের ক্রেতা-বিক্রেতারা উত্তেজিত হয়ে চালককে মারধর করেন এবং সেই সঙ্গে গাড়িটিও ভাঙচুর করেন।

এদিকে কয়েকটি রিকশা চাপা দেওয়ার কারণে আহত হন কয়েকজন যাত্রী। ৮ বছরের একটি বাচ্চার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই ঘটনায় মুহুর্তের মধ্যেই সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে রেকার দিয়ে রাস্তা থেকে গাড়িটি সরিয়ে নেয় পুলিশ। এই ঘটনায় ঘাতক গাড়িটির চালককে জনতা আটক করে পুলিশে দেয়।

এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল হালিম বলেন, প্রাইভেটকারটি তিনটি রিকশা, একটি ভ্যানকে মেরে আরেক গাড়িতে ধাক্কা খায়।

এ ঘটনায় আহত আলী হোসেন বলেন, রিকশায় যাচ্ছিলাম। কাটাবন মোরে আমার রিকশাকে প্রথম ধাক্কা দেয়। গাড়ি থামাতে বললে, আস্তে করে থামানোর ভাব ধরে জোরে টান দেয়। পেছন থেকে অনেকেই ধর ধর করলে সঙ্গে সঙ্গে আরও দুটি রিকশাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে। একটা ভ্যানেও ধাক্কা লাগে। একটু সামনে গিয়ে আরেক প্রাইভেটকারের পেছনে ধাক্কা লাগলে গাড়ি থেমে যায়। পরে মানুষ চালককে ধরে ফেলে। এ সময় পায়ে আঘাতের চিহ্ন দেখান আহত আলী হোসেন। রাস্তার পাশে রিকশা চালকদের আহত অবস্থায় পরে থাকতে দেখা যায়।

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী ইব্রাহিম বলেন, চালক বেপরোয়া ছিল। প্রথম ধাক্কা দেওয়ার পর থেমে গেলে এত আহত বা ক্ষতি হতো না।

নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আলামিন গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা এসে দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় আহত কতজন এখনই বলতে পারছি না। এর আগে স্থানীয়রা কয়েকজকে পাঠিয়েছেন বলে জেনেছি। প্রাইভেট কারের চালক আটক আছে।

Tag :
জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

রিকশায় ধাক্কা দিয়ে পালানোর চেষ্টা, দুমড়েমুচড়ে গেল আরো ৪ গাড়ি

প্রকাশের সময় : ০৪:৪১:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর কাটাঁবন মোড়ে একটি প্রাইভেটকার কয়েকটি রিকশাকে চাপা দিয়ে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার সময় অন্য একটি প্রাইভেটকারকে ধাক্কা দিয়েছে। সেই গতির ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরো দুটি রিকশা, একটি ভ্যান ও একটি প্রাইভেট কার। এতে আহত হয়েছেন কয়েকজন।

শনিবার (১১ মার্চ) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঢাকা মেট্রো-গ-৩৯৯৫১৮ নম্বরের প্রাইভেট কার এ দুর্ঘটনা ঘটায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কারটি কাঁটাবন মোড়ে একটি রিকশাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় আরো দুটি রিকশা ও একটি ভ্যানকে ধাক্কা দেয়। পরে গতি বাড়িয়ে সামনে গেলে আরেকটি প্রাইভেট কারের পেছনে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার আইল্যান্ডে ধাক্কা খায়। ধাক্কা খেয়ে প্রাইভেট কারটি সেখানে থেমে যায়। কাঁটাবন প্রাণী মার্কেটের ক্রেতা-বিক্রেতারা উত্তেজিত হয়ে চালককে মারধর করেন এবং সেই সঙ্গে গাড়িটিও ভাঙচুর করেন।

এদিকে কয়েকটি রিকশা চাপা দেওয়ার কারণে আহত হন কয়েকজন যাত্রী। ৮ বছরের একটি বাচ্চার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই ঘটনায় মুহুর্তের মধ্যেই সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে রেকার দিয়ে রাস্তা থেকে গাড়িটি সরিয়ে নেয় পুলিশ। এই ঘটনায় ঘাতক গাড়িটির চালককে জনতা আটক করে পুলিশে দেয়।

এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল হালিম বলেন, প্রাইভেটকারটি তিনটি রিকশা, একটি ভ্যানকে মেরে আরেক গাড়িতে ধাক্কা খায়।

এ ঘটনায় আহত আলী হোসেন বলেন, রিকশায় যাচ্ছিলাম। কাটাবন মোরে আমার রিকশাকে প্রথম ধাক্কা দেয়। গাড়ি থামাতে বললে, আস্তে করে থামানোর ভাব ধরে জোরে টান দেয়। পেছন থেকে অনেকেই ধর ধর করলে সঙ্গে সঙ্গে আরও দুটি রিকশাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে। একটা ভ্যানেও ধাক্কা লাগে। একটু সামনে গিয়ে আরেক প্রাইভেটকারের পেছনে ধাক্কা লাগলে গাড়ি থেমে যায়। পরে মানুষ চালককে ধরে ফেলে। এ সময় পায়ে আঘাতের চিহ্ন দেখান আহত আলী হোসেন। রাস্তার পাশে রিকশা চালকদের আহত অবস্থায় পরে থাকতে দেখা যায়।

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী ইব্রাহিম বলেন, চালক বেপরোয়া ছিল। প্রথম ধাক্কা দেওয়ার পর থেমে গেলে এত আহত বা ক্ষতি হতো না।

নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আলামিন গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা এসে দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় আহত কতজন এখনই বলতে পারছি না। এর আগে স্থানীয়রা কয়েকজকে পাঠিয়েছেন বলে জেনেছি। প্রাইভেট কারের চালক আটক আছে।