Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তৃতীয় মেয়াদে চীনের প্রেসিডেন্ট হলেন শি জিনপিং

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

চীনের প্রভাবশালী নেতা শি জিনপিং দেশটির পার্লামেন্টের মাধ্যমে ঐতিহাসিক তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এর মাধ্যমে চীনা প্রেসিডেন্ট শির ক্ষমতা আরও সংহত হয়েছে। ৬৯ বছর বয়সী এ নেতা দেশটির বর্তমান প্রজন্মের সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা হিসেবে আবির্ভুত হয়েছেন।

শুক্রবার (১০ মার্চ) দেশটির ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসে (সংসদ) তার প্রেসিডেন্ট পদের অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে ১৯৪৯ সালের পর দেশটির ইতিহাসে দীর্ঘ সময় শাসন করার রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন শি।

শি জিনপিং ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসে ২ হাজার ৯শ ৫২ ভোট পেয়েছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার অনুমতি দিলো সংসদ। এরপর তাকে দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানানো হয়।

চীনের শাসন ব্যবস্থায় প্রেসিডেন্ট পদ হচ্ছে একটি আনুষ্ঠানিক ও আলংকারিক পদ।

শি জিনপিং মূলত চীনা কমিউনিস্ট পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি এবং দেশটির সামরিক বিভাগ সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের চেয়ারম্যান হওয়ার কারণে বিপুল ক্ষমতার অধিকারী হয়েছেন।

Reaction to Chinese leader Xi Jinping's precedent-breaking third term

প্রেসিডেন্ট হিসেবে শির তৃতীয় মেয়াদের নিশ্চিতকরণ ব্যাপকভাবে প্রত্যাশিত ছিল। আগামী দিনগুলোতে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী ও বিভিন্ন মন্ত্রীর নাম প্রকাশ করা হবে। এ বিষয়টি আরও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত সব মন্ত্রীরা শির অনুগত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। শনিবার (১১ মার্চ) সংসদে লি কিয়াংকে প্রধানমন্ত্রী বানানো হবে। শি জিনপিংয়ের অত্যন্ত আস্থাভাজন লোক তিনি। চীনের প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিসহ নানান বিষয়ে হস্তক্ষেপ ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে। তবে গত কয়েক বছরে এসব পরিবর্তন করে ফেলেছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বর্তমানে প্রায় সব সিদ্ধান্তই তিনি নেন।

এর আগে জিরো-কোভিড নীতিকে কেন্দ্র করে শি তার ক্ষমতাকে আরও দৃঢ় করেছেন। তবে বর্তমানে তিনি আবারও চীনকে বাকি বিশ্বের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন।

এই সপ্তাহে দেশটির ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস এবং চাইনিজ পিপলস পলিটিক্যাল কনসালটেটিভ কনফারেন্সের (সিপিপিসিসি) দু’টি অধিবেশন ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কারণ, আগামী বছরগুলোতে চীন কীভাবে চলবে তা নির্ধরণ করা হয় এসব অধিবেশনে।

এর আগে চীনা নেতারা দুই মেয়াদের বেশি দেশটির প্রেসিডেন্ট হতেন না। কিন্তু ২০১৮ সালে শি জিনপিং এই বিধিনিষেধটি পরিবর্তন করেছিলেন। সূত্র : বিবিসি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

তৃতীয় মেয়াদে চীনের প্রেসিডেন্ট হলেন শি জিনপিং

প্রকাশের সময় : ১২:৩৭:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

চীনের প্রভাবশালী নেতা শি জিনপিং দেশটির পার্লামেন্টের মাধ্যমে ঐতিহাসিক তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এর মাধ্যমে চীনা প্রেসিডেন্ট শির ক্ষমতা আরও সংহত হয়েছে। ৬৯ বছর বয়সী এ নেতা দেশটির বর্তমান প্রজন্মের সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা হিসেবে আবির্ভুত হয়েছেন।

শুক্রবার (১০ মার্চ) দেশটির ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসে (সংসদ) তার প্রেসিডেন্ট পদের অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে ১৯৪৯ সালের পর দেশটির ইতিহাসে দীর্ঘ সময় শাসন করার রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন শি।

শি জিনপিং ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসে ২ হাজার ৯শ ৫২ ভোট পেয়েছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার অনুমতি দিলো সংসদ। এরপর তাকে দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানানো হয়।

চীনের শাসন ব্যবস্থায় প্রেসিডেন্ট পদ হচ্ছে একটি আনুষ্ঠানিক ও আলংকারিক পদ।

শি জিনপিং মূলত চীনা কমিউনিস্ট পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি এবং দেশটির সামরিক বিভাগ সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের চেয়ারম্যান হওয়ার কারণে বিপুল ক্ষমতার অধিকারী হয়েছেন।

Reaction to Chinese leader Xi Jinping's precedent-breaking third term

প্রেসিডেন্ট হিসেবে শির তৃতীয় মেয়াদের নিশ্চিতকরণ ব্যাপকভাবে প্রত্যাশিত ছিল। আগামী দিনগুলোতে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী ও বিভিন্ন মন্ত্রীর নাম প্রকাশ করা হবে। এ বিষয়টি আরও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত সব মন্ত্রীরা শির অনুগত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। শনিবার (১১ মার্চ) সংসদে লি কিয়াংকে প্রধানমন্ত্রী বানানো হবে। শি জিনপিংয়ের অত্যন্ত আস্থাভাজন লোক তিনি। চীনের প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিসহ নানান বিষয়ে হস্তক্ষেপ ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে। তবে গত কয়েক বছরে এসব পরিবর্তন করে ফেলেছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বর্তমানে প্রায় সব সিদ্ধান্তই তিনি নেন।

এর আগে জিরো-কোভিড নীতিকে কেন্দ্র করে শি তার ক্ষমতাকে আরও দৃঢ় করেছেন। তবে বর্তমানে তিনি আবারও চীনকে বাকি বিশ্বের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন।

এই সপ্তাহে দেশটির ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস এবং চাইনিজ পিপলস পলিটিক্যাল কনসালটেটিভ কনফারেন্সের (সিপিপিসিসি) দু’টি অধিবেশন ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কারণ, আগামী বছরগুলোতে চীন কীভাবে চলবে তা নির্ধরণ করা হয় এসব অধিবেশনে।

এর আগে চীনা নেতারা দুই মেয়াদের বেশি দেশটির প্রেসিডেন্ট হতেন না। কিন্তু ২০১৮ সালে শি জিনপিং এই বিধিনিষেধটি পরিবর্তন করেছিলেন। সূত্র : বিবিসি।