Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লঞ্চ চালু হওয়ায় খুশি শরণখোলাবাসী

দীর্ঘ ১৫ বছর বন্ধ থাকার পর, বাগেরহাটের শরণখোলা থেকে ঢাকা রুটে আবারো চলাচল করছে যাত্রীবাহী লঞ্চ। প্রতিদিন ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে একটি করে বিলাসবহুল লঞ্চ। এতে সুন্দরবন উপকূলের বাসিন্দাদের মাঝে দেখা দিয়েছে উচ্ছ্বাস। কম খরচে এই নৌ-পথে আসা-যাওয়া করছেন ঢাকা ও চট্টগ্রামে কর্মরত হাজারো গার্মেন্টসকর্মীর পাশাপাশি ব্যবসায়ী ও কর্মজীবীরা।

সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে অবস্থান বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার। অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা এই উপজেলার মানুষ ঢাকা ও চট্টগ্রামে গার্মেন্টস কারখানায় কর্মরত। ২০০৭ সালে স্থানীয় রায়েন্দা পুরাতন লঞ্চঘাটের নদীতে পলি জমে শরণখোলা-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফের এই নৌ-রুটটি চালু করতে ২০১৭ সালে নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষ বলেশ্বর নদীর পাড়ে ঘাট সরিয়ে নেয়। তবে এই ঘাট ব্যবহারে আগ্রহী হয়নি লঞ্চ মালিকরা।

এবছর পদ্মা সেতু চালুর পর দক্ষিণাঞ্চলে লঞ্চ ব্যবসায় ধস নামে। এ অবস্থায় অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক শরণখোলা-ঢাকা রুটে লঞ্চ চালাতে আগ্রহী হয়ে উঠেন লঞ্চ মালিকরা। ফলে দীর্ঘ ১৫ বছর পর গত দোসরা সেপ্টেম্বর থেকে আবারো শুরু হয়েছে লঞ্চ চলাচল। এতে খুশি শরণখোলার ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।

ঢাকা থেকে শরণখোলার লঞ্চ চলচল শুরু হওয়ায় দেশি-বিদেশি পর্যটকরাও সহজেই ঢাকা থেকে নৌপথে সুন্দরবন ভ্রমণ করতে পারছেন। ফলে সুন্দরবনের পর্যটন শিল্প চাঙ্গা হবে বলে মনে করছে উপজেলা প্রশাসন। সুন্দরবনের বনজ সম্পদ আহরণ বন্ধ থাকায়, বনের উপর নির্ভরশীল বিশাল জনগোষ্ঠি এই নৌ-রুটের মাধ্যমে দেশের অন্যান্য এলাকায় যাতায়াতের সুযোগ পাওয়ায় খুঁজে নিয়েছেন বিকল্প কর্মসংস্থান।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

লঞ্চ চালু হওয়ায় খুশি শরণখোলাবাসী

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৭:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২

দীর্ঘ ১৫ বছর বন্ধ থাকার পর, বাগেরহাটের শরণখোলা থেকে ঢাকা রুটে আবারো চলাচল করছে যাত্রীবাহী লঞ্চ। প্রতিদিন ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে একটি করে বিলাসবহুল লঞ্চ। এতে সুন্দরবন উপকূলের বাসিন্দাদের মাঝে দেখা দিয়েছে উচ্ছ্বাস। কম খরচে এই নৌ-পথে আসা-যাওয়া করছেন ঢাকা ও চট্টগ্রামে কর্মরত হাজারো গার্মেন্টসকর্মীর পাশাপাশি ব্যবসায়ী ও কর্মজীবীরা।

সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে অবস্থান বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার। অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা এই উপজেলার মানুষ ঢাকা ও চট্টগ্রামে গার্মেন্টস কারখানায় কর্মরত। ২০০৭ সালে স্থানীয় রায়েন্দা পুরাতন লঞ্চঘাটের নদীতে পলি জমে শরণখোলা-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফের এই নৌ-রুটটি চালু করতে ২০১৭ সালে নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষ বলেশ্বর নদীর পাড়ে ঘাট সরিয়ে নেয়। তবে এই ঘাট ব্যবহারে আগ্রহী হয়নি লঞ্চ মালিকরা।

এবছর পদ্মা সেতু চালুর পর দক্ষিণাঞ্চলে লঞ্চ ব্যবসায় ধস নামে। এ অবস্থায় অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক শরণখোলা-ঢাকা রুটে লঞ্চ চালাতে আগ্রহী হয়ে উঠেন লঞ্চ মালিকরা। ফলে দীর্ঘ ১৫ বছর পর গত দোসরা সেপ্টেম্বর থেকে আবারো শুরু হয়েছে লঞ্চ চলাচল। এতে খুশি শরণখোলার ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।

ঢাকা থেকে শরণখোলার লঞ্চ চলচল শুরু হওয়ায় দেশি-বিদেশি পর্যটকরাও সহজেই ঢাকা থেকে নৌপথে সুন্দরবন ভ্রমণ করতে পারছেন। ফলে সুন্দরবনের পর্যটন শিল্প চাঙ্গা হবে বলে মনে করছে উপজেলা প্রশাসন। সুন্দরবনের বনজ সম্পদ আহরণ বন্ধ থাকায়, বনের উপর নির্ভরশীল বিশাল জনগোষ্ঠি এই নৌ-রুটের মাধ্যমে দেশের অন্যান্য এলাকায় যাতায়াতের সুযোগ পাওয়ায় খুঁজে নিয়েছেন বিকল্প কর্মসংস্থান।