ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শোকবার্তায় বলেন, তিনি (এলিজাবেথ) তাঁর বুদ্ধি দিয়ে আমাদের মুগ্ধ করেছিলেন, তার উদারতা দিয়ে আমাদেরকে চালিত করেছিলেন এবং উদারভাবে তার প্রজ্ঞা আমাদের সাথে ভাগ করেছিলেন। তিনি ৯/১১-এর পর আমাদের সবচেয়ে অন্ধকার দিনগুলিতে সংহতি প্রকাশ করেছিলেন।
ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেছেন, রানি ছিলেন একজন “দয়াময়ী” রাজা এবং “ফ্রান্সের বন্ধু”।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ রানিকে “লক্ষ মানুষের জন্য রোল মডেল এবং অনুপ্রেরণা” হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি “দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতার” পরে যুক্তরাজ্য এবং জার্মানির মধ্যে সম্পর্ক মেরামত করার ক্ষেত্রে তার ভূমিকার প্রশংসা করেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, রানী এলিজাবেথ “বিশ্বে তার প্রিয় মানুষদের একজন”। ট্রুডো বলেন, কানাডিয়ানদের প্রতি তার সেবা চিরকাল আমাদের দেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে থাকবে। আমি তাকে মিস করবো।
পোপ ফ্রান্সিস তাঁর শোকবার্তায় বলেন, আমি স্বেচ্ছায় প্রয়াত রানীর চিরন্তন বিশ্রামের জন্য প্রার্থনা করবো। আমি তাঁর আত্মার মঙ্গল কামনা করছি।
বৃহস্পতিবার (৮ই সেপ্টেম্বর) রাতে বিবিসি তাঁর মৃত্যু খবর জানায়। বৃহস্পতিবার সকালে অসুস্থ বোধ করার পর থেকেই চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে রাখা হয় যুক্তরাজ্যের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথকে।
৯৬ বছর বয়স্ক রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ব্রিটেনের সিংহাসনে আসীন ছিলেন গত ৭০ বছর ধরে। চলতি বছরেই তার সিংহাসনে আরোহণের ৭০ বছর উদযাপিত হয়েছে। গত জুলাই মাস থেকে স্কটল্যান্ডের বারমোরাল প্রাসাদে অবস্থান করছিলেন তিনি।
রানীকে সর্বশেষ প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছিল মঙ্গলবার। ওইদিন বালমোরাল প্রাসাদের রানীর সঙ্গে দেখা করে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন ট্রাস। এর দুই দিন পরই চিরবিদায় নিলেন রানী।