Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হঠাৎ বেড়েছে তিস্তার পানি, ৩৫ গ্রাম প্লাবিত

  • প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশের সময় : ০২:০১:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ অগাস্ট ২০২২
  • ১৮৮ জন দেখেছেন

বৃষ্টি আর পাহাড়ী ঢলে তিস্তা নদীর পানি আবারও বাড়ছে। সকালে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানী এলাকায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ২০টি গ্রামের প্রায় ১৫হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে আমন ধানের ক্ষেত। লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, পানির চাপ বেশি হওয়ায় তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি কপাট খুলে দেয়া হয়েছে।

এদিকে, তিস্তা নদীর পানি বেড়ে নীলফামারীতে ২টি উপজেলার ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নে তিস্তা নদীর বাম তীরের বালুর বাঁধের ২০০ মিটার জায়গা ভেঙে গেছে। নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, নদীর পানি আরও বাড়তে পারে। ফলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার (পহেলা আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা থেকে তিস্তার পানি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানী এলাকায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান।

তিনি জানান, সোমবার দুপুর থেকে তিস্তার পানি হঠাৎ করেই বৃদ্ধি পেতে থাকে। বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানির গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে ফের বাড়তে শুরু করেছে নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি। কয়েক সপ্তাহ পানি কম থাকলেও সোমবার (পহেলা আগস্ট) দুপুর থেকে বিপদসীমার ২১সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের তিস্তা নদীর বাম তীরের চরখড়িবাড়ি এলাকার দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বালুর বাঁধের ২০০ মিটার ভেঙে গেছে । উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পূর্ব খড়িবাড়ী, কিছামত, ছোটখাতা, হরিশের চরসহ ৮টি চরের অনেক বসতবাড়ি প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে পানির প্রবাহ আরও বাড়তে পারে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পাউবো প্রস্তুত রয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

হঠাৎ বেড়েছে তিস্তার পানি, ৩৫ গ্রাম প্লাবিত

প্রকাশের সময় : ০২:০১:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ অগাস্ট ২০২২

বৃষ্টি আর পাহাড়ী ঢলে তিস্তা নদীর পানি আবারও বাড়ছে। সকালে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানী এলাকায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ২০টি গ্রামের প্রায় ১৫হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে আমন ধানের ক্ষেত। লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, পানির চাপ বেশি হওয়ায় তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি কপাট খুলে দেয়া হয়েছে।

এদিকে, তিস্তা নদীর পানি বেড়ে নীলফামারীতে ২টি উপজেলার ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নে তিস্তা নদীর বাম তীরের বালুর বাঁধের ২০০ মিটার জায়গা ভেঙে গেছে। নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, নদীর পানি আরও বাড়তে পারে। ফলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার (পহেলা আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা থেকে তিস্তার পানি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানী এলাকায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান।

তিনি জানান, সোমবার দুপুর থেকে তিস্তার পানি হঠাৎ করেই বৃদ্ধি পেতে থাকে। বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানির গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে ফের বাড়তে শুরু করেছে নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি। কয়েক সপ্তাহ পানি কম থাকলেও সোমবার (পহেলা আগস্ট) দুপুর থেকে বিপদসীমার ২১সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের তিস্তা নদীর বাম তীরের চরখড়িবাড়ি এলাকার দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বালুর বাঁধের ২০০ মিটার ভেঙে গেছে । উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পূর্ব খড়িবাড়ী, কিছামত, ছোটখাতা, হরিশের চরসহ ৮টি চরের অনেক বসতবাড়ি প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে পানির প্রবাহ আরও বাড়তে পারে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পাউবো প্রস্তুত রয়েছে।