নিজস্ব প্রতিবেদক :
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহকে জরুরিভিত্তিতে ঢাকায় ডেকে এনেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে তিনি ঢাকায় এসে পৌঁছান বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ভারত সম্পর্কে বিস্তৃত ধারণা নিতে হাইকমিশনারকে ডেকে আনা হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়, ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল বৈঠক করেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিষয়ে আলাপ করতে হাইকমিশনারকে ডেকে আনা হয়েছে।
ভারতের সঙ্গে বেশ অনেকদিন ধরে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে ঢাকার। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বেশ কয়েকবার স্বীকার করেছেন যে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক সম্পর্কে টানাপড়েন আছে। এছাড়া ইনকিলাব মঞ্চের শরীফ ওসমান হাদি হত্যাকান্ডের পর ময়মনসিংহে পোশাক শ্রমিক দিপু চন্দ্র দাসকে নির্মমভাবে হত্যার পর বিভিন্ন মহল থেকে নানা প্রকার উত্তেজনামূলক গুজব দ্বিপাক্ষিক চ্যালেঞ্জ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
এরই মধ্যে দিল্লীতে বিক্ষোভ এবং হাইকমিশনারকে হুমকির জেরে দিল্লীসহ আরও দুটি সহকারী মিশনে ভিসা ও কন্স্যুলার সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন প্রসঙ্গে ভারতের মন্তব্য প্রত্যাখান করে পাল্টা সেদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়নে উদ্বেগ জানিয়েছে ঢাকা।
এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকা ও দিল্লিতে দুই দেশের হাইকমিশনারদের পাল্টাপাল্টি তলবের ঘটনা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করেছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দুই দেশ দুবার করে পরস্পরের কূটনীতিককে তলব করে নানা ইস্যুতে প্রতিবাদ আর উদ্বেগ জানিয়েছে। সবশেষ, গত ২৩ ডিসেম্বর দিনের শুরুতে ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। এর জের ধরে এদিন বিকেলে দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তলব করে বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহকে। একই দিনে দুই দেশের দূতকে পাল্টাপাল্টি তলবের ঘটনা দুই দেশের সম্পর্কের ইতিহাসে এটাই প্রথম।
নিজস্ব প্রতিবেদক 























