Dhaka মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালীর বিপক্ষে রাজশাহীর সহজ জয়

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১১:৩৫:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ১৮১ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক :

কুয়াশাঘেরা সন্ধ্যায় বল হাতে গতির ঝড় তুললেন রিপন মন্ডল। তার তোপে খড়কুটোর মতো ধসে পড়ল নোয়াখালী এক্সপ্রেসের ইনিংস। মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে কিছুটা হোঁচট খেলেও মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলির ব্যাটে সহজ জয় তুলে নিয়েছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার নবাগত নোয়াখালীকে টানা তৃতীয় হারের স্বাদ দিয়েছে রাজশাহী। নাজমুল হোসেন শান্তর দল জিতেছে ৬ উইকেটে। তিন ম্যাচে এটি রাজশাহীর দ্বিতীয় জয়। আগে ব্যাট করে ১২৪ রানে অল-আউট হয় নোয়াখালী, ১৩ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রাজশাহী। ১৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন রাজশাহীর পেসার রিপন।

ছোট লক্ষ্য তাড়ায় রাজশাহীর শুরুটা ভালো ছিল না। প্রথম ওভারে হাসান মাহমুদকে বেরিয়ে এসে খেলার চেষ্টায় প্যাডে লেগে বোল্ড হন সাহিবজাদা।

শুরুর ধাক্কা সামলে তানজিদ হাসান ও শান্তর আগ্রাসী জুটিতে এগিয়ে যায় রাজশাহী। রাজাকে ফাইন লেগ দিয়ে ছক্কায় ওড়ান তানজিদ। আগের ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা মেহেদি রানার একই ওভারে দুটি চার মারেন তিনি।

রাজার ওভারে বাউন্ডারির পর ছক্কা মারেন প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান শান্ত। ওই ওভারেই ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি (২০ বলে ২৪)। থামে ৩৮ বলে ৬৫ রানের জুটি।

পরের ওভারে জাহির খানের বলে বোল্ড হয়ে যান তানজিদ (২০ বলে ২৯)। হুসাইন তালাতকে টিকতে দেননি হাসান।

পরপর তিন ওভারে তিন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দিলেও, বাকি সময়ে আর তেমন কিছু করতে পারেনি নোয়াখালী।

দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে রাজশাহীকে কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পৌঁছে দেন মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলি চৌধুরি। একটি ছক্কায় ৩০ বলে ২৮ রান করেন মুশফিক। একটি করে চার ও ছক্কায় ২৬ বলে ২৩ রান করেন ইয়াসির।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে ১৮ রান তুলে শুরুটা ভালোই করেছিল নোয়াখালী। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে সাজঘরে ফেরেন হাবিবুর রহমান সোহান। ৬ বলে ৫ রান করেন তিনি।

তিনে ব্যাট করতে নেমে আলো ছড়াতে পারেননি সাব্বির হোসেনও। ১১ বলে ৬ রান করে আউট হন তিনি। এরপর ১৯ বলে ২৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার মাজ সাদাকাত। এরপর হায়দার আলিকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।

সাকিব ভাইকে সবাই পেতে চায়: তাসকিন
তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ২৭ বলে ২২ রান করে ক্যাচ আউট হন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। এরপর জাকের আলী (৬), রেজাউর রাজা (১) এবং হাসান মাহমুদ ০ রানে আউট হলে ১০১ রানে ৭ উইকেট হারায় নোয়াখালী।

কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করতে থাকেন হায়দার আলি। তবে ২৮ বলে ৩৩ রান করে ১৮তম ওভারে বাউন্ডারি লাইনে কাটা পড়েন এই পাক ক্রিকেটার। শেষ পর্যন্ত মেহেদী রানার ১১ রানে ভর করে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রানের লড়াকু পুঁজি পায় নোয়াখালী।

রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন রিপন মন্ডল। এ ছাড়াও তানজিম সাকিব দুটি, বিনুরা ফার্নান্দো ও হুসাইন তালাত নেন একটি উইকেট।

এ জয়ের ফলে ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠেছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। এদিকে ৩ ম্যাচে কোনো পয়েন্ট সংগ্রহ করতে না পারা নোয়াখালীর অবস্থান তলানিতে। বাকি চারটি দল অর্জন করে দুটি করে পয়েন্ট।

 

 

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নোয়াখালীর বিপক্ষে রাজশাহীর সহজ জয়

প্রকাশের সময় : ১১:৩৫:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক :

কুয়াশাঘেরা সন্ধ্যায় বল হাতে গতির ঝড় তুললেন রিপন মন্ডল। তার তোপে খড়কুটোর মতো ধসে পড়ল নোয়াখালী এক্সপ্রেসের ইনিংস। মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে কিছুটা হোঁচট খেলেও মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলির ব্যাটে সহজ জয় তুলে নিয়েছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার নবাগত নোয়াখালীকে টানা তৃতীয় হারের স্বাদ দিয়েছে রাজশাহী। নাজমুল হোসেন শান্তর দল জিতেছে ৬ উইকেটে। তিন ম্যাচে এটি রাজশাহীর দ্বিতীয় জয়। আগে ব্যাট করে ১২৪ রানে অল-আউট হয় নোয়াখালী, ১৩ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রাজশাহী। ১৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন রাজশাহীর পেসার রিপন।

ছোট লক্ষ্য তাড়ায় রাজশাহীর শুরুটা ভালো ছিল না। প্রথম ওভারে হাসান মাহমুদকে বেরিয়ে এসে খেলার চেষ্টায় প্যাডে লেগে বোল্ড হন সাহিবজাদা।

শুরুর ধাক্কা সামলে তানজিদ হাসান ও শান্তর আগ্রাসী জুটিতে এগিয়ে যায় রাজশাহী। রাজাকে ফাইন লেগ দিয়ে ছক্কায় ওড়ান তানজিদ। আগের ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা মেহেদি রানার একই ওভারে দুটি চার মারেন তিনি।

রাজার ওভারে বাউন্ডারির পর ছক্কা মারেন প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান শান্ত। ওই ওভারেই ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি (২০ বলে ২৪)। থামে ৩৮ বলে ৬৫ রানের জুটি।

পরের ওভারে জাহির খানের বলে বোল্ড হয়ে যান তানজিদ (২০ বলে ২৯)। হুসাইন তালাতকে টিকতে দেননি হাসান।

পরপর তিন ওভারে তিন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দিলেও, বাকি সময়ে আর তেমন কিছু করতে পারেনি নোয়াখালী।

দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে রাজশাহীকে কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পৌঁছে দেন মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলি চৌধুরি। একটি ছক্কায় ৩০ বলে ২৮ রান করেন মুশফিক। একটি করে চার ও ছক্কায় ২৬ বলে ২৩ রান করেন ইয়াসির।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে ১৮ রান তুলে শুরুটা ভালোই করেছিল নোয়াখালী। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে সাজঘরে ফেরেন হাবিবুর রহমান সোহান। ৬ বলে ৫ রান করেন তিনি।

তিনে ব্যাট করতে নেমে আলো ছড়াতে পারেননি সাব্বির হোসেনও। ১১ বলে ৬ রান করে আউট হন তিনি। এরপর ১৯ বলে ২৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার মাজ সাদাকাত। এরপর হায়দার আলিকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।

সাকিব ভাইকে সবাই পেতে চায়: তাসকিন
তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ২৭ বলে ২২ রান করে ক্যাচ আউট হন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। এরপর জাকের আলী (৬), রেজাউর রাজা (১) এবং হাসান মাহমুদ ০ রানে আউট হলে ১০১ রানে ৭ উইকেট হারায় নোয়াখালী।

কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করতে থাকেন হায়দার আলি। তবে ২৮ বলে ৩৩ রান করে ১৮তম ওভারে বাউন্ডারি লাইনে কাটা পড়েন এই পাক ক্রিকেটার। শেষ পর্যন্ত মেহেদী রানার ১১ রানে ভর করে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রানের লড়াকু পুঁজি পায় নোয়াখালী।

রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন রিপন মন্ডল। এ ছাড়াও তানজিম সাকিব দুটি, বিনুরা ফার্নান্দো ও হুসাইন তালাত নেন একটি উইকেট।

এ জয়ের ফলে ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠেছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। এদিকে ৩ ম্যাচে কোনো পয়েন্ট সংগ্রহ করতে না পারা নোয়াখালীর অবস্থান তলানিতে। বাকি চারটি দল অর্জন করে দুটি করে পয়েন্ট।