Dhaka সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডিসেম্বরের ২৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৩৩ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চলতি মাসে উল্লেখযোগ্য হারে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) আসছে। ডিসেম্বরের প্রথম ২৭ দিনে এসেছে ২৭৫ কোটি মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩৩ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসেবে)। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ১০ কোটি ১৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ডিসেম্বরের প্রথম ২৭ দিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৬ কোটি ৩৫ লাখ ৯০ হাজার ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২৯ কোটি ১ লাখ ৬০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৯৯ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৯ লাখ ২০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, ডিসেম্বরের ২১ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৫৭ কোটি ৯৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার। ১৪ থেকে ২০ ডিসেম্বর দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৬ কোটি ৪৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার। ডিসেম্বরের ৭ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত দেশে এসেছে ৮৭ কোটি ৫০ লাখ ৯০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। আর ডিসেম্বরের প্রথম ৬ দিনে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছিলেন ৬৩ কোটি ২৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার।

ডিসেম্বর মাসের প্রথম ২৭ দিনে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ৭টি। এর মধ্যে রয়েছে একটি বিশেষায়িত ব্যাংক, ২টি বেসরকারি ব্যাংক ও ৪টি বিদেশি ব্যাংক।

ডিসেম্বরের প্রথম ২৭ দিনে বিশেষায়িত খাতের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব ও বেসরকারি খাতের পদ্মা ব্যাংক পিএলসি ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংকে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।

এ ছাড়া কোনো রেমিট্যান্স আসেনি বিদেশি খাতের ব্যাংক আল ফারাহ, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়াতেও।

অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার কারণে পাচার কমেছে। পাচারকারীরা হুন্ডিকারবারিদের দ্বারস্থ হতো।

ফলে প্রবাসী আয় হুন্ডি কারবারিদের পকেটে চলে যেত। এমতাবস্থায় প্রবাসী আয় দেশে এলেও ব্যাংকিং চ্যানেলে আসতো না। পাচার কমে আসার কারণে হুন্ডির চাহিদা কমে যায়। এর ফলে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠানো বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে প্রতি মাসেই প্রবাসী আয় বাড়ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবাসী আয়ের তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে ২৪৭ কোটি ৭৮ লাখ, আগস্টে আসে ২৪২ কোটি ১৯ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে এসেছিল ২৬৮ কোটি ৫৫ লাখ এবং অক্টোবর মাসে এসেছে ২৫৬ কোটি ২৪ লাখ ডলার।

আগের বছরগুলোর প্রবাসী আয় পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এসেছে তিন হাজার ৩২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা; ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আসে দুই হাজার ৩৯১ কোটি টাকা ২২ লাখ টাকা। আগে করোনা মহামারির সময় ২০২০-২১ অর্থবছরে এসেছিল দুই হাজার ৪৭৭ কোটি টাকা। তার আগের বছরগুলোতে ১৮ বিলিয়ন বা এক হাজার ৮০০ কোটি টাকার নিচে প্রবাসী আয় আসতো।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ডিসেম্বরের ২৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৩৩ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা

প্রকাশের সময় : ০৮:৫২:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চলতি মাসে উল্লেখযোগ্য হারে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) আসছে। ডিসেম্বরের প্রথম ২৭ দিনে এসেছে ২৭৫ কোটি মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩৩ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসেবে)। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ১০ কোটি ১৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ডিসেম্বরের প্রথম ২৭ দিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৬ কোটি ৩৫ লাখ ৯০ হাজার ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২৯ কোটি ১ লাখ ৬০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৯৯ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৯ লাখ ২০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, ডিসেম্বরের ২১ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৫৭ কোটি ৯৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার। ১৪ থেকে ২০ ডিসেম্বর দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৬ কোটি ৪৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার। ডিসেম্বরের ৭ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত দেশে এসেছে ৮৭ কোটি ৫০ লাখ ৯০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। আর ডিসেম্বরের প্রথম ৬ দিনে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছিলেন ৬৩ কোটি ২৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার।

ডিসেম্বর মাসের প্রথম ২৭ দিনে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ৭টি। এর মধ্যে রয়েছে একটি বিশেষায়িত ব্যাংক, ২টি বেসরকারি ব্যাংক ও ৪টি বিদেশি ব্যাংক।

ডিসেম্বরের প্রথম ২৭ দিনে বিশেষায়িত খাতের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব ও বেসরকারি খাতের পদ্মা ব্যাংক পিএলসি ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংকে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।

এ ছাড়া কোনো রেমিট্যান্স আসেনি বিদেশি খাতের ব্যাংক আল ফারাহ, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়াতেও।

অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার কারণে পাচার কমেছে। পাচারকারীরা হুন্ডিকারবারিদের দ্বারস্থ হতো।

ফলে প্রবাসী আয় হুন্ডি কারবারিদের পকেটে চলে যেত। এমতাবস্থায় প্রবাসী আয় দেশে এলেও ব্যাংকিং চ্যানেলে আসতো না। পাচার কমে আসার কারণে হুন্ডির চাহিদা কমে যায়। এর ফলে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠানো বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে প্রতি মাসেই প্রবাসী আয় বাড়ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবাসী আয়ের তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে ২৪৭ কোটি ৭৮ লাখ, আগস্টে আসে ২৪২ কোটি ১৯ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে এসেছিল ২৬৮ কোটি ৫৫ লাখ এবং অক্টোবর মাসে এসেছে ২৫৬ কোটি ২৪ লাখ ডলার।

আগের বছরগুলোর প্রবাসী আয় পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এসেছে তিন হাজার ৩২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা; ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আসে দুই হাজার ৩৯১ কোটি টাকা ২২ লাখ টাকা। আগে করোনা মহামারির সময় ২০২০-২১ অর্থবছরে এসেছিল দুই হাজার ৪৭৭ কোটি টাকা। তার আগের বছরগুলোতে ১৮ বিলিয়ন বা এক হাজার ৮০০ কোটি টাকার নিচে প্রবাসী আয় আসতো।