নিজস্ব প্রতিবেদক :
সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নির্বাসিত জীবনের সমাপ্তি টেনেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দীর্ঘ ১৭ বছর পর প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরেছেন তিনি। তার এ স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে প্রতীক্ষার পালা শেষ হয়েছে বিএনপির কোটি কোটি নেতাকর্মী ও ভক্ত-সমর্থকের। তার এ প্রত্যাবর্তন নেতাকর্মীদের প্রতীক্ষার অবসানই শুধু নয়, বিএনপির রাজনীতির নতুন পথেরও সূচনা। আগামীর সংকল্পেরও বার্তা।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-২০২ ফ্লাইটটি।

ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে তারেক রহমানকে প্রথমে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মির্জা ফখরুল ও স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে একে একে আলিঙ্গন করেন। এছাড়া উপস্থিত নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি।
এরপর তারেক রহমানকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন তার শাশুড়ি। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান এবং দেশে থাকা পরিবারের অন্য সদস্যরা।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে তারেক রহমানকে বহনকারী ফ্লাইটটি। এরও আগে সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে ফ্লাইটটি সিলেট ওসামানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর কিছুক্ষণ আগেই তারেক রহমান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া স্ট্যাটাসে লেখেন—‘দীর্ঘ ৬ হাজার ৩১৪ দিন পর বাংলাদেশের আকাশে!’
১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে বাংলাদেশে ফিরছেন তারেক রহমান। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দিনগত রাত সোয়া ১২টা) তারেক রহমান ও তার স্ত্রী-কন্যাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশ্যে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
এদিকে তারেক রহমানের আগমনকে কেন্দ্র করে ঢাকা ও সিলেটে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বিশেষ করে রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় তার জন্য বিশাল সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি সংবর্ধনা মঞ্চে যোগ দেবেন। এরপর তিনি মায়ের সঙ্গে দেখা করতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। সেখান গুলশানে তার ১৯৬ নম্বর বাসভবনে উঠবেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক 



















