আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
দুবাই এয়ার শো ২০২৫-এর চতুর্থ দিনে নাটকীয়ভাবে বেড়েছে বিমান অর্ডার। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন ৬.৪ বিলিয়ন দিরহাম চুক্তির ঘোষণার পর ইভেন্টে মোট চুক্তির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪১৮ বিলিয়ন দিরহামে। আমিরাতের জাতীয় এয়ারলাইনগুলো এ পর্যন্ত ৫০২টিরও বেশি বিমান কেনার চুক্তি করেছে—এটি শো-এর ইতিহাসে অন্যতম রেকর্ড।
প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, তিন দশকে উনিশটি আসরের মাধ্যমে দুবাই এয়ার শো এখন পর্যন্ত ১ ট্রিলিয়ন ডলার (৩.৬ ট্রিলিয়ন দিরহাম) অতিক্রম করেছে। ২০২৫ সংস্করণটি শুরু থেকেই বাণিজ্যিক খাতে শক্তিশালী অর্ডারের ধারা বজায় রেখেছে।
এয়ার শো শুরুর দিনেই এমিরেটস তাদের বহরে শক্তিশালী সম্প্রসারণের ঘোষণা দিয়ে ৬৫টি বোয়িং ৭৭৭এক্স বিমান কেনার অর্ডার দেয় এবং পরবর্তীতে আটটি এয়ারবাস এ৩৫০ কেনার জন্য আলাদা চুক্তি করে।
ফ্লাই-দুবাইও ইভেন্টে অন্যতম বৃহত্তম অর্ডার প্রদান করে। প্রতিষ্ঠানটি ৭৫টি বোয়িং বিমান কেনার অর্ডার দেয়। এছাড়া ২৫০টি এয়ারবাস বিমান, যার মধ্যে ১৫০টি নিশ্চিত এবং ১০০টি অপশনাল, কেনার জন্যও তারা চুক্তিবদ্ধ হয়।
তৃতীয় দিন শেষে বাণিজ্যিক এবং সামরিক খাতে মোট চুক্তির মূল্য ৪১১.৬ বিলিয়ন দিরহাম ছাড়িয়ে যায়, যার মধ্যে বিমান অর্ডার ছিল প্রায় ৪৩০টি এবং ২০টি সামরিক চুক্তি। শুধু বাণিজ্যিক বিমানসংক্রান্ত অর্ডারই তৃতীয় দিনে দাঁড়ায় ৯৫টি।
তবে, চলমান দু্বাই এয়ার শো’তে শুক্রবার (২১ নভেম্বর) ভারতের একটি ‘তেজস’ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন যুদ্ধবিমানটির পাইলট।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ১০ মিনিটের দিকে আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হয়। গত দুই যুগে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিধ্বস্ত হলো এই সিরিজের যুদ্ধবিমান।
দুবাই এয়ারশো ২০২৫ সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিমান পরিবহন শিল্পের ক্রমবর্ধমান ক্ষমতা ও বৈশ্বিক প্রভাবের প্রতিফলন ঘটিয়েছে। জাতীয় এয়ারলাইনগুলোর ব্যাপক বিমান অর্ডার দেশটির এভিয়েশন সেক্টরে আগামী বছরের সম্প্রসারণ, বহর আধুনিকীকরণ এবং আঞ্চলিক প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ইভেন্টের ধারাবাহিক অর্ডার বৃদ্ধির এই ধারা ইঙ্গিত দেয় যে বিশ্ব এভিয়েশন বাজারে আমিরাতের ভূমিকা আরও প্রভাবশালী হতে চলেছে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক 
























