Dhaka শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৯৭ বার পেছাল সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন

নিজস্ব

Go back

Your message has been sent

Warning
Warning
Warning
Warning

Warning.

Go back

Your message has been sent

Warning
Warning
Warning
Warning

Warning.

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ আরও একবার পেছানো হয়েছে। এ নিয়ে ৯৭ বারের মতো চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ পেছাল।

রোববার (৯ এপ্রিল) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের অতিরিক্ত সুপারিনটেনডেন্ট খন্দকার শফিকুল আলম প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হলে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. রাশিদুল আলম এ আদেশ দেন। আগামী ২২ মে’র মধ্যে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‌্যাব) তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন আদালত।

এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য গত ৫ মার্চ ৯৬ বারের মতো তারিখ নেয় র‌্যাব। সেদিন আদালত আজকের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত শেষ করতে দেরি হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন পৃথক দুটি আদালত।

আলোচিত এ হত্যা মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আটজন। অন্য আসামিরা হলেন— বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ। আসামিদের প্রত্যেককে একাধিকবার রিমান্ডে নেওয়া হলেও তাদের কেউই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।

বেসরকারি টিভি চ্যানেল মাছরাঙার বার্তা সম্পাদক সাগর এবং তার স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনিকে ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে তাদের ভাড়া বাসায় হত্যা করা হয়। পরদিন ভোরে তার ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।

ওই ঘটনায় নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক এসআই। চার দিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেই থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি সংস্থাটি। মামলাটিতে সন্দেহভাজন হিসেবে এ পর্যন্ত আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Tag :
জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান সিইসির

৯৭ বার পেছাল সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন

প্রকাশের সময় : ১২:২৯:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব

Go back

Your message has been sent

Warning
Warning
Warning
Warning

Warning.

Go back

Your message has been sent

Warning
Warning
Warning
Warning

Warning.

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ আরও একবার পেছানো হয়েছে। এ নিয়ে ৯৭ বারের মতো চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ পেছাল।

রোববার (৯ এপ্রিল) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের অতিরিক্ত সুপারিনটেনডেন্ট খন্দকার শফিকুল আলম প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হলে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. রাশিদুল আলম এ আদেশ দেন। আগামী ২২ মে’র মধ্যে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‌্যাব) তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন আদালত।

এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য গত ৫ মার্চ ৯৬ বারের মতো তারিখ নেয় র‌্যাব। সেদিন আদালত আজকের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত শেষ করতে দেরি হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন পৃথক দুটি আদালত।

আলোচিত এ হত্যা মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আটজন। অন্য আসামিরা হলেন— বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ। আসামিদের প্রত্যেককে একাধিকবার রিমান্ডে নেওয়া হলেও তাদের কেউই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।

বেসরকারি টিভি চ্যানেল মাছরাঙার বার্তা সম্পাদক সাগর এবং তার স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনিকে ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে তাদের ভাড়া বাসায় হত্যা করা হয়। পরদিন ভোরে তার ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।

ওই ঘটনায় নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক এসআই। চার দিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেই থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি সংস্থাটি। মামলাটিতে সন্দেহভাজন হিসেবে এ পর্যন্ত আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।