আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
তীব্র সমালোচনা ও হাসি-ঠাট্টা চলছে ‘অদ্ভুত’ ডিজাইনের এক সেতু নিয়ে। মূলত, সেতুটির ৯০ ডিগ্রি বাঁক নিয়েই যত প্রশ্ন। পৃথিবীতে আর দ্বিতীয়টি নেই এমন ডিজাইনের সেতু।
ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভোপাল শহরে ঐশবাগ এলাকায় নির্মিত হয়েছে সেতুটি। অস্বাভাবিক নকশার দায়ে এরই মধ্যে ৭ জন প্রকৌশলীকে বরখাস্ত করেছে রাজ্য সরকার। বরখাস্তকৃতদের মধ্যে আছেন দুইজন চিফ ইঞ্জিনিয়ারও। শুধু তাই নয়, কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে সেতুটির নকশা ও নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানকে।
ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে রোববার (২৯ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ জানান, ঐশবাগ রেলওভার ব্রিজ নির্মাণে মারাত্মক অবহেলা হয়েছে বলে আমি জানতে পেরেছি এবং তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আটজন প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে সাতজন প্রকৌশলীকে সঙ্গে সঙ্গে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং একজন অবসরপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি আরও জানান, ব্রিজটির নকশা প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান ‘ডায়নামিক কনসালট্যান্ট’ এবং নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ‘পুনীত চাড্ডা’-কে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। রেলওভার ব্রিজে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনার জন্য একটি বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পরিবর্তন সম্পন্ন হওয়ার পরই ব্রিজটি উদ্বোধন করা হবে।
এদিকে রেলওভার ব্রিজটি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা। তাদের প্রশ্ন, কীভাবে গাড়ি বা যানবাহন এমন তীক্ষ্ণ ৯০ ডিগ্রি বাঁক অতিক্রম করবে?
তবে নির্মাতা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যুক্তি, ভূমির সীমাবদ্ধতা ও নিকটবর্তী মেট্রো স্টেশনের উপস্থিতির কারণেই তাদের এমন তীক্ষ্ণ বাঁকেই ব্রিজ নির্মাণ করতে হয়েছে। তাদের দাবি, অল্প একটু অতিরিক্ত জমি পাওয়া গেলে এই বাঁকটি একটি নিরাপদ কার্ভে রূপান্তর করা যেত।
১৮ কোটি রুপিতে নির্মিত এই ব্রিজটি মহামাই কা বাগ, পুষ্পা নগর এবং স্টেশন এলাকা থেকে নিউ ভোপালের মধ্যে যোগাযোগ উন্নয়নের জন্য তৈরি করা হয়েছিল, যার মাধ্যমে প্রায় তিন লাখ মানুষ উপকৃত হওয়ার কথা।