স্পোর্টস ডেস্ক :
প্রথম ইনিংসে ১৭২ রান হলেও ৫৫ রানে নিউজিল্যান্ডের ৫ উইকেট তুলে নিয়ে লিডের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সাতে নামা গ্লেন ফিলিপসের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৮ রানের লিড পেয়ে প্রথম ইনিংস শেষ করে নিউজিল্যান্ড।
মিরপুরে চলমান এই টেস্টের প্রথমদিনে কিউই স্পিনারদের তোপে পড়ে বাংলাদেশ। ১৭২ রানের দলীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩৫ রান আসে মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে। ৩টি করে উইকেট পান মিচেল স্যান্টনার ও গ্লেন ফিলিপস। এজাজ প্যাটেল নেন ২ উইকেট।
প্রথমদিনেই জবাব দিতে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে নিউজিল্যান্ড। তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজের তোপে ৫৫ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করে কিউইরা। মিরাজ ৩টি ও তাইজুল নেন ২ উইকেট।
টেস্টের প্রথম দিনে উইকেটবৃষ্টির পর দ্বিতীয় দিনে দেখা গেছে প্রাকৃতিক বৃষ্টির দাপট। একটি বলও গড়ায়নি মাঠে। আজ তৃতীয় দিন নিয়মিত সময় সাড়ে নয়টার ১৫ মিনিট আগে অর্থাৎ, ১৫ মিনিটি আগে খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল। যেখানে খেলা হওয়ার কথা ছিল ৯৮ ওভার। তবে আউটফিল্ডের কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। খেলা শুরু হয় ১২টায়।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) খেলা শুরু হওয়ার পর কিউইদের হয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টায় ছিলেন ডেরিল মিচেল এবং গ্লেন ফিলিপ্স। তবে এ দুজন খুব বেশিদূর এগিয়ে নিতে পারেননি দলকে। নাইম হাসানের বলে উড়িয়ে মেরেছিলেন মিচেল। তবে দুর্দান্ত এক ক্যাচে মুঠোবন্দী করেন মেহেদী মিরাজ।
এরপর ক্রিজে ফিলিপ্সের সঙ্গী হন মিচেল স্যান্টনার। তবে তিনিও আজ ইনিংস বড় করতে পারেননি। নাইমের বলেই স্লিপে অধিনায়ক শান্তর মুঠোবন্দী হয়ে সাজঘরে ফিরেন তিনি। এদিকে এক প্রান্তে উইকেট হারালেও অপরপ্রান্তে থাকা ফিলিপ্স আজ দ্রুত দলের রান বাড়িয়েছেন।
স্যান্টনার ফেরার পর ক্রিজে ফিলিপ্সের সঙ্গী হন কাইল জেমিসনকে। এই টেইল এন্ডার ব্যাটারকে নিয়ে স্কোরবোর্ডে দ্রুত ৫৫ রান যোগ করেন ফিলিপ্স।টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিংয়ে দ্রুত রানের চাকা ঘোরান তিনি। জেমিসন ফেরার পর টিম সাউদির সঙ্গেও তিনি গড়েন ২৮ রানের জুটি। ফলে বাংলাদেশের ১৭২ রান টপকে সহজের লিড পায় সফরকারীরা।
তবে লিড পেলেও তা এক অঙ্কের উপরে নিয়ে যেতে পারেননি ফিলিপ্স। ৭২ বলে ৮৭ রান করার পর শরীফুল ইসলামের বলে উইকেট রক্ষক সোহানের গ্লাভসবন্দী হয়ে সাজঘরে ফিরেন তিনি। ফলে নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশের চেয়ে ৮ রানে এগিয়ে থেকে ১৮০ রানেই অল আউট হয়।
বাংলাদেশের হয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন দুই স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ২টি করে উইকেট নেন শরিফুল ও নাইম হাসান।