Dhaka বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৮ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ৩৩১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) হিসাবে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত দেশে তিন হাজার ৫৬২টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন হাজার ৩১৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে পাঁচ হাজার ১৭২ জন।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন।

তিনি বলেন, সড়কের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও দিন দিন সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে। অবকাঠামগত উন্নয়নের পরও সড়ক দুর্ঘটনা কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এটি উদ্বেগজনক।

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের তথ্যমতে, ২০২২ সালে দেশে পাঁচ হাজার ৮৯টি রোডক্র্যাশে পাঁচ হাজার ৬৩৬ জন নিহত এবং চার হাজার ৪৪৪ জন আহত হন। ২০২১ সালে পাঁচ হাজার ৪৭২টি রোডক্র্যাশে পাঁচ হাজার ৮৪ জন নিহত এবং আহত হন চার হাজার ৭১৩ জন। নিসচার তথ্যমতে, ২০২২ সালে দেশে সাত হাজার ২৪টি দুর্ঘটনায় আট হাজার ১০৪ জন নিহত এবং ৯ হাজার ৭৮৩ জন আহত হন। ২০২১ সালে চার হাজার ৯৮৩টি দুর্ঘটনায় পাঁচ হাজার ৬৮৯ জন নিহত এবং আহত হন পাঁচ হাজার ৮০৫ জন।

বাংলাদেশের সড়ক পথচারীদের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মন্তব্য করে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, প্রায় প্রতিদিনই পথচারীরা রোডক্র্যাশের শিকার হচ্ছেন। এতে প্রাণ হারাচ্ছে সাধারণ পথচারী, যানবাহনের যাত্রী এবং কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ। পরিবহনের পাশাপাশি পথচারী পারাপার ও তাদের নিরাপদে চলাচল সড়ক নিরাপত্তার অন্যতম একটি অংশ যা আমাদের বর্তমান আইন বা নীতিকাঠামোতে উদ্বেগজনকভাবে অনুপস্থিত।

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, সড়ক নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট উল্লিখিত বিষয়গুলোকে আমলে নিয়ে প্রয়োজন একটি নতুন আইন, যার মূল কেন্দ্রে থাকবে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা। এই আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও মৃত্যুর হার কমিয়ে আনার জন্য রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, আচরণগত পাঁচটি মূল ঝুঁকির (অতিরিক্ত গতি, মানসম্মত হেলমেট ব্যবহার না করা, সিটবেল্ট ব্যবহার না করা, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো, শিশুদের জন্য নিরাপদ আসনের অনুপস্থিতি) বিষয়গুলোকে বিবেচনায় রেখে সার্বিকভাবে সেইফ সিস্টেম এপ্রোচের আলোকে যথাযথ আইন ও নীতিমালা প্রণীত এবং বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের সড়ক অধিকতর নিরাপদ হবে। এসব পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন বাংলাদেশকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়নের পরও রোডক্র্যাশের সার্বিক হার কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। যা আমাদের জন্য উদ্বেগজনক। অথচ এসব অনাকাঙ্খিত মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবাই কতটা আন্তরিক প্রশ্ন থেকে যায়। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার জন্য উন্নত দেশগুলো সেইফ সিস্টেম অ্যাপ্রোচের (মাল্টিমডাল ট্রান্সপোর্টেশন, নিরাপদ সড়ক, নিরাপদ যানবাহন, নিরাপদ সড়ক ব্যবহারকারী ও রোডক্রাশ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা) আলোকে নিজেদের আইনি ও নীতি কাঠামো প্রণয়ন ও এর যথাযথ বাস্তবায়নে সুফল পেয়েছে। তারপরও আমাদের বর্তমান আইনি ও নীতি কাঠামোতে এ দর্শন সম্পূর্ণরূপে অনুপস্থিত।

তবে আশার কথা হলো, বিশ্ব ব্যাংকের সহযোগিতায় গৃহীত বাংলাদেশ রোড সেইফটি প্রকল্পে সেইফ সিস্টেম অ্যাপ্রোচের কিছু ব্যবহার শুরু হয়েছে। আমরা এ বিজ্ঞানভিত্তিক প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই। পাশাপাশি সেইফ সিস্টেম অ্যাপ্রোচের আলোকে নিরাপদ সড়কের জন্য আলাদা আইনি কাঠামোর জোর দাবি জানাই।

ইলিয়াস কাঞ্চন আরও বলেন, আমাদের বর্তমান সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এবং সড়ক পরিবহন বিধিমালা-২০২২ মূলত সড়কে পরিবহনের জন্য আইন এবং সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিধিমালা। তাই পরিবহন ব্যবস্থাপনার জন্য তৈরি এ আইনে সাম্প্রতিক সংশোধনীর সময়ে গতি নিয়ন্ত্রণ, হেলমেট ও সিটবেল্টের মতো কিছু বিষয় সংযোজন করা হলেও তা সড়কে রোডক্র্যাশের কারণে মানুষের মৃত্যু ও বড় ধরনের আঘাত থেকে রক্ষার করার জন্য পর্যাপ্ত নয়।

সুতরাং সড়কে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেইফ সিস্টেম অ্যাপ্রোচের আলোকে নিরাপদ সড়ক সংক্রান্ত আলাদা আইন প্রণয়ন ও এর যথাযথ বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই। এসব পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন বাংলাদেশকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাই নীতি নির্ধারণ পর্যায়ের সকলের আশু পদক্ষেপ কামনা করছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ-এর সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহের পক্ষ থেকে ব্র্যাকের সড়ক নিরাপত্তা কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার এম খালিদ মাহমুদ, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রকল্প পরিচালক (রোড সেফটি) ডা. মাহফুজুর রহমান ভূঁঞা, বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি) এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম বজলুর রহমান, সিআইপিআরবির পরিচালক ডা. সেলিম মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের হেলথ সেক্টরের প্রকল্প সমন্বয়কারী শারমিন রহমান, ইমপ্রেসিভ কমিউনিকেশন লিমিটেড (আইসিএল) এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর খন্দকার হাসিবুজ্জামান, এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এআরআই) এর সহযোগী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে সহকারী অধ্যাপক বজলুর রহমান, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের পক্ষে সিফাত ই রাব্বানী এবং স্টেপস্ টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট এর চন্দন লাহিড়ীসহ কোয়ালিশনের অন্যান্য নেতারা।

আবহাওয়া

৮ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ৩৩১৭

প্রকাশের সময় : ০৭:১১:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) হিসাবে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত দেশে তিন হাজার ৫৬২টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন হাজার ৩১৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে পাঁচ হাজার ১৭২ জন।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন।

তিনি বলেন, সড়কের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও দিন দিন সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে। অবকাঠামগত উন্নয়নের পরও সড়ক দুর্ঘটনা কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এটি উদ্বেগজনক।

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের তথ্যমতে, ২০২২ সালে দেশে পাঁচ হাজার ৮৯টি রোডক্র্যাশে পাঁচ হাজার ৬৩৬ জন নিহত এবং চার হাজার ৪৪৪ জন আহত হন। ২০২১ সালে পাঁচ হাজার ৪৭২টি রোডক্র্যাশে পাঁচ হাজার ৮৪ জন নিহত এবং আহত হন চার হাজার ৭১৩ জন। নিসচার তথ্যমতে, ২০২২ সালে দেশে সাত হাজার ২৪টি দুর্ঘটনায় আট হাজার ১০৪ জন নিহত এবং ৯ হাজার ৭৮৩ জন আহত হন। ২০২১ সালে চার হাজার ৯৮৩টি দুর্ঘটনায় পাঁচ হাজার ৬৮৯ জন নিহত এবং আহত হন পাঁচ হাজার ৮০৫ জন।

বাংলাদেশের সড়ক পথচারীদের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মন্তব্য করে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, প্রায় প্রতিদিনই পথচারীরা রোডক্র্যাশের শিকার হচ্ছেন। এতে প্রাণ হারাচ্ছে সাধারণ পথচারী, যানবাহনের যাত্রী এবং কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ। পরিবহনের পাশাপাশি পথচারী পারাপার ও তাদের নিরাপদে চলাচল সড়ক নিরাপত্তার অন্যতম একটি অংশ যা আমাদের বর্তমান আইন বা নীতিকাঠামোতে উদ্বেগজনকভাবে অনুপস্থিত।

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, সড়ক নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট উল্লিখিত বিষয়গুলোকে আমলে নিয়ে প্রয়োজন একটি নতুন আইন, যার মূল কেন্দ্রে থাকবে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা। এই আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও মৃত্যুর হার কমিয়ে আনার জন্য রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, আচরণগত পাঁচটি মূল ঝুঁকির (অতিরিক্ত গতি, মানসম্মত হেলমেট ব্যবহার না করা, সিটবেল্ট ব্যবহার না করা, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো, শিশুদের জন্য নিরাপদ আসনের অনুপস্থিতি) বিষয়গুলোকে বিবেচনায় রেখে সার্বিকভাবে সেইফ সিস্টেম এপ্রোচের আলোকে যথাযথ আইন ও নীতিমালা প্রণীত এবং বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের সড়ক অধিকতর নিরাপদ হবে। এসব পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন বাংলাদেশকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়নের পরও রোডক্র্যাশের সার্বিক হার কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। যা আমাদের জন্য উদ্বেগজনক। অথচ এসব অনাকাঙ্খিত মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবাই কতটা আন্তরিক প্রশ্ন থেকে যায়। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার জন্য উন্নত দেশগুলো সেইফ সিস্টেম অ্যাপ্রোচের (মাল্টিমডাল ট্রান্সপোর্টেশন, নিরাপদ সড়ক, নিরাপদ যানবাহন, নিরাপদ সড়ক ব্যবহারকারী ও রোডক্রাশ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা) আলোকে নিজেদের আইনি ও নীতি কাঠামো প্রণয়ন ও এর যথাযথ বাস্তবায়নে সুফল পেয়েছে। তারপরও আমাদের বর্তমান আইনি ও নীতি কাঠামোতে এ দর্শন সম্পূর্ণরূপে অনুপস্থিত।

তবে আশার কথা হলো, বিশ্ব ব্যাংকের সহযোগিতায় গৃহীত বাংলাদেশ রোড সেইফটি প্রকল্পে সেইফ সিস্টেম অ্যাপ্রোচের কিছু ব্যবহার শুরু হয়েছে। আমরা এ বিজ্ঞানভিত্তিক প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই। পাশাপাশি সেইফ সিস্টেম অ্যাপ্রোচের আলোকে নিরাপদ সড়কের জন্য আলাদা আইনি কাঠামোর জোর দাবি জানাই।

ইলিয়াস কাঞ্চন আরও বলেন, আমাদের বর্তমান সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এবং সড়ক পরিবহন বিধিমালা-২০২২ মূলত সড়কে পরিবহনের জন্য আইন এবং সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিধিমালা। তাই পরিবহন ব্যবস্থাপনার জন্য তৈরি এ আইনে সাম্প্রতিক সংশোধনীর সময়ে গতি নিয়ন্ত্রণ, হেলমেট ও সিটবেল্টের মতো কিছু বিষয় সংযোজন করা হলেও তা সড়কে রোডক্র্যাশের কারণে মানুষের মৃত্যু ও বড় ধরনের আঘাত থেকে রক্ষার করার জন্য পর্যাপ্ত নয়।

সুতরাং সড়কে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেইফ সিস্টেম অ্যাপ্রোচের আলোকে নিরাপদ সড়ক সংক্রান্ত আলাদা আইন প্রণয়ন ও এর যথাযথ বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই। এসব পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন বাংলাদেশকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাই নীতি নির্ধারণ পর্যায়ের সকলের আশু পদক্ষেপ কামনা করছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ-এর সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহের পক্ষ থেকে ব্র্যাকের সড়ক নিরাপত্তা কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার এম খালিদ মাহমুদ, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রকল্প পরিচালক (রোড সেফটি) ডা. মাহফুজুর রহমান ভূঁঞা, বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি) এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম বজলুর রহমান, সিআইপিআরবির পরিচালক ডা. সেলিম মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের হেলথ সেক্টরের প্রকল্প সমন্বয়কারী শারমিন রহমান, ইমপ্রেসিভ কমিউনিকেশন লিমিটেড (আইসিএল) এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর খন্দকার হাসিবুজ্জামান, এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এআরআই) এর সহযোগী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে সহকারী অধ্যাপক বজলুর রহমান, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের পক্ষে সিফাত ই রাব্বানী এবং স্টেপস্ টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট এর চন্দন লাহিড়ীসহ কোয়ালিশনের অন্যান্য নেতারা।