Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৭০ বছর বয়সে এসে বিয়ে করলেন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক

বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি : 

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার জিগিরমোল্লা গ্রামের চিরকুমার থাকার পণ ভেঙে ৭০ বছর বয়সে বিয়ে করলেন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক শওকত আলী। তিনি বাগেরহাট সরকারি কলেজের শিক্ষক ছিলেন। কনে মোংলা উপজেলার শাহিদা আক্তার নাজু (৩৫)। দু’জনের বয়সের পার্থক্য দ্বিগুণ হলেও পরিবারের সিদ্ধান্তে গাঁটছড়া বেধেছেন তারা।

শনিবার (১৮ মার্চ) জাঁকজমকভাবে বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন করেন তারা। বিয়েতে ১০ লাখ ১ টাকা দেনমোহরে নগদ পাঁচ লাখ টাকা উসুলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও দুই পরিবারের লোকজনের উপস্থিতিতে এ বিয়ে সম্পন্ন হয়।

জানা গেছে, পরিবারের হাল ধরতে বিয়ে করা হয়নি সমাজসেবী শিক্ষক শওকত আলীর। এর আগে বিয়ের কথা বলা হলেও চিরকুমার থাকার সিদ্ধান্তে অনড় থেকে তিনি কখনও রাজি হননি। তবে অবসরে যাওয়ার পর ভীষণ একাকীত্ব বোধ করলে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। পরিবারের জোড়াজোড়ি করলে শেষ পর্যন্ত তিনি বিয়ে করতে রাজি হন।

বরের এক নিকটাত্মীয় জানান, মোংলা উপজেলার মিঠাখালি ইউনিয়নের শাহিদা আক্তার নাজুর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন শওকত আলী। কনের আগের সংসারের একটি মেয়ে আছে। ওই মেয়েটিরও দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।

মোংলার মিঠাখালি ইউনিয়নের বাসিন্দা শাহিদা আক্তার নাজু (৩৫) এক কন্যা সন্তানের জননী। ওই মেয়েটিরও দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। বেশ কিছুদিন আগে তার স্বামী মারা যান। পরে পরিবারিক সিদ্ধান্তে তিনি শওকত আলীকে বিয়ে করতে রাজি হন বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা। তারা বর্তমানে শান্তিতে সংসার করছেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সাবেক মন্ত্রী দস্তগীরের ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

৭০ বছর বয়সে এসে বিয়ে করলেন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক

প্রকাশের সময় : ০৭:১৪:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি : 

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার জিগিরমোল্লা গ্রামের চিরকুমার থাকার পণ ভেঙে ৭০ বছর বয়সে বিয়ে করলেন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক শওকত আলী। তিনি বাগেরহাট সরকারি কলেজের শিক্ষক ছিলেন। কনে মোংলা উপজেলার শাহিদা আক্তার নাজু (৩৫)। দু’জনের বয়সের পার্থক্য দ্বিগুণ হলেও পরিবারের সিদ্ধান্তে গাঁটছড়া বেধেছেন তারা।

শনিবার (১৮ মার্চ) জাঁকজমকভাবে বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন করেন তারা। বিয়েতে ১০ লাখ ১ টাকা দেনমোহরে নগদ পাঁচ লাখ টাকা উসুলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও দুই পরিবারের লোকজনের উপস্থিতিতে এ বিয়ে সম্পন্ন হয়।

জানা গেছে, পরিবারের হাল ধরতে বিয়ে করা হয়নি সমাজসেবী শিক্ষক শওকত আলীর। এর আগে বিয়ের কথা বলা হলেও চিরকুমার থাকার সিদ্ধান্তে অনড় থেকে তিনি কখনও রাজি হননি। তবে অবসরে যাওয়ার পর ভীষণ একাকীত্ব বোধ করলে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। পরিবারের জোড়াজোড়ি করলে শেষ পর্যন্ত তিনি বিয়ে করতে রাজি হন।

বরের এক নিকটাত্মীয় জানান, মোংলা উপজেলার মিঠাখালি ইউনিয়নের শাহিদা আক্তার নাজুর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন শওকত আলী। কনের আগের সংসারের একটি মেয়ে আছে। ওই মেয়েটিরও দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।

মোংলার মিঠাখালি ইউনিয়নের বাসিন্দা শাহিদা আক্তার নাজু (৩৫) এক কন্যা সন্তানের জননী। ওই মেয়েটিরও দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। বেশ কিছুদিন আগে তার স্বামী মারা যান। পরে পরিবারিক সিদ্ধান্তে তিনি শওকত আলীকে বিয়ে করতে রাজি হন বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা। তারা বর্তমানে শান্তিতে সংসার করছেন।