চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর- এ পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৯০ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময় এসেছিল ৭৭১ কোটি ডলার। সেই হিসাবে এ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসেই রেমিট্যান্স বেড়েছে ৪১ দশমিক ৩২ শতাংশ।
করোনার মধ্যেও ঝড়ো গতিতে বাড়ছে প্রবাসী আয়। গত নভেম্বরেও প্রবাসীরা দেওয়া ২০৭ কোটি ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে। এটি গত বছরের নভেম্বরের তুলনায় ৩৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি।
ওই সময় প্রবাসী আয় আসে ১৫৫ কোটি ডলার। তবে আগের মাস অক্টোবরের চেয়ে ১ দশমিক ৫৭ শতাংশ কম। গত অক্টোবরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১১ কোটি ডলার। সবমিলে
গত বছরের ১ জুলাই থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠালে ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এই প্রণোদনা দেওয়ার ফলে ২০১৯-২০ অর্থবছরের শুরু থেকে প্রতি মাসেই রেমিট্যান্স বাড়তে থাকে। তবে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনার প্রভাবে গত অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিলে রেমিট্যান্সের গতি নিম্নমুখী হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন : বাজারে জিনিসপত্রের দামে আগুন : অসহায় ক্রেতা
রোজার ঈদের মাস মে থেকে আবার ঊর্ধ্বগতি ধারায় ফেরে রেমিট্যান্স এবং কোরবানির ঈদের পর থেকে এখন পর্যন্তো এই ঊর্ধ্বগতি ধারা বজায় রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, গত সেপ্টেম্বরে ২১৫ কোটি ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। আগস্টে আসে ১৯৬ কোটি ডলার। আর গত জুলাইয়ে ছিল একক মাস হিসেবে রেমিট্যান্সের সর্বোচ্চ রেকর্ড, ২৫৯ কোটি ডলার। এর আগে এক মাসে এত বেশি রেমিট্যান্স আসার নজির নেই।
এদিকে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট এক হাজার ৮২০ কোটি ৩০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স আসে। ওই অঙ্ক ছিল আগের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের চেয়ে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেশি।