Dhaka বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৫ মামলায় ক্ষমা পেলেন সু চি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে পাঁচ অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে দেশটির জান্তা সরকার।

মঙ্গলবার (১ আগস্ট) স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি ও রয়টার্স।

এতে বলা হয়, প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে সু চিসহ সাত হাজারের বেশি বন্দিকে ক্ষমা করে দিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। পাঁচ অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার কারণে ৩৩ বছরের কারাদণ্ড কমল সু চির।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়, রাজ্য প্রশাসনিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অং সান সু চিকে ক্ষমা করেছেন।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। গ্রেপ্তার করা হয় নোবেলজয়ী অং সান সু চিসহ তাঁর দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) শীর্ষ নেতাদের। শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কয়েক দশক ধরে আন্দোলন চালিয়েছেন। রাজনৈতিক জীবনে বেশির ভাগ সময়ই তাঁকে বিভিন্ন সেনা সরকারের অধীনে বন্দিদশায় কাটাতে হয়েছে।

সম্প্রতি মিয়ানমারের জান্তা সরকার দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চিকে কারাগার থেকে বের করে রাজধানী নেপিডোতে গৃহবন্দী করে রাখা হয়।

এদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে। ২১-এর অভ্যুত্থানে সু চির পরপরই তিনি গ্রেফতার হন।

সুচির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, ওয়াকি-টকি, নির্বাচনে কারচুপিসহ অনেক অভিযোগে মামলা রয়েছে। কয়েকটিতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন ৭৮ বছর বয়সী এই নোবেলজয়ী।

জান্তা মুখপাত্র বলেন, সু চি গৃহবন্দি অবস্থাতেই থাকবেন।

তার শাসনামলে রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নকে সমর্থন  জানিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত হন। এমনকি আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগের মামলায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পক্ষে সাফাই গেয়েছিলেন তিনি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

৫ মামলায় ক্ষমা পেলেন সু চি

প্রকাশের সময় : ০৪:১০:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে পাঁচ অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে দেশটির জান্তা সরকার।

মঙ্গলবার (১ আগস্ট) স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি ও রয়টার্স।

এতে বলা হয়, প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে সু চিসহ সাত হাজারের বেশি বন্দিকে ক্ষমা করে দিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। পাঁচ অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার কারণে ৩৩ বছরের কারাদণ্ড কমল সু চির।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়, রাজ্য প্রশাসনিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অং সান সু চিকে ক্ষমা করেছেন।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। গ্রেপ্তার করা হয় নোবেলজয়ী অং সান সু চিসহ তাঁর দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) শীর্ষ নেতাদের। শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কয়েক দশক ধরে আন্দোলন চালিয়েছেন। রাজনৈতিক জীবনে বেশির ভাগ সময়ই তাঁকে বিভিন্ন সেনা সরকারের অধীনে বন্দিদশায় কাটাতে হয়েছে।

সম্প্রতি মিয়ানমারের জান্তা সরকার দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চিকে কারাগার থেকে বের করে রাজধানী নেপিডোতে গৃহবন্দী করে রাখা হয়।

এদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে। ২১-এর অভ্যুত্থানে সু চির পরপরই তিনি গ্রেফতার হন।

সুচির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, ওয়াকি-টকি, নির্বাচনে কারচুপিসহ অনেক অভিযোগে মামলা রয়েছে। কয়েকটিতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন ৭৮ বছর বয়সী এই নোবেলজয়ী।

জান্তা মুখপাত্র বলেন, সু চি গৃহবন্দি অবস্থাতেই থাকবেন।

তার শাসনামলে রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নকে সমর্থন  জানিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত হন। এমনকি আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগের মামলায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পক্ষে সাফাই গেয়েছিলেন তিনি।