Dhaka মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৫ নারীকে বিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে: এক স্ত্রীর মৃত্যু

সংগৃহীত ছবি

প্রেমের ফাঁদে ফেলে একে একে পাঁচটি বিয়ে করেছেন। এক এক করে তিন স্ত্রী আত্মহত্যা করেন। এক স্ত্রী পালিয়েছেন। সবশেষ চতুর্থ স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে রহস্যজনকভাবে। আর তখই একাধিক বিয়ের বিষয়টি সবার নজরে আসে।

বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ এলাকা থেকে চতুর্থ স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়।

এর আগেরদিন বুধবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত গৃহবধূর নাম মৌসুমী। তিনি উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বেড়কালোয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের পালিত মেয়ে। ঘাতক স্বামী রবিউল আলম শিলাইদহ ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামের মৃত শাজাহানের ছেলে।

নিহতের পরিবারের দাবি, তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই স্বামী পলাতক রয়েছে।

বেড়কালোয়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম জানান, মৃত মৌসুমী তার পালক কন্যা। তিনি সম্পর্কে মৌসুমীর মামা। ছোটকাল থেকে তিনি মৌসুমীকে লালন-পালন করে বড় করেন। মৌসুমী অনার্স পড়াকালীন রবিউল আলমের সঙ্গে দুই বছর আগে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং পালিয়ে এসে রবিউলকে বিয়ে করেন। সেই সময় রবিউলের স্ত্রী থাকাবস্থায় চতুর্থ স্ত্রী হিসেবে মৌসুমীকে বিয়ে করেন।

আরও পড়ুন : বগুড়ায় পুলিশের জালে যমুনার ‘কুমির’

তিনি বলেন, এর আগে আরও তিনটি স্ত্রী ছিল রবিউলের। তাদের মধ্যে কল্যাণপুরের সাকেরের মেয়ে জ্যোৎস্নাকে বিয়ে করার পর নির্যাতন করার কারণে একটি ছেলেসন্তান রেখে আত্মহত্যা করে।

তারপর দয়ারামপুর গ্রামের সাজাইয়ের মেয়ে মনিরাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করার পর মনিরা সন্তানসম্ভবা অবস্থায় আত্মহত্যা করে। এবং মৌসুমী চার মাসের ছেলেসন্তান থাকাকালীন রবিউল আরেকটি মেয়েকে প্রেমে জড়িয়ে বিয়ে করে কুমারখালী শহরে বাসা ভাড়া করে থাকে।

তিনি আরও বলেন, সুইসাইড নোট তার ভাতিজিকে দিয়ে জোরপূর্বক লিখিয়ে রবিউল তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে দিয়েছে।

এ বিষয়ে রবিউল আলমের বড় ভাই সাব-ইন্সপেক্টর রানা বলেন, তার ভাইয়ের এ ধরনের ন্যক্কারজনক কাজে তারা অতিষ্ঠ। তবে একাধিক বিয়ের বিষয়ে তার ভাই যতটুকু দায়ী মেয়ে পক্ষও কোনো অংশে কম দায়ী নয়।

তিনি বলেন, মৌসুমীকে বিয়ে না করার জন্য দুই বছর আগে অনেক বুঝিয়েছিলেন। কিন্তু সে সময় মৌসুমী তার কথা শুনেনি।

কুমারখালী থানার ওসি মো. মজিবুর রহমান জানান, চার মাসের সন্তান রেখে মৌসুমী নামে এক গৃহবধূ মারা গেছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসার পর জানা যাবে। এ বিষয়ে ইউডি মামলা হয়েছে।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মাইলস্টোনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত ৩

৫ নারীকে বিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে: এক স্ত্রীর মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ০৭:১০:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০

প্রেমের ফাঁদে ফেলে একে একে পাঁচটি বিয়ে করেছেন। এক এক করে তিন স্ত্রী আত্মহত্যা করেন। এক স্ত্রী পালিয়েছেন। সবশেষ চতুর্থ স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে রহস্যজনকভাবে। আর তখই একাধিক বিয়ের বিষয়টি সবার নজরে আসে।

বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ এলাকা থেকে চতুর্থ স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়।

এর আগেরদিন বুধবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত গৃহবধূর নাম মৌসুমী। তিনি উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বেড়কালোয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের পালিত মেয়ে। ঘাতক স্বামী রবিউল আলম শিলাইদহ ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামের মৃত শাজাহানের ছেলে।

নিহতের পরিবারের দাবি, তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই স্বামী পলাতক রয়েছে।

বেড়কালোয়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম জানান, মৃত মৌসুমী তার পালক কন্যা। তিনি সম্পর্কে মৌসুমীর মামা। ছোটকাল থেকে তিনি মৌসুমীকে লালন-পালন করে বড় করেন। মৌসুমী অনার্স পড়াকালীন রবিউল আলমের সঙ্গে দুই বছর আগে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং পালিয়ে এসে রবিউলকে বিয়ে করেন। সেই সময় রবিউলের স্ত্রী থাকাবস্থায় চতুর্থ স্ত্রী হিসেবে মৌসুমীকে বিয়ে করেন।

আরও পড়ুন : বগুড়ায় পুলিশের জালে যমুনার ‘কুমির’

তিনি বলেন, এর আগে আরও তিনটি স্ত্রী ছিল রবিউলের। তাদের মধ্যে কল্যাণপুরের সাকেরের মেয়ে জ্যোৎস্নাকে বিয়ে করার পর নির্যাতন করার কারণে একটি ছেলেসন্তান রেখে আত্মহত্যা করে।

তারপর দয়ারামপুর গ্রামের সাজাইয়ের মেয়ে মনিরাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করার পর মনিরা সন্তানসম্ভবা অবস্থায় আত্মহত্যা করে। এবং মৌসুমী চার মাসের ছেলেসন্তান থাকাকালীন রবিউল আরেকটি মেয়েকে প্রেমে জড়িয়ে বিয়ে করে কুমারখালী শহরে বাসা ভাড়া করে থাকে।

তিনি আরও বলেন, সুইসাইড নোট তার ভাতিজিকে দিয়ে জোরপূর্বক লিখিয়ে রবিউল তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে দিয়েছে।

এ বিষয়ে রবিউল আলমের বড় ভাই সাব-ইন্সপেক্টর রানা বলেন, তার ভাইয়ের এ ধরনের ন্যক্কারজনক কাজে তারা অতিষ্ঠ। তবে একাধিক বিয়ের বিষয়ে তার ভাই যতটুকু দায়ী মেয়ে পক্ষও কোনো অংশে কম দায়ী নয়।

তিনি বলেন, মৌসুমীকে বিয়ে না করার জন্য দুই বছর আগে অনেক বুঝিয়েছিলেন। কিন্তু সে সময় মৌসুমী তার কথা শুনেনি।

কুমারখালী থানার ওসি মো. মজিবুর রহমান জানান, চার মাসের সন্তান রেখে মৌসুমী নামে এক গৃহবধূ মারা গেছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসার পর জানা যাবে। এ বিষয়ে ইউডি মামলা হয়েছে।