আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
পাকিস্তানের ইসলামাবাদ এবং রাওয়ালপিন্ডির কাছে শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। একই সঙ্গে খাইবার পাখতুনখোয়াতেও আরেকটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পাকিস্তানের জাতীয় ভূকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (এনএসএমসি) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৫.৫ এবং দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে এটি অনুভূত হয়।
রাজধানী ইসলামাবাদ, লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি, পেশোয়ার, নওশেরাসহ দেশটির ছোটো-বড় সব শহর ও গ্রামে অনুভূত হয়েছে কম্পন। পাকিস্তানের ভূমিকম্প গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল সিসমিক মনিটরিং সেন্টার জানিয়েছে, পাঞ্জাব প্রদেশের রাওয়ালপিন্ডি থেকে ৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ভূপৃষ্ঠের ১২ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল।
তবে সাধারণ মানুষ বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। রাজধানী ইসলামাবাদের এক বাসিন্দা জিও নিউজকে বলেন, সেক্টর ১১ এলাকার যে ভবনে আমি থাকি, হঠাৎ দেখলাম ভবনটি ডানে-বামে দুলছে। সঙ্গে সঙ্গে আমি ছুটে বাইরে বের হলাম। তাৎক্ষণিকভাবে আমরা খুব আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম।
ভৌগলিকভাবে ভারতীয় ও ইউরাশীয় টেকটোনিক প্লেটের একটি সংযোগস্থলে পাকিস্তানের অবস্থান। তাই এ দুই টেকটোনিক প্লেটের কোনোটি অবস্থান পরিবর্তন করলেই ভূমিকম্প হয় দেশটিতে।
২০১৫ সালে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৪০০ মানুষ।
একই দিন পাপুয়া নিউ গিনির নিউ আয়ারল্যান্ড প্রদেশের উপকূলে ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শনিবার (১২ এপ্রিল) মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।
কোকোপো শহর থেকে প্রায় ১১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ৭২ কিলোমিটার (৪৪ মাইল) গভীরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
কোকোপো বিচ বাংলো রিসোর্টের অভ্যর্থনাকারী ইমোঙ্ক অ্যাবেলিস বলেন, ভূমিকম্পটি প্রায় এক মিনিট স্থায়ী হয়েছিল। কিন্তু এলাকার আশপাশে কোনো ক্ষতি হয়নি। পাপুয়া নিউ গিনিতে ভূমিকম্প প্রায়শই হয়। কারণ দেশটির অবস্থান রিং অব ফায়ারে।