নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, এ জাতি ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট যেমন ঐক্যবদ্ধ ছিল, তেমনিভাবে আজকেও আমাদের সেই ঐক্যে অটুট থাকতে হবে। যদি আমাদের মধ্যে কোনো বিভাজন সৃষ্টি হয়, তবে তার সুযোগ নেবে ‘পতিত স্বৈরাচার’ এবং তাদের দোসররা। তাই ৫ আগস্টের মতো ঐক্যবদ্ধ থাকলে, আগামী নির্বাচনেও দেশ লাভবান হবে।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের উদ্যোগে ‘মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতি ২০২৪ এর ৫ আগস্ট যেমন ঐক্যবদ্ধ ছিল, তেমনিভাবে আজকেও আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। স্বৈরাচার তো পালিয়েছে, কিন্তু স্বৈরাচারের দোসর এখনও এই দেশে আছে।
ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘৭ নভেম্বর যে ঐক্য হয়েছিল, সেই ঐক্য আজকে আবারও প্রয়োজন। ২০২৬ এর ফেব্রুয়ারির মধ্য সময়ে জাতীয় নির্বাচন হবে। স্বৈরাচার ও কর্তৃত্ববাদী সরকার দেশের অর্থনীতিতে খালি করে দিয়েছে। এছাড়া দেশের সার্বভৌমত্বকে অলমোস্ট অন্য একটি দেশের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে যারা পালিয়ে গেছেন, তারা ওইখানে (ভারত) বসে বসে— সেই পুরোনো স্টাইলে আগুন সন্ত্রাস করছে। শেখ হাসিনার বিচারের রায়ের সময় দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিশৃঙ্খলা করে সেই পুরোনো কায়দায় আগুন সন্ত্রাস করতে তারা (আওয়ামী লীগ) আবারও মাঠে নেমেছে।’
ডা. জাহিদ বলেন, ‘আজকে যদি আমাদের মধ্যে কোনও বিভাজন হয়, তাহলে লাভ হবে পতিত স্বৈরাচারের। আর এর ফসল ভোগ করার জন্য তারা উঠে পড়ে লেগে আছে। আমাদের ঐক্যকে যদি তারা বিনষ্ট করতে পারে, তাহলে তারা ঐক্যের ফাটল দিয়ে প্রবেশ করার চেষ্টা করবে। এ জাতি ২০২৪ এর ৫ আগস্ট যেমন ঐক্যবদ্ধ ছিল, তেমনিভাবে আজকেও আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। স্বৈরাচার তো পালিয়েছে, কিন্তু স্বৈরাচারের দোসর এখনও এই দেশে আছে। কাজেই আমাদের আশেপাশের মানুষের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, “সেই পুরনো আগুন সন্ত্রাসের কথা অনেকের মনে আছে, শেরাটন হোটেলের সামনে দোতলা বিআরটিসি বাসে গানপাউডার দিয়ে ১১ জন মানুষকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল ১৭৪দিন হরতাল করে। সেই সময়ে যারা করেছিল, তারাই দেখেন আজকে বিচারের রায় হবে… সেটার আগে এবং পরে বিভিন্নভাবে দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা এবং সেই পুরনো আগুন সন্ত্রাসকে নিয়ে তারা আবার মাঠে নেমেছে।
ভূমিকম্পে জানমাল রক্ষায় সরকারের জরুরি ভিত্তিতে করণীয় ঠিক করা উচিত বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এখন থেকে যদি আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে অর্থাৎ বর্তমান সরকারে যিনারাই আছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন, পুরনো ঢাকার যে বিল্ডিংগুলোর কথা মনে চিন্তা করেন, আর তুরস্কে বা ইরানে যে ভূমিকম্প হয় বা আফগানিস্তানে যে ভূমিকম্প হয় সেটার চিন্তা করেন। আর আজকে সকালে ভূমিকম্পের পর নিশ্চয়ই ভাবার কোনো কারণ নেই যে- আমাদের খুব আরামে থাকার সম্ভাবনা আছে। কাজেই সার্বিকভাবে আমি সরকারকে এবং সেই সাথে সচেতন সকল মানুষকে এবং এটার সাথে বিশেষ করে জিওলজিক্যাল সার্ভে এবং যারা বিল্ডিংয়ের ডিজাইন অ্যান্ড প্লানিং করেন; সবকিছু মিলিয়ে আমার মনে হয়, দিস ইজ রাইট টাইম। আর বেশি দেরি করলে বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যেতে পারে, তার থেকে যাতে কম ক্ষয়ক্ষতি কীভাবে করা যায়, তার উদ্যোগ নেয়া উচিত।
মৎস্যজীবী উত্তরের আহ্বায়ক আমির হোসেন আমিরের সভাপতিত্বে এবং দক্ষিণের সদস্য সচিব কে এম সোহেল রানা ও উত্তরের সদস্য সচিব বাকি বিল্লাহর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন মৎস্যজীবী দলের সাবেক সদস্য সচিব আবদুর রহিম, দক্ষিণের আহ্বায়ক শাহ আলম।
নিজস্ব প্রতিবেদক 
























