Dhaka মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৫৬-তে পা রাখলেন নগর বাউল জেমস

নগর বাউল জেমস

ভক্তরা তাকে ডাকে গুরু বলে। আবার কেউ বলে বাউল। যার গানের সুরে মাতোয়ারা হয়ে ওঠেন শ্রোতারা। আড্ডা দিতে পছন্দ করেন জেমস। শুক্রবার নগর বাউল খ্যাত মাহফুজ আনাম জেমস ৫৬ বছরে পা রাখলেন। ২ অক্টোবর এই শিল্পীর জন্মদিন। ১৯৬৪ সালের এদিনে নওগাঁ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তবে বেড়ে ওঠেন চট্টগ্রামে।

জেমস বলেন, একদিন হুট করে এই শহর ছেড়ে চলে যাব নিজ গ্রামে। সেখানে গিয়ে চাষবাস করবো! এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলছিলেন জেমস। আর এমন কথা আসলে তার মুখেই শোভা পায়।

মাহফুজ আনাম জেমস জন্মদিন প্রসঙ্গে বলেন, করোনা মহামারির কারণে গত সাত মাস ধরে ঘর থেকে বের হচ্ছি না। জন্মদিনেও তাই হবে। ছেলে-মেয়ের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা হয়, হবে। আমি কবিতা, ছবি তোলা এসব নিয়েই দিন কাটাচ্ছি। এ সময়ে কোনো আয়োজন করা ঠিক না। ভ্যাকসিন আসা পর্যন্ত সাবধানে থাকতে হবে।

জেমসের বাবা ছিলেন একজন সরকারি কর্মকর্তা। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বাবার সঙ্গে গান নিয়ে অভিমান করে বাড়ি ছাড়েন জেমস। চট্টগ্রামের আজিজ বোর্ডিংয়ে থাকা শুরু করেন। সেখানে থেকেই তার সংগীত জীবনের শুরু।

আরও পড়ুন : ডিপজলের ছেলের বিয়েতে রাজকীয় আয়োজন

১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় ব্যান্ড ‘ফিলিংস’। জেমস ছিলেন সেই ব্যান্ডের প্রধান গিটারিস্ট ও ভোকালিস্ট। ১৯৮৭ সালে তার প্রথম অ্যালবাম ‘ষ্টেশন রোড’ প্রকাশিত হয়। ১৯৮৮ সালে ‘অনন্যা’ নামের অ্যালবাম প্রকাশ করে সুপারহিট হয়ে যান তিনি। এরপর ১৯৯০ সালে ‘জেল থেকে বলছি’, ১৯৯৬ সালে ‘নগর বাউল’, ১৯৯৮ সালে ‘লেইস ফিতা লেইস’ এবং ১৯৯৯ সালে ‘কালেকশন অফ ফিলিংস’ অ্যালবামগুলো ‘ফিলিংস’ থেকে বের করা হয়।

‘নগর বাউল’ ব্যান্ডের অ্যালবামগুলো হলো- ‘দুষ্টু ছেলের দল’ ও ‘বিজলি’। জেমসের একক অ্যালবামগুলো হলো- ‘অনন্যা’, ‘পালাবি কোথায়’, ‘দুঃখিনী দুঃখ করো না’, ‘ঠিক আছে বন্ধু’, ‘আমি তোমাদেরই লোক’, ‘জনতা এক্সপ্রেস’, ‘তুফান’ ও ‘কাল যমুনা’।

চলচ্চিত্র প্লেব্যাকেও সফল হয়েছেন জেমস। ২০১৪ সালে ‘দেশা-দ্য লিডার’ ও ২০১৭ সালে ‘সত্ত্বা’ ছবির ‘তোর প্রেমেতে অন্ধ আমি’ গানের জন্য দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

শুধু দেশ নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও ব্যাপক জনপ্রিয় এই তারকা শিল্পী। বাংলা গানের পাশাপাশি ‘গ্যাংস্টার’ ছবির ‘ভিগি ভিগি’ গানটির মাধ্যমে বলিউডে যাত্রা শুরু হয় তার। এরপর ‘ও লামহে’ ছবিতে ‘চল চলে’ এবং ‘লাইফ ইন এ মেট্রো’ ছবির ‘আলবিদা’ ও ‘রিশ্তে’ শিরোনামের গানগুলো গেয়ে আলোচিত হয়েছেন তিনি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

৫৬-তে পা রাখলেন নগর বাউল জেমস

প্রকাশের সময় : ০৪:৫২:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অক্টোবর ২০২০

ভক্তরা তাকে ডাকে গুরু বলে। আবার কেউ বলে বাউল। যার গানের সুরে মাতোয়ারা হয়ে ওঠেন শ্রোতারা। আড্ডা দিতে পছন্দ করেন জেমস। শুক্রবার নগর বাউল খ্যাত মাহফুজ আনাম জেমস ৫৬ বছরে পা রাখলেন। ২ অক্টোবর এই শিল্পীর জন্মদিন। ১৯৬৪ সালের এদিনে নওগাঁ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তবে বেড়ে ওঠেন চট্টগ্রামে।

জেমস বলেন, একদিন হুট করে এই শহর ছেড়ে চলে যাব নিজ গ্রামে। সেখানে গিয়ে চাষবাস করবো! এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলছিলেন জেমস। আর এমন কথা আসলে তার মুখেই শোভা পায়।

মাহফুজ আনাম জেমস জন্মদিন প্রসঙ্গে বলেন, করোনা মহামারির কারণে গত সাত মাস ধরে ঘর থেকে বের হচ্ছি না। জন্মদিনেও তাই হবে। ছেলে-মেয়ের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা হয়, হবে। আমি কবিতা, ছবি তোলা এসব নিয়েই দিন কাটাচ্ছি। এ সময়ে কোনো আয়োজন করা ঠিক না। ভ্যাকসিন আসা পর্যন্ত সাবধানে থাকতে হবে।

জেমসের বাবা ছিলেন একজন সরকারি কর্মকর্তা। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বাবার সঙ্গে গান নিয়ে অভিমান করে বাড়ি ছাড়েন জেমস। চট্টগ্রামের আজিজ বোর্ডিংয়ে থাকা শুরু করেন। সেখানে থেকেই তার সংগীত জীবনের শুরু।

আরও পড়ুন : ডিপজলের ছেলের বিয়েতে রাজকীয় আয়োজন

১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় ব্যান্ড ‘ফিলিংস’। জেমস ছিলেন সেই ব্যান্ডের প্রধান গিটারিস্ট ও ভোকালিস্ট। ১৯৮৭ সালে তার প্রথম অ্যালবাম ‘ষ্টেশন রোড’ প্রকাশিত হয়। ১৯৮৮ সালে ‘অনন্যা’ নামের অ্যালবাম প্রকাশ করে সুপারহিট হয়ে যান তিনি। এরপর ১৯৯০ সালে ‘জেল থেকে বলছি’, ১৯৯৬ সালে ‘নগর বাউল’, ১৯৯৮ সালে ‘লেইস ফিতা লেইস’ এবং ১৯৯৯ সালে ‘কালেকশন অফ ফিলিংস’ অ্যালবামগুলো ‘ফিলিংস’ থেকে বের করা হয়।

‘নগর বাউল’ ব্যান্ডের অ্যালবামগুলো হলো- ‘দুষ্টু ছেলের দল’ ও ‘বিজলি’। জেমসের একক অ্যালবামগুলো হলো- ‘অনন্যা’, ‘পালাবি কোথায়’, ‘দুঃখিনী দুঃখ করো না’, ‘ঠিক আছে বন্ধু’, ‘আমি তোমাদেরই লোক’, ‘জনতা এক্সপ্রেস’, ‘তুফান’ ও ‘কাল যমুনা’।

চলচ্চিত্র প্লেব্যাকেও সফল হয়েছেন জেমস। ২০১৪ সালে ‘দেশা-দ্য লিডার’ ও ২০১৭ সালে ‘সত্ত্বা’ ছবির ‘তোর প্রেমেতে অন্ধ আমি’ গানের জন্য দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

শুধু দেশ নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও ব্যাপক জনপ্রিয় এই তারকা শিল্পী। বাংলা গানের পাশাপাশি ‘গ্যাংস্টার’ ছবির ‘ভিগি ভিগি’ গানটির মাধ্যমে বলিউডে যাত্রা শুরু হয় তার। এরপর ‘ও লামহে’ ছবিতে ‘চল চলে’ এবং ‘লাইফ ইন এ মেট্রো’ ছবির ‘আলবিদা’ ও ‘রিশ্তে’ শিরোনামের গানগুলো গেয়ে আলোচিত হয়েছেন তিনি।