নিজস্ব প্রতিবেদক :
এক বছরের বেশি সময় ধরে দাম বাড়ার পর ডলারের ক্রয়-বিক্রয় দর ৫০ পয়সা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ লিমিটেড (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা)।
গত বছরের তুলনায় এ বছর বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার বাজার ভালো অবস্থানে থাকায় বুধবার (২২ নভেম্বর) টাকার বিপরীতে ডলারের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত হয়। নতুন এ দর বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হবে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রফতানি আয় এবং রেমিট্যান্সের জন্য ডলারের ক্রয়মূল্য ১১০ টাকা ৫০ পয়সা থেকে কমে ১১০ টাকা করা হয়েছে। আমদানি নিষ্পত্তির জন্য ডলার বিক্রির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা, যা আগে ছিল ১১১ টাকা।
এবিবি’র চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার বাজার ভালো অবস্থানে থাকায় টাকার বিপরীতে ডলারের দাম কমেছে।
একই বিষয়ে বাফেদার চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম বলেন, আগে আমাদের চলতি হিসাবে ঘাটতি কাটিয়ে উদ্বৃত্ত হয়েছে। যা দেড় বছর আগেও প্রায় ১৮ বিলিয়ন ঘাটতি ছিল। যা বর্তমানে প্রায় ৯ বিলিয়ন উদ্বৃত্ত রয়েছে। সেই হিসাবে বাজারে ডলারের সংকট থাকার কথা না। বর্তমানে ডলার বাজারের যে চিত্র দেখা যাচ্ছে, সেটি প্রকৃত চিত্র নয়।
তিনি আরও বলেন, এখন বাজারে ডলারের দর বাড়ার যে প্রবণতা, সেটি থাকার কোনো কারণ নেই।
এর আগে, ৩১ অক্টোবর এবিবি ও বাফেদা রেমিট্যান্স এবং রপ্তানি আয়ের জন্য ডলারের আনুষ্ঠানিক ক্রয়-বিক্রয় হার যথাক্রমে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা এবং ১১১ টাকায় বাড়ায়। এর আগে ব্যাংকগুলো ১১০ টাকায় ডলার কিনে তা ১১০ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি করতে পারত।
আজকে আন্তঃব্যাংকে ডলার লেনদেন হয়েছে ১১১ টাকায়। তবে কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজারে নগদ এক ডলার কিনতে গ্রাহকদের গুণতে হচ্ছে ১২৪ টাকা। চিকিৎসা, শিক্ষা বা ভ্রমণের জন্য যারা বিদেশে যাচ্ছেন তাদের নগদ প্রতি ডলার কিনতে খরচ করতে হচ্ছে ১২৪ টাকা পর্যন্ত। যদিও মানি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর জন্য ১১৫ টাকা ৫০ পয়সায় কেনা ও সর্বোচ্চ ১১৭ টাকায় বিক্রির দর নির্ধারণ করা আছে। কিন্তু এ দামে ডলার মিলছে না বলে জানিয়েছে মানি চেঞ্জারগুলো।