Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৩৬তম স্প্যান বসে পদ্মা সেতুর দৃশ্যমান সাড়ে ৫ কিলোমিটার

সংগৃহীত ছবি

পদ্মা সেতুতে বসলো ৩৬তম স্প্যান। এ নিয়ে পদ্মা সেতুর দৈর্শ্য হলো প্রায় সাড়ে ৫ি কিলোমিটার। করোনার মধ্যেও ৩৫ তম স্প্যান বসানোর মাত্র ছয় দিনের মাথায় ৩৬তম স্প্যান বসলো।

মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ২ ও ৩ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হলো ৩৬তম স্প্যান। এই স্প্যানটি বসানোর ফলে সেতুর দৃশ্যমান হলো ৫৪০০ মিটার অর্থ্যাৎ ৫.৪০ কিলোমিটার।

শুক্রবার (৬ নভেম্বর) সকাল ৯টা ৪২ মিনিটে ৩৬তম স্প্যান বসানো শেষ হয় বলে জানিয়েছেন পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের।

তিনি বলেন, ৩৬তম স্প্যানটি বসানোর ফলে ৪১টি স্প্যানের মধ্যে এখন আর মাত্র ৫টি স্প্যান বসতে বাকি থাকলো। মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে বাকি ৫ স্প্যান পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে। সবকিছু আমাদের অনুকূল থাকলে আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বাকি স্প্যান গুলো বসানোর কাজ শেষ করতে পারবো।

আরও পড়ুন : দুই গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ চালকই নিহত

এর আগে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের মূল সেতুর কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ অফ লিমিটেড (গইঊঈ) সেতুর ৩৬ তম স্প্যান ২ ও ৩ নম্বর পিলারের ওপর স্থাপনের লক্ষ্যে।

বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) দুপুর ১ টার দিকে মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ভাসমান ক্রেনের মাধ্যমে স্প্যানটিকে নিয়ে এসে রাখা হয় নির্ধারিত পিলারের কাছে।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের পুরো সেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসানো হবে। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়েছিল পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ।

বর্তমানে মূল সেতুর কাজের বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে ৯০.৫০ ভাগ। আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৮০.০৩ ভাগ। নদী শাসনের বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে ৭৫ ভাগ। সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়ার বাস্তব কাজের অগ্রগতি ১০০ ভাগ বলে জানা গেছে।

তাছাড়া,মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

উল্লেখ্য, গত মাসের ১১ অক্টোবর ৩২ তম, ১৯ অক্টোবর ৩৩ তম, ২৫ অক্টোবর ৩৪ তম এবং ৩১ অক্টোবর ৩৫ স্প্যান বসানো হয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

৩৬তম স্প্যান বসে পদ্মা সেতুর দৃশ্যমান সাড়ে ৫ কিলোমিটার

প্রকাশের সময় : ০৮:০৪:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ নভেম্বর ২০২০

পদ্মা সেতুতে বসলো ৩৬তম স্প্যান। এ নিয়ে পদ্মা সেতুর দৈর্শ্য হলো প্রায় সাড়ে ৫ি কিলোমিটার। করোনার মধ্যেও ৩৫ তম স্প্যান বসানোর মাত্র ছয় দিনের মাথায় ৩৬তম স্প্যান বসলো।

মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ২ ও ৩ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হলো ৩৬তম স্প্যান। এই স্প্যানটি বসানোর ফলে সেতুর দৃশ্যমান হলো ৫৪০০ মিটার অর্থ্যাৎ ৫.৪০ কিলোমিটার।

শুক্রবার (৬ নভেম্বর) সকাল ৯টা ৪২ মিনিটে ৩৬তম স্প্যান বসানো শেষ হয় বলে জানিয়েছেন পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের।

তিনি বলেন, ৩৬তম স্প্যানটি বসানোর ফলে ৪১টি স্প্যানের মধ্যে এখন আর মাত্র ৫টি স্প্যান বসতে বাকি থাকলো। মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে বাকি ৫ স্প্যান পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে। সবকিছু আমাদের অনুকূল থাকলে আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বাকি স্প্যান গুলো বসানোর কাজ শেষ করতে পারবো।

আরও পড়ুন : দুই গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ চালকই নিহত

এর আগে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের মূল সেতুর কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ অফ লিমিটেড (গইঊঈ) সেতুর ৩৬ তম স্প্যান ২ ও ৩ নম্বর পিলারের ওপর স্থাপনের লক্ষ্যে।

বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) দুপুর ১ টার দিকে মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ভাসমান ক্রেনের মাধ্যমে স্প্যানটিকে নিয়ে এসে রাখা হয় নির্ধারিত পিলারের কাছে।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের পুরো সেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসানো হবে। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়েছিল পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ।

বর্তমানে মূল সেতুর কাজের বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে ৯০.৫০ ভাগ। আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৮০.০৩ ভাগ। নদী শাসনের বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে ৭৫ ভাগ। সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়ার বাস্তব কাজের অগ্রগতি ১০০ ভাগ বলে জানা গেছে।

তাছাড়া,মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

উল্লেখ্য, গত মাসের ১১ অক্টোবর ৩২ তম, ১৯ অক্টোবর ৩৩ তম, ২৫ অক্টোবর ৩৪ তম এবং ৩১ অক্টোবর ৩৫ স্প্যান বসানো হয়েছে।