Dhaka রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে এ বছর ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হবে না। ওড়ানো যাবে না ফানুস। এছাড়া থার্টি ফার্স্ট নাইট ও খ্রিস্টীয় নববর্ষ উপলক্ষ্যে বাঁশি বাজানো, পটকা ফোটানো বা আতশবাজি ফোটানো থেকে বিরত থাকতে হবে। ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর থেকে ঢাকা মহানগরীসহ দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানের রাস্তায় পুলিশের চেক পোস্ট বসানো হবে।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বিধায় থার্টি ফার্স্ট নাইট কেন্দ্র করে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশের উন্মুক্ত স্থানসমূহে কোনো ধরনের গান-বাজনার অনুষ্ঠান আয়োজন করা যাবে না।

তিনি আরও বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট এবং খ্রিস্টীয় নববর্ষ উপলক্ষে বাঁশি বাজানো, পটকা ফুটানো বা আতশবাজি ফোটানো থেকে বিরত থাকতে হবে। ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর থেকে ঢাকা মহানগরীসহ দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানের রাস্তায় পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হবে।

এছাড়া থার্টি ফার্স্ট নাইটে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার করে কেউ যেন রাস্তাঘাটে জন অসন্তুষ্টির কারণ ঘটাতে না পারে, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধে ২৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হতে পারে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, বড়দিন উপলক্ষে ঢাকা মহানগরীসহ নবাবগঞ্জ, কালীগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ জেলাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের চার্চসমূহে ও খ্রিস্টান অধ্যুষিত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। ২৫ ডিসেম্বর ‘বড়দিন’ ও ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ উপলক্ষে কূটনৈতিক এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হবে।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, আগামী ২৪ ডিসেম্বর সকাল থেকে ২৬ ডিসেম্বর সকাল পর্যন্ত গির্জা নিকটবর্তী এলাকায় পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। এ সময় ঢাকাসহ সারা দেশের গির্জাগুলোর নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ থাকবে।

মন্ত্রী বলেন, বড়দিন উদযাপন উপলক্ষ্যে চার্চগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আর্চওয়ে ও সিসি/আইপি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। চার্চগুলোর প্রবেশ পথে ভ্রাম্যমাণ দোকান ও নির্মাণ সামগ্রী থাকলে তা অপসারণ করা হবে। যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে ৯৯৯ নম্বরে কল আসামাত্র যাচাই করে সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় সহযোগিতা নিশ্চিত করা হবে।

বিএনপির ২০ হাজার নেতাকর্মী আটক হয়েছেন। গেল এক মাসে বিএনপির কত নেতাকর্মী আটক হয়েছেন? বলা হচ্ছে তাদের অনেকেই কারাগারে মারা গেছেন। এ ছাড়া মুখোশপরা বাহিনীও বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হামলা করছে। এ অবস্থায় মানবাধিকার পরিস্থিতি আপনি কীভাবে দেখছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনি কি ভুলে গেছেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে আমাদের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে তারা হত্যা করেছিল। আমাদের বিরুদ্ধে ২৫ হাজার ভুয়া মামলা দায়ের করেছিল তারা, যেগুলোর কোনো অস্তিত্ব ছিল না। সেগুলো আপনারা কি ভুলে গেছেন?

২৫ হাজার ভুয়া মামলার বিচার করেছেন কি না, প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এসব মামলার কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ ছিল না। এ কারণে এর অনেকগুলোই বাতিল হয়ে গেছে। ২৩ জুলাই থেকে আজকের তারিখ পর্যন্ত দৈনিক গড় গ্রেপ্তার হলো ১ হাজার ৯৫৬ জন। আর প্রতিদিন প্রায় সমানসংখ্যকই জামিন পাচ্ছেন। আমি মনে করি, যারা অপরাধ করেছেন, তারাই গ্রেপ্তার হয়েছেন। বিনা অপরাধে, বিনা পরোয়ানায় আজ পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আপনি সেই প্রমাণ অবশ্যই দিতে পারবেন না।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, পুলিশ কিংবা র‌্যাব যাদের গ্রেপ্তার করেছে, তারা অগ্নিসংযোগ করেছেন। একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় তারা আমাদের কত নেতাকে হত্যা করেছেন, সেগুলো বুঝি মানবাধিকারের পর্যায়ে পড়ে না! এগুলোকে যদি মানবাধিকারের পর্যায়ে নিয়ে আসা হতো, তাহলে তার একটি সদুত্তর আপনারা পেতেন।

এ সময়ে বিএনপিকে প্রধান বিরোধী দল বলায় আপত্তি তুলে মন্ত্রী বলেন, তারা প্রধান বিরোধী দল না। জাতীয় সংসদে তাদের কোনো প্রতিনিধি নেই। তারা একটি রাজনৈতিক দল, বলুন।

২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে সংঘাতের কথা তুলে ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেদিন তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ঢুকে গিয়েছিলেন, যা আপনাদের ক্যামেরায় বন্দি হয়েছে। সেগুলো তো এক-দুজন করেননি, কয়েক হাজার লোক সেখানে ছিলেন। তারা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের ভেতরে ঢুকে পড়েন, পুলিশ হাসপাতালে ঢুকে পড়েন। তারা পিটিয়ে পিটিয়ে পুলিশ ও আনসারকে হত্যা করেন। তাদের হামলায় সাংবাদিকরা পুলিশ হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিলেন, সেখানে তাদের পেটানো হয়।

তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির বাসভবনের পাশ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সভায় আমাদের নারী কর্মীরা যাচ্ছিলেন, তাদের পৈশাচিকভাবে পেটানো হয়। সেগুলো দেখলে আপনার চোখে জল এসে যেতো। প্রশ্ন করার সময় সেগুলো তুলে ধরলে আমার মনে একটু প্রশান্তি আসবে যে, আপনি (আপনারা) একদিকে কথা বলেন না। আপনার চোখ চতুর্দিকে খোলা রাখলে আরও সুন্দর করে প্রশ্ন করতে পারবেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৬:২২:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে এ বছর ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হবে না। ওড়ানো যাবে না ফানুস। এছাড়া থার্টি ফার্স্ট নাইট ও খ্রিস্টীয় নববর্ষ উপলক্ষ্যে বাঁশি বাজানো, পটকা ফোটানো বা আতশবাজি ফোটানো থেকে বিরত থাকতে হবে। ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর থেকে ঢাকা মহানগরীসহ দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানের রাস্তায় পুলিশের চেক পোস্ট বসানো হবে।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বিধায় থার্টি ফার্স্ট নাইট কেন্দ্র করে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশের উন্মুক্ত স্থানসমূহে কোনো ধরনের গান-বাজনার অনুষ্ঠান আয়োজন করা যাবে না।

তিনি আরও বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট এবং খ্রিস্টীয় নববর্ষ উপলক্ষে বাঁশি বাজানো, পটকা ফুটানো বা আতশবাজি ফোটানো থেকে বিরত থাকতে হবে। ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর থেকে ঢাকা মহানগরীসহ দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানের রাস্তায় পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হবে।

এছাড়া থার্টি ফার্স্ট নাইটে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার করে কেউ যেন রাস্তাঘাটে জন অসন্তুষ্টির কারণ ঘটাতে না পারে, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধে ২৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হতে পারে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, বড়দিন উপলক্ষে ঢাকা মহানগরীসহ নবাবগঞ্জ, কালীগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ জেলাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের চার্চসমূহে ও খ্রিস্টান অধ্যুষিত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। ২৫ ডিসেম্বর ‘বড়দিন’ ও ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ উপলক্ষে কূটনৈতিক এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হবে।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, আগামী ২৪ ডিসেম্বর সকাল থেকে ২৬ ডিসেম্বর সকাল পর্যন্ত গির্জা নিকটবর্তী এলাকায় পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। এ সময় ঢাকাসহ সারা দেশের গির্জাগুলোর নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ থাকবে।

মন্ত্রী বলেন, বড়দিন উদযাপন উপলক্ষ্যে চার্চগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আর্চওয়ে ও সিসি/আইপি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। চার্চগুলোর প্রবেশ পথে ভ্রাম্যমাণ দোকান ও নির্মাণ সামগ্রী থাকলে তা অপসারণ করা হবে। যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে ৯৯৯ নম্বরে কল আসামাত্র যাচাই করে সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় সহযোগিতা নিশ্চিত করা হবে।

বিএনপির ২০ হাজার নেতাকর্মী আটক হয়েছেন। গেল এক মাসে বিএনপির কত নেতাকর্মী আটক হয়েছেন? বলা হচ্ছে তাদের অনেকেই কারাগারে মারা গেছেন। এ ছাড়া মুখোশপরা বাহিনীও বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হামলা করছে। এ অবস্থায় মানবাধিকার পরিস্থিতি আপনি কীভাবে দেখছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনি কি ভুলে গেছেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে আমাদের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে তারা হত্যা করেছিল। আমাদের বিরুদ্ধে ২৫ হাজার ভুয়া মামলা দায়ের করেছিল তারা, যেগুলোর কোনো অস্তিত্ব ছিল না। সেগুলো আপনারা কি ভুলে গেছেন?

২৫ হাজার ভুয়া মামলার বিচার করেছেন কি না, প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এসব মামলার কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ ছিল না। এ কারণে এর অনেকগুলোই বাতিল হয়ে গেছে। ২৩ জুলাই থেকে আজকের তারিখ পর্যন্ত দৈনিক গড় গ্রেপ্তার হলো ১ হাজার ৯৫৬ জন। আর প্রতিদিন প্রায় সমানসংখ্যকই জামিন পাচ্ছেন। আমি মনে করি, যারা অপরাধ করেছেন, তারাই গ্রেপ্তার হয়েছেন। বিনা অপরাধে, বিনা পরোয়ানায় আজ পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আপনি সেই প্রমাণ অবশ্যই দিতে পারবেন না।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, পুলিশ কিংবা র‌্যাব যাদের গ্রেপ্তার করেছে, তারা অগ্নিসংযোগ করেছেন। একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় তারা আমাদের কত নেতাকে হত্যা করেছেন, সেগুলো বুঝি মানবাধিকারের পর্যায়ে পড়ে না! এগুলোকে যদি মানবাধিকারের পর্যায়ে নিয়ে আসা হতো, তাহলে তার একটি সদুত্তর আপনারা পেতেন।

এ সময়ে বিএনপিকে প্রধান বিরোধী দল বলায় আপত্তি তুলে মন্ত্রী বলেন, তারা প্রধান বিরোধী দল না। জাতীয় সংসদে তাদের কোনো প্রতিনিধি নেই। তারা একটি রাজনৈতিক দল, বলুন।

২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে সংঘাতের কথা তুলে ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেদিন তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ঢুকে গিয়েছিলেন, যা আপনাদের ক্যামেরায় বন্দি হয়েছে। সেগুলো তো এক-দুজন করেননি, কয়েক হাজার লোক সেখানে ছিলেন। তারা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের ভেতরে ঢুকে পড়েন, পুলিশ হাসপাতালে ঢুকে পড়েন। তারা পিটিয়ে পিটিয়ে পুলিশ ও আনসারকে হত্যা করেন। তাদের হামলায় সাংবাদিকরা পুলিশ হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিলেন, সেখানে তাদের পেটানো হয়।

তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির বাসভবনের পাশ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সভায় আমাদের নারী কর্মীরা যাচ্ছিলেন, তাদের পৈশাচিকভাবে পেটানো হয়। সেগুলো দেখলে আপনার চোখে জল এসে যেতো। প্রশ্ন করার সময় সেগুলো তুলে ধরলে আমার মনে একটু প্রশান্তি আসবে যে, আপনি (আপনারা) একদিকে কথা বলেন না। আপনার চোখ চতুর্দিকে খোলা রাখলে আরও সুন্দর করে প্রশ্ন করতে পারবেন।