Dhaka বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৩০ বছর পর মাতারবাড়ী-মহেশখালীকে সাংহাই-সিঙ্গাপুরের মতো দেখতে চাই : বিডার সভাপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী সভাপতি আশিক চৌধুরী বলেন, ৩০ বছর পর মাতারবাড়ী ও মহেশখালীকে চীনের সাংহাই বা সিঙ্গাপুরের বন্দরের মতো উন্নতমানের বন্দর তথা কমার্শিয়াল হাব হিসেবে দেখতে চাই। এ সময়ের মাধ্যমে ২৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

বিডার নির্বাহী সভাপতি বলেন, আগামী ১২০ দিনের মধ্যে প্রশাসনিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এমআইডিএ) মাধ্যমে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৩৩ হাজার একর আয়তনের জমিতে তিনটি ধাপে (২০২৫ থেকে ২০৩০, ২০৩০ থেকে ২০৪৫ ও ২০৪৫ থেকে ২০৫৫) এর কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে।

এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় দেড় লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিডা চেয়ারম্যান। এ লক্ষ্যে মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কতৃপক্ষের নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

মহেশখালী ও মাতারবাড়ি নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা জানিয়ে আশিক চৌধুরী বলেন, আমরা এটাকে টাউনশিপ হিসেবে দেখতে চাই। পৃথিবীর সবচেয়ে সাকসেসফুল ডিপ সি পোর্টস সহ টাউনশিপ হচ্ছে সিঙ্গাপুরকে বলা হয়, এবং আরেকটা পোর্টের কথা প্রায়ই উঠে আসে সেটা হচ্ছে সাংহাই। মনে করেন যে, আমরা যদি বাংলাদেশের একটা সিঙ্গাপুর করতে চাই, বা বাংলাদেশের ভিতরে একটা শাংহাই পোর্ট করতে চাই।

প্রকল্পের পরিকল্পনা ৩০ বছরের জন্য করা হয়েছে বলে জানান তিনি। বিডা চেয়ারম্যান বলেন, ৩০ বছর পরে আমরা এই মহেশখালী মাতারবাড়ী এলাকাটাকে সিঙ্গাপুর বা সাংহাইয়ে মতো করে দেখতে চাই। এটা কোনো নৌজানের শহর না, এটা একটা স্যাটেলাইট শহর না। এটা হবে শহরতলি, চট্টগ্রামের মত আরেকটা বাড়িয়ে শহর। যেটা সংস্কারকৃত এবং নতুন ধরনের।

মাতারবাড়ি শহর হলে দেশের দেশের অর্থনীতির জিডিপিতে প্রায় দেড়শ বিলিয়ন ডলার যুক্ত হবে বলে উল্লেখ করেন আশিক চৌধুরী। তিনি বলেন, প্রায় দেড়শ বিলিয়ন ডলারের মত আমরা জিডিপিতে কোন কন্ট্রিবিউশন করছি, এই এলাকার থেকে।এটা হবে বাণিজ্যিক হাব। যে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের রিজার্ভে সঞ্চিত হবে।

প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে, প্রায় দেড় লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে আশা প্রকাশ করে আশিক চৌধুরী বলেন, চূড়ান্তভাবে প্রায় দেড় লাখ লোকের প্রত্যক্ষভাবে  কর্মসংস্থান  আমরা আশা করছি।  ছাড়াও  পরোক্ষভাবে  প্রায় ২৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান আমরা আশা করছি।

৪টি পিলারের উপর ভিত্তি করে এই প্রকল্প কাজ করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। সেগুলো হলো- গভীর সমুদ্র বন্দর ও সরবরাহ ব্যবস্থাপনা, সুবিধা প্রদান কেন্দ্র, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং সামুদ্রিক মাছ ধরার কেন্দ্র।

এ প্রকল্প ৩টি ধাপে ২০২৫ সাল থেকে ২০৫৫ সাল পর্যন্ত কাজ করবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, “তিনটা পিরিয়ডে এই প্রকল্পকে ২০২৫ সাল থেকে ২০৫৫ সাল পর্যন্ত সাজাতে পারেন। প্রথম পাঁচ বছর কে আমরা বলছি, বিকাশকাল, এই সময়ে ফাউন্ডেশন এর কাজ, সড়ক সংযোগের কাক করা হবে। এরপরের সময়টা হচ্ছে, পরিবেশ উন্নয়নকাল, সেখানে আমরা বন্দর উন্নয়নের কাজগুলো শেষ করব। সাথে সাথে কিছু শিল্প কারখানা দাঁড়িয়ে যাবে। এটা ২০৪৩-৪৪ সাল  পর্যন্ত হবে আমরা আশা করছি। চূড়ান্ত পর্যায়ে আমরা শেষ দশ বছর একটি পর্যটনের কথা চিন্তা পর্যটনের কথা চিন্তা করতে পারি।

উত্তরা ইপিজেড বন্ধ ঘোষণায় আগামীতে বৈদেশিক বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হতে পারে বা এ ঘটনাকে পুঁজি করে কোনও ধরনের আশঙ্কা তৈরি হবে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেকোনও ধরনের অস্থিতিশীলতা বিনিয়োগের গতিকে স্লো করে দিতে পারে। অ্যাটলিস্ট আমরা যদি খুব ক্লিয়ারলি বিনিয়োগকারীদের এই কথাটুকু এক্সপ্লেইন করতে না পারি, যে কেন এই ধরনের দুর্ঘটনা হলো এবং এটাকে প্রতিহত করার জন্য ভবিষ্যতে আমরা কী করবো? এটা যদি আমরা ঠিকভাবে না বলতে পারি, তাহলে এই প্রবলেমটা থেকে যাবে।

আশিক চৌধুরী বলেন, আপনি যদি গত জুন-জুলাই থেকে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ এফডিআইয়ের ট্র্যাকটা দেখেন, আপনি দেখবেন এফডিআইতে জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বরে একটা বড় ডিপ হয়েছিল। তারপর আমরা অক্টোবর, নভেম্বর, ডিসেম্বর থেকে স্লোলি ইকোনমি রিকভার করা শুরু করলাম, এফডিআই আবার ব্যাক ট্র্যাক করা শুরু করল। এখন আমরা একটা নম্বরে চলে আসছি, যেটা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। আমরা পরিস্থিতি ভালো করার জন্য চেষ্টা করছি। আর ইকোনমি ট্রেন্ডটা ধরে রাখতে হলে দুর্ঘটনাগুলোকে আমাদের খুব ম্যাচিউরলি হ্যান্ডেল করতে হবে। এখন ওখানে স্পেসিফিকালি কী কারণে, কীভাবে হয়েছে, আমি এতো ডিটেইলে জানি না। তবে এটা খুবই দুঃখজনক।

শ্রমিক আইন নিয়ে অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয় জানিয়ে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, শ্রমিকদের জন্য কী আইন হবে, সরকারের অবস্থা কী হবে, ব্যবসায়ের জন্য কী আইন হবে—এই ট্রায়াঙ্গুলার রিলেশনশিপকে আরও কীভাবে ভালো করা যায়, এটা নিয়ে কাজ করতে হবে।

শ্রমিকদের আইন নিয়ে তিনি বলেন, এখানে আমরা খুব বেশি কিছু করতে পারিনি। তবে চেষ্টা করবো আগামী সপ্তাহ থেকে এটা নিয়ে খুব জোরেশোরে কাজ করার। আর সেটা হচ্ছে, জুডিশিয়াল সাইডে। আগামী সপ্তাহ থেকে প্রধান বিচারপতি এবং তাদের একটা টিমের সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করবো। যেন আমরা এমন কিছু পদক্ষেপ নিতে পারি, যার মাধ্যমে একটি ব্যবসা-বান্ধব আইনি ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়।

শ্রমিকদের অধিকার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে বিডা নির্বাহী সভাপতি বলেন, শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে আমাদের নানান চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা অনেক সময় এসেই শ্রমিকদের কী ধরনের অধিকার দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন রাখেন। ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও) কনভেনশনে আমাদের অবস্থান ফিরে পেতে এখন আমরা চেষ্টা করছি। শ্রমিক , মালিক ও সরকারের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়নে আরও কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সাঈদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করেন হাসিনা ট্রাইব্যুনালে সাক্ষীদের অভিযোগ

৩০ বছর পর মাতারবাড়ী-মহেশখালীকে সাংহাই-সিঙ্গাপুরের মতো দেখতে চাই : বিডার সভাপতি

প্রকাশের সময় : ০৪:০৭:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী সভাপতি আশিক চৌধুরী বলেন, ৩০ বছর পর মাতারবাড়ী ও মহেশখালীকে চীনের সাংহাই বা সিঙ্গাপুরের বন্দরের মতো উন্নতমানের বন্দর তথা কমার্শিয়াল হাব হিসেবে দেখতে চাই। এ সময়ের মাধ্যমে ২৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

বিডার নির্বাহী সভাপতি বলেন, আগামী ১২০ দিনের মধ্যে প্রশাসনিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এমআইডিএ) মাধ্যমে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৩৩ হাজার একর আয়তনের জমিতে তিনটি ধাপে (২০২৫ থেকে ২০৩০, ২০৩০ থেকে ২০৪৫ ও ২০৪৫ থেকে ২০৫৫) এর কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে।

এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় দেড় লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিডা চেয়ারম্যান। এ লক্ষ্যে মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কতৃপক্ষের নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

মহেশখালী ও মাতারবাড়ি নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা জানিয়ে আশিক চৌধুরী বলেন, আমরা এটাকে টাউনশিপ হিসেবে দেখতে চাই। পৃথিবীর সবচেয়ে সাকসেসফুল ডিপ সি পোর্টস সহ টাউনশিপ হচ্ছে সিঙ্গাপুরকে বলা হয়, এবং আরেকটা পোর্টের কথা প্রায়ই উঠে আসে সেটা হচ্ছে সাংহাই। মনে করেন যে, আমরা যদি বাংলাদেশের একটা সিঙ্গাপুর করতে চাই, বা বাংলাদেশের ভিতরে একটা শাংহাই পোর্ট করতে চাই।

প্রকল্পের পরিকল্পনা ৩০ বছরের জন্য করা হয়েছে বলে জানান তিনি। বিডা চেয়ারম্যান বলেন, ৩০ বছর পরে আমরা এই মহেশখালী মাতারবাড়ী এলাকাটাকে সিঙ্গাপুর বা সাংহাইয়ে মতো করে দেখতে চাই। এটা কোনো নৌজানের শহর না, এটা একটা স্যাটেলাইট শহর না। এটা হবে শহরতলি, চট্টগ্রামের মত আরেকটা বাড়িয়ে শহর। যেটা সংস্কারকৃত এবং নতুন ধরনের।

মাতারবাড়ি শহর হলে দেশের দেশের অর্থনীতির জিডিপিতে প্রায় দেড়শ বিলিয়ন ডলার যুক্ত হবে বলে উল্লেখ করেন আশিক চৌধুরী। তিনি বলেন, প্রায় দেড়শ বিলিয়ন ডলারের মত আমরা জিডিপিতে কোন কন্ট্রিবিউশন করছি, এই এলাকার থেকে।এটা হবে বাণিজ্যিক হাব। যে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের রিজার্ভে সঞ্চিত হবে।

প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে, প্রায় দেড় লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে আশা প্রকাশ করে আশিক চৌধুরী বলেন, চূড়ান্তভাবে প্রায় দেড় লাখ লোকের প্রত্যক্ষভাবে  কর্মসংস্থান  আমরা আশা করছি।  ছাড়াও  পরোক্ষভাবে  প্রায় ২৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান আমরা আশা করছি।

৪টি পিলারের উপর ভিত্তি করে এই প্রকল্প কাজ করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। সেগুলো হলো- গভীর সমুদ্র বন্দর ও সরবরাহ ব্যবস্থাপনা, সুবিধা প্রদান কেন্দ্র, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং সামুদ্রিক মাছ ধরার কেন্দ্র।

এ প্রকল্প ৩টি ধাপে ২০২৫ সাল থেকে ২০৫৫ সাল পর্যন্ত কাজ করবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, “তিনটা পিরিয়ডে এই প্রকল্পকে ২০২৫ সাল থেকে ২০৫৫ সাল পর্যন্ত সাজাতে পারেন। প্রথম পাঁচ বছর কে আমরা বলছি, বিকাশকাল, এই সময়ে ফাউন্ডেশন এর কাজ, সড়ক সংযোগের কাক করা হবে। এরপরের সময়টা হচ্ছে, পরিবেশ উন্নয়নকাল, সেখানে আমরা বন্দর উন্নয়নের কাজগুলো শেষ করব। সাথে সাথে কিছু শিল্প কারখানা দাঁড়িয়ে যাবে। এটা ২০৪৩-৪৪ সাল  পর্যন্ত হবে আমরা আশা করছি। চূড়ান্ত পর্যায়ে আমরা শেষ দশ বছর একটি পর্যটনের কথা চিন্তা পর্যটনের কথা চিন্তা করতে পারি।

উত্তরা ইপিজেড বন্ধ ঘোষণায় আগামীতে বৈদেশিক বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হতে পারে বা এ ঘটনাকে পুঁজি করে কোনও ধরনের আশঙ্কা তৈরি হবে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেকোনও ধরনের অস্থিতিশীলতা বিনিয়োগের গতিকে স্লো করে দিতে পারে। অ্যাটলিস্ট আমরা যদি খুব ক্লিয়ারলি বিনিয়োগকারীদের এই কথাটুকু এক্সপ্লেইন করতে না পারি, যে কেন এই ধরনের দুর্ঘটনা হলো এবং এটাকে প্রতিহত করার জন্য ভবিষ্যতে আমরা কী করবো? এটা যদি আমরা ঠিকভাবে না বলতে পারি, তাহলে এই প্রবলেমটা থেকে যাবে।

আশিক চৌধুরী বলেন, আপনি যদি গত জুন-জুলাই থেকে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ এফডিআইয়ের ট্র্যাকটা দেখেন, আপনি দেখবেন এফডিআইতে জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বরে একটা বড় ডিপ হয়েছিল। তারপর আমরা অক্টোবর, নভেম্বর, ডিসেম্বর থেকে স্লোলি ইকোনমি রিকভার করা শুরু করলাম, এফডিআই আবার ব্যাক ট্র্যাক করা শুরু করল। এখন আমরা একটা নম্বরে চলে আসছি, যেটা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। আমরা পরিস্থিতি ভালো করার জন্য চেষ্টা করছি। আর ইকোনমি ট্রেন্ডটা ধরে রাখতে হলে দুর্ঘটনাগুলোকে আমাদের খুব ম্যাচিউরলি হ্যান্ডেল করতে হবে। এখন ওখানে স্পেসিফিকালি কী কারণে, কীভাবে হয়েছে, আমি এতো ডিটেইলে জানি না। তবে এটা খুবই দুঃখজনক।

শ্রমিক আইন নিয়ে অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয় জানিয়ে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, শ্রমিকদের জন্য কী আইন হবে, সরকারের অবস্থা কী হবে, ব্যবসায়ের জন্য কী আইন হবে—এই ট্রায়াঙ্গুলার রিলেশনশিপকে আরও কীভাবে ভালো করা যায়, এটা নিয়ে কাজ করতে হবে।

শ্রমিকদের আইন নিয়ে তিনি বলেন, এখানে আমরা খুব বেশি কিছু করতে পারিনি। তবে চেষ্টা করবো আগামী সপ্তাহ থেকে এটা নিয়ে খুব জোরেশোরে কাজ করার। আর সেটা হচ্ছে, জুডিশিয়াল সাইডে। আগামী সপ্তাহ থেকে প্রধান বিচারপতি এবং তাদের একটা টিমের সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করবো। যেন আমরা এমন কিছু পদক্ষেপ নিতে পারি, যার মাধ্যমে একটি ব্যবসা-বান্ধব আইনি ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়।

শ্রমিকদের অধিকার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে বিডা নির্বাহী সভাপতি বলেন, শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে আমাদের নানান চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা অনেক সময় এসেই শ্রমিকদের কী ধরনের অধিকার দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন রাখেন। ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও) কনভেনশনে আমাদের অবস্থান ফিরে পেতে এখন আমরা চেষ্টা করছি। শ্রমিক , মালিক ও সরকারের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়নে আরও কাজ করার সুযোগ রয়েছে।