Dhaka বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২৮ অক্টোবর ১৭ হাজার প্রাণ দেব, তবুও ক্ষমতায় থাকতে দেব না : জয়নুল আবেদীন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবেদীন ফারুক বলেন, আমরা ১৬-১৭ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে। বুকে অনেক সাহস নিয়ে অনেক মিথ্যা ও আজগুবি মামলা নিয়েও বেঁচে আছি। ছাত্রদলসহ অজস্র সহকর্মীদের হারিয়েছি। প্রয়োজনে ২৮ অক্টোবরে আরও ১৭ হাজার প্রাণ দেব, তবু আপনাদের (সরকার) ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া হবে না।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পাস এবং বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের গণগ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদী সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বলেন, আমরা ১৭ জন সহকর্মী হারিয়েছি। তারেক রহমান বলেছেন, তিনি এই দেশে আর মৃত ভোট দেখতে চান না। আগামী ২৮ তারিখ মহাযাত্রা শুরু হবে, সেই যাত্রায় এই স্বৈরাচার সরকারের পতন হবে।

তবে ২৮ তারিখ কিছুই হবে না, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিই হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বলতে চাই, আওয়ামী লীগের ভাইয়েরা কথা বন্ধ করুন। আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করতে দিন। আমরা আমাদের কথাগুলো মানুষকে বলি। যতই বাধা দেবেন, ততই জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়বে।

২৮ অক্টোবরের সমাবেশ নিয়ে জয়নুল আবেদীন বলেন, আমরা (বিএনপি) এখন কৌশলী হয়েছি। বিএনপির ভাইয়েরা কৌশল গ্রহণ করেন। কারও বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিশোধ নেওয়ার দরকার নেই। যখন দেয়ালে আমার পিঠ ঠেকেছে, লাঠির আঘাত আমার মাথায় এলে অবশ্যই সেই লাঠি কেড়ে নিয়ে তাকে পেটাতে হবে।

সাবেক এই চিফ হুইপ বলেন, মানুষকে ভালোবাসলে সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার করে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন। প্রতিদিন স্কুল-কলেজ, মহাসড়ক উদ্বোধন করেন। গরিবের ট্যাক্সের হাজার হাজার টাকা খরচ করেন। নির্বাচনকে ভয় পান কেন? একটা নির্বাচন দিয়ে দেন না। পুলিশ দিয়ে আবার ক্ষমতায় যাবেন এবার আর হবে না। ২৮ তারিখ এই সরকারের বিরুদ্ধে ফয়সালা হবে। গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে নেতাকর্মীদের ২৮ তারিখ সমাবেশে আসতে বাধা দিতে পারবেন না। ভোট চোরের বিরুদ্ধে খেলা হবে।

পুলিশের উদ্দেশে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা বলেছেন তল্লাশি চালাবেন। প্রত্যেকের ঘরে ঘরে যাবেন, গ্রেপ্তার করবেন। এসব কথা বলে বিএনপির একটি কর্মীকেও ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে আসা বন্ধ করা যাবে না। খেলা হবে, কার বিরুদ্ধে… ভূয়ার বিরুদ্ধে। খেলা হবে যারা আমার কষ্টের উপার্জিত টাকা নিয়ে বিদেশে বাড়ি করেছে তাদের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগের ভালো লোকের বিরুদ্ধে নয়, তেমনিভাবে সব পুলিশদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নয়। যারা অতি উৎসাহিত হয়ে ২৮ অক্টোবরের আগে ঘরে ঘরে তল্লাশি করছে তাদের বিরুদ্ধে। আমাদের আন্দোলন খালেদা জিয়া কিংবা তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য নয়। দেশের মানুষের জন্য। কারণ আমার নেতা তারেক রহমানকে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দিয়ে ১০ হাজার মাইল দূরে রেখেছেন। তাতে তিনি অসন্তুষ্ট নন। তিনি দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তার মন দেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে এই বিএনপি নেতা বলেন, সংকট আপনি সৃষ্টি করেছেন। এর সমাধান আপনাকে করতে হবে। আপনি যদি মানুষকে ভালোবাসেন, মানুষের দুঃখ-কষ্ট বোঝেন, তাহলে দয়া করে চলমান সংসদে ইজ্জত থাকতে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংযোজন করে নির্বাচন দিন। আপনি যদি জনগণের ভালো চান, এসব বাদ দিয়ে সংসদে তত্ত্বাবধায়ক বিল পাস করুন। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। জনগণের ভোটের অধিকার করুন। এই সরকারের কোনো শরম নেই। কারণ শরম যদি থাকতো তাহলে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতো। গরিবের টাকা লোপাট করে হাজার কোটি টাকার ব্রিজ, শতশত সেতু ও হাজার মহাসড়ক উদ্বোধন করছেন। তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় পান কেন? আমি বলব আর কোনো মানুষের বুক খালি করবেন না।

সংগঠনের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমতউল্লাহ, মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, আদাবর থানা বিএনপি সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের নির্বাহী কমিটি সদস্য হারুনর রশীদ প্রমুখ।

আবহাওয়া

১৪৬ যাত্রী নিয়ে ব্যাংককের পথে এক ঘণ্টা উড়ে মিয়ানমার থেকে ফিরে এল বিমানের ফ্লাইট

২৮ অক্টোবর ১৭ হাজার প্রাণ দেব, তবুও ক্ষমতায় থাকতে দেব না : জয়নুল আবেদীন

প্রকাশের সময় : ০৬:৪৯:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবেদীন ফারুক বলেন, আমরা ১৬-১৭ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে। বুকে অনেক সাহস নিয়ে অনেক মিথ্যা ও আজগুবি মামলা নিয়েও বেঁচে আছি। ছাত্রদলসহ অজস্র সহকর্মীদের হারিয়েছি। প্রয়োজনে ২৮ অক্টোবরে আরও ১৭ হাজার প্রাণ দেব, তবু আপনাদের (সরকার) ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া হবে না।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পাস এবং বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের গণগ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদী সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বলেন, আমরা ১৭ জন সহকর্মী হারিয়েছি। তারেক রহমান বলেছেন, তিনি এই দেশে আর মৃত ভোট দেখতে চান না। আগামী ২৮ তারিখ মহাযাত্রা শুরু হবে, সেই যাত্রায় এই স্বৈরাচার সরকারের পতন হবে।

তবে ২৮ তারিখ কিছুই হবে না, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিই হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বলতে চাই, আওয়ামী লীগের ভাইয়েরা কথা বন্ধ করুন। আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করতে দিন। আমরা আমাদের কথাগুলো মানুষকে বলি। যতই বাধা দেবেন, ততই জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়বে।

২৮ অক্টোবরের সমাবেশ নিয়ে জয়নুল আবেদীন বলেন, আমরা (বিএনপি) এখন কৌশলী হয়েছি। বিএনপির ভাইয়েরা কৌশল গ্রহণ করেন। কারও বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিশোধ নেওয়ার দরকার নেই। যখন দেয়ালে আমার পিঠ ঠেকেছে, লাঠির আঘাত আমার মাথায় এলে অবশ্যই সেই লাঠি কেড়ে নিয়ে তাকে পেটাতে হবে।

সাবেক এই চিফ হুইপ বলেন, মানুষকে ভালোবাসলে সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার করে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন। প্রতিদিন স্কুল-কলেজ, মহাসড়ক উদ্বোধন করেন। গরিবের ট্যাক্সের হাজার হাজার টাকা খরচ করেন। নির্বাচনকে ভয় পান কেন? একটা নির্বাচন দিয়ে দেন না। পুলিশ দিয়ে আবার ক্ষমতায় যাবেন এবার আর হবে না। ২৮ তারিখ এই সরকারের বিরুদ্ধে ফয়সালা হবে। গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে নেতাকর্মীদের ২৮ তারিখ সমাবেশে আসতে বাধা দিতে পারবেন না। ভোট চোরের বিরুদ্ধে খেলা হবে।

পুলিশের উদ্দেশে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা বলেছেন তল্লাশি চালাবেন। প্রত্যেকের ঘরে ঘরে যাবেন, গ্রেপ্তার করবেন। এসব কথা বলে বিএনপির একটি কর্মীকেও ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে আসা বন্ধ করা যাবে না। খেলা হবে, কার বিরুদ্ধে… ভূয়ার বিরুদ্ধে। খেলা হবে যারা আমার কষ্টের উপার্জিত টাকা নিয়ে বিদেশে বাড়ি করেছে তাদের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগের ভালো লোকের বিরুদ্ধে নয়, তেমনিভাবে সব পুলিশদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নয়। যারা অতি উৎসাহিত হয়ে ২৮ অক্টোবরের আগে ঘরে ঘরে তল্লাশি করছে তাদের বিরুদ্ধে। আমাদের আন্দোলন খালেদা জিয়া কিংবা তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য নয়। দেশের মানুষের জন্য। কারণ আমার নেতা তারেক রহমানকে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দিয়ে ১০ হাজার মাইল দূরে রেখেছেন। তাতে তিনি অসন্তুষ্ট নন। তিনি দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তার মন দেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে এই বিএনপি নেতা বলেন, সংকট আপনি সৃষ্টি করেছেন। এর সমাধান আপনাকে করতে হবে। আপনি যদি মানুষকে ভালোবাসেন, মানুষের দুঃখ-কষ্ট বোঝেন, তাহলে দয়া করে চলমান সংসদে ইজ্জত থাকতে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংযোজন করে নির্বাচন দিন। আপনি যদি জনগণের ভালো চান, এসব বাদ দিয়ে সংসদে তত্ত্বাবধায়ক বিল পাস করুন। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। জনগণের ভোটের অধিকার করুন। এই সরকারের কোনো শরম নেই। কারণ শরম যদি থাকতো তাহলে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতো। গরিবের টাকা লোপাট করে হাজার কোটি টাকার ব্রিজ, শতশত সেতু ও হাজার মহাসড়ক উদ্বোধন করছেন। তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় পান কেন? আমি বলব আর কোনো মানুষের বুক খালি করবেন না।

সংগঠনের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমতউল্লাহ, মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, আদাবর থানা বিএনপি সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের নির্বাহী কমিটি সদস্য হারুনর রশীদ প্রমুখ।