Dhaka রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২৭ বছর পর আইসিসির শিরোপা জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৬:২৩:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
  • ২৬৩ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

কতবার যে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে তাদের, সেটার হিসেব রাখতে রাখতে হয়তো ক্লান্ত হয়ে গেছেন সমর্থকরা। একের পর এক ব্যর্থতায় দক্ষিণ আফ্রিকার নামের পাশে পাকাপাকিভাবে লেগে গেছে ‘চোকার্স’ তকমা। অবশেষে কয়েক যুগের অপেক্ষার অবসান ঘটল আজ। ‘চোকার্স’ দক্ষিণ আফ্রিকাই লর্ডসে গড়ল নতুন ইতিহাস। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবার বড় কোনো শিরোপা জয়ের স্বাদ পেল প্রোটিয়ারা। ‘গদা’ উঁচিয়ে ধরে টেম্বা বাভুমা যেন হাত মেলালেন স্বর্গের সঙ্গে!

চতুর্থ দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের জন্য দরকার ছিল মাত্র ৬৯ রান। দিনের শুরুতেই অবশ্য টেম্বা বাভুমাকে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। স্টাবসও খুব বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি।

তবে মার্করামের সাহসী সেই ইনিংস দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছে। মার্করাম অবশ্য জয়সূচক রানটা এনে দিতে পারেননি। এর আগে ১৩৬ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ২৭ বছর পর কোনো আইসিসি ট্রফির শিরোপা জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা।

লর্ডসের সবুজ মাঠে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। তবে কাগিসো রাবাদা ও মার্কো জানসেনের বল যেন বয়ে আনছিল বজ্রপাত। রাবাদার আগুনঝরা স্পেল আর জানসেনের ধারালো সুইংয়ে ৫৬.৪ ওভারে গুটিয়ে যায় অজিদের ইনিংস, স্কোরবোর্ডে মাত্র ২১২ রান।

প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকাও জর্জরিত হয় প্যাট কামিন্স নামক এক গতির ঝড়ে। তার ৬ উইকেটের ঝলকে প্রোটিয়ারা অলআউট হয় মাত্র ১৩৮ রানে। প্রথম ইনিংসে ৭৪ রানের লিড নিয়ে যখন অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে নামে তখনও কপালে যেন লেখা ছিল প্রোটিয়াদের আরও এক ট্র্যাজেডি। কিন্তু এবার গল্পটা ছিল ভিন্ন।

অজিদের দ্বিতীয় ইনিংসে দাপট দেখায় রাবাদা-লুঙ্গি এনগিদি জুটি। তাতে ৬৫ ওভারে ২০৭ রানে থেমে যায় তাদের ইনিংস। প্রোটিয়াদের সামনে দাঁড়ায় ২৮২ রানের কঠিন লক্ষ্যমাত্রা। ইতিহাস লিখতে হলে পাড়ি দিতে হবে এই পাহাড়।

আর সেই পথচলায় নায়ক হয়ে উঠলেন দুই ব্যাটসম্যান এইডেন মার্করাম এবং টেম্বা বাভুমা। মার্করামের রাজকীয় সেঞ্চুরি (১৩৬) এবং বাভুমার লড়াকু ৬৬ রানের ইনিংসে ভর করেই দক্ষিণ আফ্রিকা ছুঁয়ে ফেলে বিজয়ের কেতন। ম্যাচসেরা হয়েছেন এইডেন মার্করাম।

কোনো হঠাৎ ঝড় নয়, এটি ছিল দীর্ঘ প্রতীক্ষার ফল। এটি ছিল চোখের জলে গড়া সাহসিকতার গল্প। আর সে গল্পে আজ প্রোটিয়ারা ‘চোকার্স’ নয়, ক্রিকেটের ইতিহাসে চ্যাম্পিয়নের প্রথম স্বাক্ষর রেখে গেল।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নিলে বিদেশে-অনলাইনে পরে থাকতে হবে : তারেককে ইঙ্গিত করে পাটওয়ারী

২৭ বছর পর আইসিসির শিরোপা জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা

প্রকাশের সময় : ০৬:২৩:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক : 

কতবার যে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে তাদের, সেটার হিসেব রাখতে রাখতে হয়তো ক্লান্ত হয়ে গেছেন সমর্থকরা। একের পর এক ব্যর্থতায় দক্ষিণ আফ্রিকার নামের পাশে পাকাপাকিভাবে লেগে গেছে ‘চোকার্স’ তকমা। অবশেষে কয়েক যুগের অপেক্ষার অবসান ঘটল আজ। ‘চোকার্স’ দক্ষিণ আফ্রিকাই লর্ডসে গড়ল নতুন ইতিহাস। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবার বড় কোনো শিরোপা জয়ের স্বাদ পেল প্রোটিয়ারা। ‘গদা’ উঁচিয়ে ধরে টেম্বা বাভুমা যেন হাত মেলালেন স্বর্গের সঙ্গে!

চতুর্থ দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের জন্য দরকার ছিল মাত্র ৬৯ রান। দিনের শুরুতেই অবশ্য টেম্বা বাভুমাকে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। স্টাবসও খুব বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি।

তবে মার্করামের সাহসী সেই ইনিংস দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছে। মার্করাম অবশ্য জয়সূচক রানটা এনে দিতে পারেননি। এর আগে ১৩৬ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ২৭ বছর পর কোনো আইসিসি ট্রফির শিরোপা জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা।

লর্ডসের সবুজ মাঠে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। তবে কাগিসো রাবাদা ও মার্কো জানসেনের বল যেন বয়ে আনছিল বজ্রপাত। রাবাদার আগুনঝরা স্পেল আর জানসেনের ধারালো সুইংয়ে ৫৬.৪ ওভারে গুটিয়ে যায় অজিদের ইনিংস, স্কোরবোর্ডে মাত্র ২১২ রান।

প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকাও জর্জরিত হয় প্যাট কামিন্স নামক এক গতির ঝড়ে। তার ৬ উইকেটের ঝলকে প্রোটিয়ারা অলআউট হয় মাত্র ১৩৮ রানে। প্রথম ইনিংসে ৭৪ রানের লিড নিয়ে যখন অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে নামে তখনও কপালে যেন লেখা ছিল প্রোটিয়াদের আরও এক ট্র্যাজেডি। কিন্তু এবার গল্পটা ছিল ভিন্ন।

অজিদের দ্বিতীয় ইনিংসে দাপট দেখায় রাবাদা-লুঙ্গি এনগিদি জুটি। তাতে ৬৫ ওভারে ২০৭ রানে থেমে যায় তাদের ইনিংস। প্রোটিয়াদের সামনে দাঁড়ায় ২৮২ রানের কঠিন লক্ষ্যমাত্রা। ইতিহাস লিখতে হলে পাড়ি দিতে হবে এই পাহাড়।

আর সেই পথচলায় নায়ক হয়ে উঠলেন দুই ব্যাটসম্যান এইডেন মার্করাম এবং টেম্বা বাভুমা। মার্করামের রাজকীয় সেঞ্চুরি (১৩৬) এবং বাভুমার লড়াকু ৬৬ রানের ইনিংসে ভর করেই দক্ষিণ আফ্রিকা ছুঁয়ে ফেলে বিজয়ের কেতন। ম্যাচসেরা হয়েছেন এইডেন মার্করাম।

কোনো হঠাৎ ঝড় নয়, এটি ছিল দীর্ঘ প্রতীক্ষার ফল। এটি ছিল চোখের জলে গড়া সাহসিকতার গল্প। আর সে গল্পে আজ প্রোটিয়ারা ‘চোকার্স’ নয়, ক্রিকেটের ইতিহাসে চ্যাম্পিয়নের প্রথম স্বাক্ষর রেখে গেল।