Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২৪ ভরি স্বর্ণ চুরি, দুই ভাইসহ গ্রেফতার ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর মিরপুরের একটি বাসা থেকে ২৪ ভরি চুরির ঘটনায় দুই ভাইসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- জুলহাস (৩১), বিল্লাল হোসেন (২৬) ও লিমন বর্মন । সাভার ও চাঁদপুর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। মোট ৮ ভরি ১০ আনা স্বর্ণ এবং বিভিন্ন ধরনের চাবি, রেঞ্জসহ চুরি করার বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহাসীন এ তথ্য জানান।

তিনি আরো জানান, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মিরপুর মডেল থানার আহাম্মেদনগরে সিরাজুম মুনীরার বাসার তালা ভেঙে আনুমানিক ২৪ ভরি স্বর্ণ এবং নগদ ৬০ হাজার টাকা চুরি করা হয়। পরে সিসিটিভি দেখে জুলহাস বিল্লাল সহোদরকে শনাক্ত করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার(১৩ এপ্রিল) সাভার গেণ্ডা বাস স্টেশন থেকে বিল্লাল হোসেন এবং তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চাঁদপুরের মতলব থেকে জুলহাসকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া চোরাই এসব স্বর্ণ রাখার অভিযোগে লিটন বর্মণ নামে এক স্বর্ণ দোকানদারকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

ভোলার লালমোহন উপজেলার আবু কালামের ছেলে জুলহাস ও বিল্লাল। চুরি শুরু করেন সেই ছোটবেলা থেকেই। দুজনে চুরি শুরু করেন ২০০৮ সাল থেকে। তখন থেকে আজ ১৫ বছর ধরেই চুরি করছেন। তাদের দেওয়া তথ্যমতে, এই ১৫ বছরে তারা দুই শতাধিক চুরি করেন।

টার্গেটের পর তারা দিনের বেলায় খালি বাসায় চুরি করে থাকেন। মাত্র ১১ বছর বয়স থেকেই চুরি শুরু করেন বিল্লাল। পরে তার কাছ থেকেই চুরি করা শেখেন জুলহাস।

জুলহাসের শ্বশুর আলাউদ্দিন। তিনি থাকেন চাঁদপুরের মতলবে। প্রতিবার চুরি করার পরপরই শ্বশুর বাড়ি চলে যান জুলহাস। জামাইয়ের এই চুরির কথা শ্বশুরের অজানা নয়। কিন্তু তিনি এতে বাধা দেওয়া দূরের কথা, উল্টো সহযোগিতা করেন।

মিরপুর থেকে চুরি করা স্বর্ণও জুলহাস তার শ্বশুরের হাতেই তুলে দেন। শ্বশুর সেই স্বর্ণ চাঁদপুর উত্তর মতলবের ছেঙ্গারচর বাজারের একটি স্বর্ণের দোকানে বিক্রি করে দেন! অভিযান চালানোর সময় জামাই জুলহাস গ্রেফতার হলেও পালিয়ে যান শ্বশুর আলাউদ্দিন।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

২৪ ভরি স্বর্ণ চুরি, দুই ভাইসহ গ্রেফতার ৩

প্রকাশের সময় : ০২:৩৫:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর মিরপুরের একটি বাসা থেকে ২৪ ভরি চুরির ঘটনায় দুই ভাইসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- জুলহাস (৩১), বিল্লাল হোসেন (২৬) ও লিমন বর্মন । সাভার ও চাঁদপুর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। মোট ৮ ভরি ১০ আনা স্বর্ণ এবং বিভিন্ন ধরনের চাবি, রেঞ্জসহ চুরি করার বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহাসীন এ তথ্য জানান।

তিনি আরো জানান, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মিরপুর মডেল থানার আহাম্মেদনগরে সিরাজুম মুনীরার বাসার তালা ভেঙে আনুমানিক ২৪ ভরি স্বর্ণ এবং নগদ ৬০ হাজার টাকা চুরি করা হয়। পরে সিসিটিভি দেখে জুলহাস বিল্লাল সহোদরকে শনাক্ত করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার(১৩ এপ্রিল) সাভার গেণ্ডা বাস স্টেশন থেকে বিল্লাল হোসেন এবং তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চাঁদপুরের মতলব থেকে জুলহাসকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া চোরাই এসব স্বর্ণ রাখার অভিযোগে লিটন বর্মণ নামে এক স্বর্ণ দোকানদারকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

ভোলার লালমোহন উপজেলার আবু কালামের ছেলে জুলহাস ও বিল্লাল। চুরি শুরু করেন সেই ছোটবেলা থেকেই। দুজনে চুরি শুরু করেন ২০০৮ সাল থেকে। তখন থেকে আজ ১৫ বছর ধরেই চুরি করছেন। তাদের দেওয়া তথ্যমতে, এই ১৫ বছরে তারা দুই শতাধিক চুরি করেন।

টার্গেটের পর তারা দিনের বেলায় খালি বাসায় চুরি করে থাকেন। মাত্র ১১ বছর বয়স থেকেই চুরি শুরু করেন বিল্লাল। পরে তার কাছ থেকেই চুরি করা শেখেন জুলহাস।

জুলহাসের শ্বশুর আলাউদ্দিন। তিনি থাকেন চাঁদপুরের মতলবে। প্রতিবার চুরি করার পরপরই শ্বশুর বাড়ি চলে যান জুলহাস। জামাইয়ের এই চুরির কথা শ্বশুরের অজানা নয়। কিন্তু তিনি এতে বাধা দেওয়া দূরের কথা, উল্টো সহযোগিতা করেন।

মিরপুর থেকে চুরি করা স্বর্ণও জুলহাস তার শ্বশুরের হাতেই তুলে দেন। শ্বশুর সেই স্বর্ণ চাঁদপুর উত্তর মতলবের ছেঙ্গারচর বাজারের একটি স্বর্ণের দোকানে বিক্রি করে দেন! অভিযান চালানোর সময় জামাই জুলহাস গ্রেফতার হলেও পালিয়ে যান শ্বশুর আলাউদ্দিন।