Dhaka সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাবের হোসেন মুক্তি পেলেন কীভাবে, প্রশ্ন রিজভীর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৩২:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪
  • ১৮৮ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতা সাবের হোসেন চৌধুরীর নির্দেশে ১১টি গুম-খুন হয়েছে। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, সেই সাবের হোসেন কীভাবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জামিনে মুক্তি পায়।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর খিলগাঁওয়ে গুম-খুন হাওয়া শহীদ পরিবারের সদস্যদের উদ্যোগে ‘খুনি সাবের হোসেনের’ বিচারের দাবিতে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল আমার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন। তিনি থাকা অবস্থায় একজন খুনি কীভাবে জামিন পায়? তাহলে এই সরকার কাকে প্রটেকশন দিচ্ছে? খিলগাঁও এলাকায় সাবের হোসেন চৌধুরীর জুলুম, নিপীড়ন ও নির্যাতনে অনেক মানুষ হাত-পা হারিয়েছে বলে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, জনির মত তরুণ ছেলে জীবন দিয়েছে। তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ১৬টি গুলি করে হত্যা করেছে। তার নির্দেশেই এই এলাকায় ১১ জন গুম খুনের শিকার হয়েছে। এর দায় তিনি এড়াতে পারেন না।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা গণহত্যা চালিয়েছেন। তার সহযোগী এই সাবের হোসেন। তিনিতো শেখ হাসিনার চেতনায় লালিত। তাদের আমলে কেউ গণতন্ত্রের পক্ষে টু শব্দ করতে পােেরনি। বিএনপির পক্ষে, খালেদা জিয়ার পক্ষে, তারেক রহমানের পক্ষে কথা বলতে পারেনি। এজন্যেই তিনি (সাবের হোসেন চৌধুরী) গুম খুনের কর্মসূচি সফল করেছেন।

রিজভী বলেন, সাবের হোসেন চৌধুরী বিনা ভোটে বছরের পর বছর এমপি থেকেছেন। তার নির্দেশেই এতগুলো খুন, বিচার বহির্ভূত হত্যা হয়েছে। সে যদি জামিনে মুক্তি পায় তাহলে যারা অর্থ কেলেঙ্কারি, যেসব পুলিশ ক্রসফায়ার দিয়েছে, বাসা থেকে তুলে নিয়ে আঙ্গুলের নখ তুলে ফেলেছে, মাথায় বন্দুক রেখে গুলি করে হত্যা করেছে- তারা তো কয়েকদিনের মধ্যে ছাড়া পেয়ে যাবে। এর উত্তর কী দিবে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার।

তিনি বলেন, যার সন্তান খুন করা হয়েছে, সেই বাবার চোখের পানি মোছার টিস্যু এখনো তৈরি হয়নি। ছাত্র আন্দোলনে এই এলাকার পাঁচজন শহীদ হয়েছে। শেখ হাসিনা গণহত্যা চালিয়েছে। তার সহযোগী এই সাবের হোসেন চৌধুরী।

সাবের হোসেন চৌধুরী বিনা ভোটে বছরের পর বছর এমপি থেকেছে দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, তার নির্দেশেই এতগুলো খুন, বিচার বহির্ভূত হত্যা হয়েছে। সে যদি জামিনে মুক্তি পায় তাহলে যারা অর্থ কেলেঙ্কারি করেছে, যেসব পুলিশ ক্রসফায়ার দিয়েছে, বাসা থেকে তুলে নিয়ে আঙ্গুলের নখ তুলে ফেলেছে, মাথায় বন্দুক রেখে গুলি করে হত্যা করেছে। তারা তো কয়েকদিনের মধ্যে ছাড়া পেয়ে যাবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশিদ হাবিব, মহানগর বিএনপি নেতা ইউনূস মৃধা, সাবেক কাউন্সিলর লিটন, সেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি জাহিদুল কবির, যুবদলের মেহেবুব মাসুম শান্ত, আরিফুর রহমান তুষার, তৌহিদুর রহমান আউয়াল, মাসুদুর রহমান, রাজু আহমেদ প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সরকার সব দেনা শোধ করেছে, নভেম্বর পর্যন্ত সারের ঘাটতি হবে না : কৃষি উপদেষ্টা

২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাবের হোসেন মুক্তি পেলেন কীভাবে, প্রশ্ন রিজভীর

প্রকাশের সময় : ০৩:৩২:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতা সাবের হোসেন চৌধুরীর নির্দেশে ১১টি গুম-খুন হয়েছে। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, সেই সাবের হোসেন কীভাবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জামিনে মুক্তি পায়।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর খিলগাঁওয়ে গুম-খুন হাওয়া শহীদ পরিবারের সদস্যদের উদ্যোগে ‘খুনি সাবের হোসেনের’ বিচারের দাবিতে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল আমার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন। তিনি থাকা অবস্থায় একজন খুনি কীভাবে জামিন পায়? তাহলে এই সরকার কাকে প্রটেকশন দিচ্ছে? খিলগাঁও এলাকায় সাবের হোসেন চৌধুরীর জুলুম, নিপীড়ন ও নির্যাতনে অনেক মানুষ হাত-পা হারিয়েছে বলে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, জনির মত তরুণ ছেলে জীবন দিয়েছে। তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ১৬টি গুলি করে হত্যা করেছে। তার নির্দেশেই এই এলাকায় ১১ জন গুম খুনের শিকার হয়েছে। এর দায় তিনি এড়াতে পারেন না।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা গণহত্যা চালিয়েছেন। তার সহযোগী এই সাবের হোসেন। তিনিতো শেখ হাসিনার চেতনায় লালিত। তাদের আমলে কেউ গণতন্ত্রের পক্ষে টু শব্দ করতে পােেরনি। বিএনপির পক্ষে, খালেদা জিয়ার পক্ষে, তারেক রহমানের পক্ষে কথা বলতে পারেনি। এজন্যেই তিনি (সাবের হোসেন চৌধুরী) গুম খুনের কর্মসূচি সফল করেছেন।

রিজভী বলেন, সাবের হোসেন চৌধুরী বিনা ভোটে বছরের পর বছর এমপি থেকেছেন। তার নির্দেশেই এতগুলো খুন, বিচার বহির্ভূত হত্যা হয়েছে। সে যদি জামিনে মুক্তি পায় তাহলে যারা অর্থ কেলেঙ্কারি, যেসব পুলিশ ক্রসফায়ার দিয়েছে, বাসা থেকে তুলে নিয়ে আঙ্গুলের নখ তুলে ফেলেছে, মাথায় বন্দুক রেখে গুলি করে হত্যা করেছে- তারা তো কয়েকদিনের মধ্যে ছাড়া পেয়ে যাবে। এর উত্তর কী দিবে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার।

তিনি বলেন, যার সন্তান খুন করা হয়েছে, সেই বাবার চোখের পানি মোছার টিস্যু এখনো তৈরি হয়নি। ছাত্র আন্দোলনে এই এলাকার পাঁচজন শহীদ হয়েছে। শেখ হাসিনা গণহত্যা চালিয়েছে। তার সহযোগী এই সাবের হোসেন চৌধুরী।

সাবের হোসেন চৌধুরী বিনা ভোটে বছরের পর বছর এমপি থেকেছে দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, তার নির্দেশেই এতগুলো খুন, বিচার বহির্ভূত হত্যা হয়েছে। সে যদি জামিনে মুক্তি পায় তাহলে যারা অর্থ কেলেঙ্কারি করেছে, যেসব পুলিশ ক্রসফায়ার দিয়েছে, বাসা থেকে তুলে নিয়ে আঙ্গুলের নখ তুলে ফেলেছে, মাথায় বন্দুক রেখে গুলি করে হত্যা করেছে। তারা তো কয়েকদিনের মধ্যে ছাড়া পেয়ে যাবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশিদ হাবিব, মহানগর বিএনপি নেতা ইউনূস মৃধা, সাবেক কাউন্সিলর লিটন, সেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি জাহিদুল কবির, যুবদলের মেহেবুব মাসুম শান্ত, আরিফুর রহমান তুষার, তৌহিদুর রহমান আউয়াল, মাসুদুর রহমান, রাজু আহমেদ প্রমুখ।