নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশাল পৌরসভাকে ২০০২ সালে সিটি করপোরেশন উন্নীত করার পর ৩০ নম্বর ওয়ার্ডটি গঠন করা হয়। কিন্তু এরপর ২২ বছর পার হলেও এই ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের করের বোঝা বাড়া ছাড়া আর কোনো সুবিধা মেলেনি। এক যুগেরও বেশি সময় আগে তৎকালীন মেয়র শওকত হোসেন হিরনের আমলে দু-একটি সড়ক পাকা হয়। এরপর আর সংস্কার না হওয়ায় ওই সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ওয়ার্ডের অধিকাংশ রাস্তা কাঁচা। কয়েকটি পাকা সড়ক থাকলেও সেগুলোর অবস্থা খারাপ। মশার উপদ্রব অতিষ্ঠ ওয়ার্ডবাসী।
সরেজমিনে দেখা যায়, ‘সদর উপজেলার রায়াপাশা-কড়াপুর এবং কাশীপুর ইউনিয়নের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের আভ্যন্তরীণ বেশিরভাগ রাস্তা-ঘাট এখনো কাঁচা। সংস্কারের অভাবে রাস্তাগুলো ভেঙে-চুরে একাকার হয়ে আছে। বর্ষা এলে হাঁটুসমান কাদা এবং পানি জমে থাকে রাস্তাগুলোতে। পশ্চিম চহঠা এলাকার পাকা সড়কের অবস্থা খুব খারাপ। ফলে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে মানুষ। সড়কটি নির্মাণের পর সংস্কার না হওয়ায় পিচঢালাই উঠে ইটের খোয়া বের হয়ে গেছে। অনেক স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।
বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের কাশীপুর চৌমাথা থেকে শুরু হয়ে বৌসের হাট, সোলনা, শিবপাশা, লাফাদী, বাড়ৈকান্দি এলাকা নিয়ে গঠিত সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডটি। এই ওয়ার্ডটিতে ভোটার সংখ্যা ১০ সহস্রাধিক। এটি সিটি করপোরেশনের বর্ধিত এলাকা হিসেবে পরিচিত।
ওয়ার্ডের পশ্চিম চহঠা এলাকার বাসিন্দা মো. ইসাহাক আলী হাওলাদার বলেন, আমরা সিটি করপোরেশনের আওতায় এসেছি ঠিকই, কিন্তু সিটি করপোরেশনের কোনো সুযোগ–সুবিধা পাচ্ছি না। এই এলাকায় গত ২২ বছরে কোনো উন্নয়ন হয়নি।
ইসাহাক আলী আরও বলেন, সিটি করপোরেশনের আওতায় আসার পরে প্রয়াত শওকত হোসেন হিরন মেয়র থাকাবস্থায় কাশীপুর চৌমাথা থেকে রায়াপাশা-কড়াপুর পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এবং শোলনা, শিবপাশা, লাফাদী ও বাড়ৈইকান্দি সড়কটির একবার সংস্কার হয়েছিল। এরপর নতুন করে সড়ক দুটির আর কোনো সংস্কার হয়নি। অথচ এই সড়ক দুটিই শহরের সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, সারাক্ষণ মশার যন্ত্রণায় তাঁরা অতিষ্ঠ। অথচ ঠিকমতো মশার ওষুধও দেওয়া হচ্ছে না। সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা মাঝেমধ্যে এসে ওষুধ ছিটালেও তাতে উৎপাত কমে না। এ ছাড়া একবার সড়কবাতি কেটে গেলে লাগাতে সময় লেগে যায় ৭ থেকে ১০ দিন। সিটি করপোরেশন বাসিন্দাদের কাছ থেকে বছর বছর হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করে নিলেও নাগরিক সুবিধা মিলছে না ন্যূনতম।