নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের প্রভাবশালী দুই দেশ ভারত ও চীন সফরে যাচ্ছেন। আগামী ২১ ও ২২ জুন তিনি সরকারি সফর হিসেবে নয়াদিল্লি যাবেন। আর আগামী ৯ থেকে ১২ জুলাই বেইজিং সফর করবেন তিনি।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে প্রতিবার সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণত প্রতিবেশী দেশ ভারতেই প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর করে থাকেন। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের কারণেই সাধারণত সেদেশেই প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে গিয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী।
এবারও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। আগামী ২১ ও ২২ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করবেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আগামী জুলাই মাসে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সে অনুযায়ী আগামী ৯ থেকে ১২ জুলাই বেইজিং সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী। চীন এখন বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার। সে কারণে প্রধানমন্ত্রীর জন্য চীন সফরও গুরুত্বপূর্ণ। গত ৩ জুন বেইজিংয়ে বাংলাদেশ-চীনের রাজনৈতিক পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর চূড়ান্ত করা হয়।
নতুন সরকার গঠনের পর গত ফেব্রুয়ারিতে জার্মানিতে বহুপক্ষীয় সফরে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রতিবেশী দেশ ভারতে জাতীয় নির্বাচন শেষ হওয়ার পরপরই সেখানে সফরে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। দেশটির জাতীয় নির্বাচন বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক অনুশীলন। যা ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত ৭ ধাপে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং ভোট গণনা শুরু ৪ জুন।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফর ২ দেশের সম্পর্ককে আরো উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।
গত জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী মোদি নির্বাচনে জয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছিলেন এবং ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক অব্যাহত জোরদার করার আশা প্রকাশ করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে সর্বশেষ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে জি-২০ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের সময় হয়েছিল, যেখানে বাংলাদেশ অতিথি দেশ ছিল।
মোদি আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারে তার শপথ অনুষ্ঠানে দক্ষিণ এশিয়া ও বিমসটেকভুক্ত দেশগুলোর নেতাদের আমন্ত্রণ জানাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
উপরন্তু জুলাইয়ে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সাথে বৈঠকে শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফরের বিষয়টি তুলে ধরা হয়। তখন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে চীনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বাংলাদেশের ‘রূপকল্প ২০৪১’ ও ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও সাংস্কৃতিক বিনিময় সম্প্রসারণে এই সফরের তাৎপর্যের ওপর জোর দেন।