Dhaka শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২১ দিনে প্রবাসী আয় এলো ১৬৩ কোটি ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশে প্রবাসী আয়ে (রেমিট্যান্স) সুবাতাস লেগেছে। প্রবাসীদের কষ্টার্জিত আয়ের প্রবাহে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ২১ দিনে দেশে প্রবাসীয় আয় এসেছে ১৬৩ কোটি ৪২ লাখ মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৯ হাজার ৬১১ কোটি টাকা ( প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে ৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চলতি মাসের প্রথম ২১ দিনে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে তা গত বছরের এক সময়ের চেয়ে প্রায় ৩০ কোটি ডলার বেশি। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩৩ কোটি ডলার। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে এসেছিল ১৫৪ কোটি ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, সেপ্টেম্বরে দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৭ কোটি ৭৮ লাখ ২০ হাজার ডলার। এই হারে রেমিট্যান্স আসতে থাকলে মাস শেষে প্রবাসী আয় ২৩৩ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

সেপ্টেম্বরের প্রথম তিন সপ্তাহে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৮ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৬ কোটি ৯৮ লাখ ৩০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১০৭ কোটি ৯৬ লাখ ১০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪০ লাখ ৩০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ১৫ থেকে ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশে এসেছে ৪৬ কোটি ৭০ লাখ ৩০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। সেপ্টেম্বরের ৮ থেকে ১৪ তারিখের মধ্যে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৫৮ কোটি ২৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার। আর সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছিলেন ৫৮ কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার।

রেমিট্যান্স প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, গত জুলাই থেকে আগস্ট মাসে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে। প্রবাসীরা বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি বাড়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ বেড়েছে। শুধু তাই নয়, রিজার্ভের পতন থামানো গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি মাসের প্রথম ২১ দিনে দেশে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪৮ কোটি ৭ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৬ কোটি ৯৮ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১০৭ কোটি ৯৬ লাখ ১০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

গত আগস্ট মাসে দেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে ২২২ কোটি মার্কিন ডলার (২ দশমিক ২২ বিলিয়ন)। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৬ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯১ কোটি ৩৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। যা আগের ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩৩ কোটি ডলার। গত আগস্ট মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২২১ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ, নভেম্বর ১৯৩ কোটি, ডিসেম্বরে ১৯৯ কোটি ১২ লাখ, জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ, মার্চ মাসে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ, এপ্রিলে এসেছে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ, মে মাসে এসেছে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ এবং জুন মাসে এসেছিল ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

আবহাওয়া

বৈরী আবহাওয়ার কারণে আগৈলঝাড়ায় ছাতার কারিগরদের ব্যাপক কদর

২১ দিনে প্রবাসী আয় এলো ১৬৩ কোটি ডলার

প্রকাশের সময় : ০৯:৩৮:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশে প্রবাসী আয়ে (রেমিট্যান্স) সুবাতাস লেগেছে। প্রবাসীদের কষ্টার্জিত আয়ের প্রবাহে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ২১ দিনে দেশে প্রবাসীয় আয় এসেছে ১৬৩ কোটি ৪২ লাখ মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৯ হাজার ৬১১ কোটি টাকা ( প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে ৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চলতি মাসের প্রথম ২১ দিনে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে তা গত বছরের এক সময়ের চেয়ে প্রায় ৩০ কোটি ডলার বেশি। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩৩ কোটি ডলার। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে এসেছিল ১৫৪ কোটি ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, সেপ্টেম্বরে দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৭ কোটি ৭৮ লাখ ২০ হাজার ডলার। এই হারে রেমিট্যান্স আসতে থাকলে মাস শেষে প্রবাসী আয় ২৩৩ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

সেপ্টেম্বরের প্রথম তিন সপ্তাহে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৮ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৬ কোটি ৯৮ লাখ ৩০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১০৭ কোটি ৯৬ লাখ ১০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪০ লাখ ৩০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ১৫ থেকে ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশে এসেছে ৪৬ কোটি ৭০ লাখ ৩০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। সেপ্টেম্বরের ৮ থেকে ১৪ তারিখের মধ্যে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৫৮ কোটি ২৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার। আর সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছিলেন ৫৮ কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার।

রেমিট্যান্স প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, গত জুলাই থেকে আগস্ট মাসে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে। প্রবাসীরা বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি বাড়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ বেড়েছে। শুধু তাই নয়, রিজার্ভের পতন থামানো গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি মাসের প্রথম ২১ দিনে দেশে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪৮ কোটি ৭ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৬ কোটি ৯৮ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১০৭ কোটি ৯৬ লাখ ১০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

গত আগস্ট মাসে দেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে ২২২ কোটি মার্কিন ডলার (২ দশমিক ২২ বিলিয়ন)। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৬ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯১ কোটি ৩৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। যা আগের ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩৩ কোটি ডলার। গত আগস্ট মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২২১ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ, নভেম্বর ১৯৩ কোটি, ডিসেম্বরে ১৯৯ কোটি ১২ লাখ, জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ, মার্চ মাসে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ, এপ্রিলে এসেছে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ, মে মাসে এসেছে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ এবং জুন মাসে এসেছিল ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।