Dhaka বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২১ আগস্ট হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে : আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

রোববার (২০ আগস্ট) নিবন্ধন অধিদপ্তরের উদ্যোগে রাজধানীর আব্দুল গনি রোডে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এমন কথা বলেন।

দিবসটি উপলক্ষে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ সভার আয়োজন করে।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ২১ আগস্টের মামলার নিম্ন আদালতের কাজ শেষ হয়েছে। তার মানে একটা পর্যায়ে কাজ শেষ হয়েছে। আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাসী এবং আইনের শাসনে যে প্রক্রিয়া সেটা অনুসরণ করা হচ্ছে। আমি যতদূর জানি, এখন মামলাটার হাইকোর্ট বিভাগের শুনানি চলছে। এক্ষেত্রে আমি মনে করি, এটার বিচার তো হচ্ছে। আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও হত্যা মামলার বিচার শেষ হচ্ছে।

পলাতকদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। এ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আশা করি আগামী তিন মাসের মধ্যে হাইকোর্টেও মামলার কাজ শেষ হবে।

সুধীজনদের পকেটে অনেক তেল থাকে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, এই তেল তারা একেক সময় একেকজনকে দেয়। এদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, বিবিসির যে জরিপটা হয়েছিল, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি কে? সেই জরিপে বলা হয়েছিল হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি হচ্ছে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যদি প্রশ্নটা হতো সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি কে? তখনও উত্তর হতো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, তিনি বাঙালির বন্ধু ছিলেন, প্রথমবারের মতো স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। বাঙালিকে অধিকার সম্পর্কে শিখিয়েছিলেন। স্বাধিকার সম্পর্কে শিখিয়েছিলেন। এই অধিকার আপনাদের দেওয়া হবে না। এর জন্য আপনাদের সংগ্রাম করতে হবে। তিনি এই বাঙালির জন্য প্রাণ দিতে ভয় পাননি। এজন্য তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।

তিনি আরও বলেন, এই দেশ বঙ্গবন্ধু সৃষ্টি করেছেন। এই দেশে রাজনীতি করতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক মানতে হবে। সত্যকে স্বীকার করে রাজনীতি করতে হবে।

মোশতাকের মন্ত্রিসভায় অংশগ্রহণকারীদের বিশ্বাসঘাতক উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, বাঙালি কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে ভুলে যায়নি। বাঙালি হয়তো সেদিন স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল। সেদিন মোশতাকের সঙ্গে যারা চলে গেছে, তারা না গেলে মোশতাক টিকতে পারতো না। শুধু মন্ত্রিসভায় যোগদান না করলে হতো। বিকেল তিনটায় শপথগ্রহণ যদি না করত, তাহলে ঢাকা শহরের কথা জানি না, কিন্তু গ্রামে-গঞ্জে বাঙালি বেরিয়ে যেত। এটি বন্ধ হয়েছে এসব বিশ্বাসঘাতকের জন্য।

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। মন্ত্রণালয়ের সংসদ বিভাগের সচিব মঈনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব গোলাম সারওয়ার উপস্থিত ছিলেন। নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক উম্মে কুলসুমসহ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিবরা এতে বক্তব্য রাখেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আপস করলে খালেদা জিয়া অনেক আগেই ক্ষমতায় বসতে পারতেন : সেলিমা রহমান

২১ আগস্ট হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে : আইনমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১১:২৩:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

রোববার (২০ আগস্ট) নিবন্ধন অধিদপ্তরের উদ্যোগে রাজধানীর আব্দুল গনি রোডে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এমন কথা বলেন।

দিবসটি উপলক্ষে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ সভার আয়োজন করে।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ২১ আগস্টের মামলার নিম্ন আদালতের কাজ শেষ হয়েছে। তার মানে একটা পর্যায়ে কাজ শেষ হয়েছে। আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাসী এবং আইনের শাসনে যে প্রক্রিয়া সেটা অনুসরণ করা হচ্ছে। আমি যতদূর জানি, এখন মামলাটার হাইকোর্ট বিভাগের শুনানি চলছে। এক্ষেত্রে আমি মনে করি, এটার বিচার তো হচ্ছে। আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও হত্যা মামলার বিচার শেষ হচ্ছে।

পলাতকদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। এ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আশা করি আগামী তিন মাসের মধ্যে হাইকোর্টেও মামলার কাজ শেষ হবে।

সুধীজনদের পকেটে অনেক তেল থাকে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, এই তেল তারা একেক সময় একেকজনকে দেয়। এদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, বিবিসির যে জরিপটা হয়েছিল, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি কে? সেই জরিপে বলা হয়েছিল হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি হচ্ছে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যদি প্রশ্নটা হতো সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি কে? তখনও উত্তর হতো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, তিনি বাঙালির বন্ধু ছিলেন, প্রথমবারের মতো স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। বাঙালিকে অধিকার সম্পর্কে শিখিয়েছিলেন। স্বাধিকার সম্পর্কে শিখিয়েছিলেন। এই অধিকার আপনাদের দেওয়া হবে না। এর জন্য আপনাদের সংগ্রাম করতে হবে। তিনি এই বাঙালির জন্য প্রাণ দিতে ভয় পাননি। এজন্য তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।

তিনি আরও বলেন, এই দেশ বঙ্গবন্ধু সৃষ্টি করেছেন। এই দেশে রাজনীতি করতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক মানতে হবে। সত্যকে স্বীকার করে রাজনীতি করতে হবে।

মোশতাকের মন্ত্রিসভায় অংশগ্রহণকারীদের বিশ্বাসঘাতক উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, বাঙালি কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে ভুলে যায়নি। বাঙালি হয়তো সেদিন স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল। সেদিন মোশতাকের সঙ্গে যারা চলে গেছে, তারা না গেলে মোশতাক টিকতে পারতো না। শুধু মন্ত্রিসভায় যোগদান না করলে হতো। বিকেল তিনটায় শপথগ্রহণ যদি না করত, তাহলে ঢাকা শহরের কথা জানি না, কিন্তু গ্রামে-গঞ্জে বাঙালি বেরিয়ে যেত। এটি বন্ধ হয়েছে এসব বিশ্বাসঘাতকের জন্য।

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। মন্ত্রণালয়ের সংসদ বিভাগের সচিব মঈনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব গোলাম সারওয়ার উপস্থিত ছিলেন। নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক উম্মে কুলসুমসহ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিবরা এতে বক্তব্য রাখেন।