Dhaka সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২০২৬ সালের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন : প্রেস সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হতে পারে সেই আভাস ইতোমধ্যে দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এবার তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সুনির্দিষ্টভাবে সময়সীমা উল্লেখ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসম্বের) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক ইস্যুতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করতে গিয়ে তিনি এই কথা বলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, নির্বাচন নিয়ে খুব স্পষ্ট রোডম্যাপ দেওয়া হয়েছে। এর থেকে ক্লিয়ার রোডম্যাপ কি হতে পারে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আলোকপাত করেছেন ২০২৫ এর ডিসেম্বর বা ২৬ এর ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন। সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ তো নির্বাচন কমিশন দিবেন।

প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের পর কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি উঠেছে। এ প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, ভোট নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা যে ঘোষণা দিয়েছেন, তারচেয়ে স্পষ্ট রোডম্যাপ আর কী হতে পারে?

প্রেস ব্রিফিংয়ে বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেন শফিকুল আলম। তিনি জানান, জুলাই আন্দোলনে হত্যাযজ্ঞ চালানো কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সবাইকে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করতে সরকার বদ্ধপরিকর।

প্রেস সচিব জানান, শিক্ষা খাতে গত ১৫ বছরে বাজেট না বাড়িয়ে অপ্রয়োজনীয় খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে উচ্চশিক্ষায়। শিক্ষার মানোন্নয়নে কমিশন গঠনসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

শফিকুল আলম বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগে স্কুল-কলেজে বদলি পদোন্নতিতে ব্যাপক ঘুষ লেনদেন হয়। শিক্ষাখাতের দুর্নীতি বন্ধ করা হবে। সেইসঙ্গে পুরো শিক্ষাখাতের গুণগত পরিবর্ত আনতে চায় অন্তর্র্বতী সরকার।

শিক্ষা কমিশন হবে কিনা এমন প্রশ্নে প্রেস সচিব বলেন, কমিশনের বিষয়ে বলা যাচ্ছে না তবে সরকার এরই মধ্যে জরুরি কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। ক্লাস নাইন এবং ক্লাস টেনের টেক্সট বুক পরিমার্জন করে আধুনিক করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশন থেকে গ্রান্টস/মঞ্জুরি বাদ দিয়ে শুধু ইউনিভার্সিটি কমিশন করা হবে। আইসিটি শিক্ষা দ্রুত বিশ্বমানের করা হবে। বিশ্ব মানদণ্ড অনুযায়ী আমাদের শিক্ষাখাতে বরাদ্দ খুবই কম। গত সরকার এমন কিছু অপ্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করেছে কিন্তু শিক্ষায় পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেয়নি। শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ানো হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আড়াই বছরেও শেষ হয়নি সেতু নির্মাণ কাজ, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

২০২৬ সালের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন : প্রেস সচিব

প্রকাশের সময় : ০৮:৪০:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হতে পারে সেই আভাস ইতোমধ্যে দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এবার তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সুনির্দিষ্টভাবে সময়সীমা উল্লেখ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসম্বের) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক ইস্যুতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করতে গিয়ে তিনি এই কথা বলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, নির্বাচন নিয়ে খুব স্পষ্ট রোডম্যাপ দেওয়া হয়েছে। এর থেকে ক্লিয়ার রোডম্যাপ কি হতে পারে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আলোকপাত করেছেন ২০২৫ এর ডিসেম্বর বা ২৬ এর ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন। সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ তো নির্বাচন কমিশন দিবেন।

প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের পর কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি উঠেছে। এ প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, ভোট নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা যে ঘোষণা দিয়েছেন, তারচেয়ে স্পষ্ট রোডম্যাপ আর কী হতে পারে?

প্রেস ব্রিফিংয়ে বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেন শফিকুল আলম। তিনি জানান, জুলাই আন্দোলনে হত্যাযজ্ঞ চালানো কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সবাইকে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করতে সরকার বদ্ধপরিকর।

প্রেস সচিব জানান, শিক্ষা খাতে গত ১৫ বছরে বাজেট না বাড়িয়ে অপ্রয়োজনীয় খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে উচ্চশিক্ষায়। শিক্ষার মানোন্নয়নে কমিশন গঠনসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

শফিকুল আলম বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগে স্কুল-কলেজে বদলি পদোন্নতিতে ব্যাপক ঘুষ লেনদেন হয়। শিক্ষাখাতের দুর্নীতি বন্ধ করা হবে। সেইসঙ্গে পুরো শিক্ষাখাতের গুণগত পরিবর্ত আনতে চায় অন্তর্র্বতী সরকার।

শিক্ষা কমিশন হবে কিনা এমন প্রশ্নে প্রেস সচিব বলেন, কমিশনের বিষয়ে বলা যাচ্ছে না তবে সরকার এরই মধ্যে জরুরি কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। ক্লাস নাইন এবং ক্লাস টেনের টেক্সট বুক পরিমার্জন করে আধুনিক করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশন থেকে গ্রান্টস/মঞ্জুরি বাদ দিয়ে শুধু ইউনিভার্সিটি কমিশন করা হবে। আইসিটি শিক্ষা দ্রুত বিশ্বমানের করা হবে। বিশ্ব মানদণ্ড অনুযায়ী আমাদের শিক্ষাখাতে বরাদ্দ খুবই কম। গত সরকার এমন কিছু অপ্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করেছে কিন্তু শিক্ষায় পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেয়নি। শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ানো হবে।