Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২শ’ বছরেও সুষ্ঠু নির্বাচনের ধারায় ফেরা সম্ভব নয়: সাবেক সিইসি হুদা

  • প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশের সময় : ০১:১৮:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ১৯০ জন দেখেছেন

২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সরকারি দলের কারণেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। বাংলাদেশ সুষ্ঠু নির্বাচনের ধারায় ফিরতে অন্তত ২শ’ বছর লাগবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন। ২০১৭ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর ৫ বছরে ৬ হাজারের বেশি নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছিল হুদা কমিশন। যার বড় অংশ নিয়েই রয়েছে বিতর্ক। সম্প্রতি দায়িত্ব ছাড়ার পর প্রথম কোনো গণমাধ্যমের সাথে এভাবে খোলামেলা কথা বলেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

তিনি বলেন, ‘যারা সরকারের দলে থাকে তাদের প্রভাব থাকতে পারে। সেটাতো গভমেন্ট মেশিনারির বিষয় না। সরকার দল যখন থাকে ক্ষমতায় তারা এইসব সুযোগ নেওয়ার.. আছে।’

ইসির সীমাবদ্ধতা নিয়ে প্রতিবেদকের করা প্রশ্নে জবাবে ২০১৮ সালের প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের কথা তুলে আনেন কে এম নূরুল হুদা। বলেন, ‘অভিযোগ যখন আছে তাহলে কোথাও কোথাও এই ধরনের সত্যতা থাকতে পারে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা জানি না সঠিক কিনা। যদি হয়ে থাকে সেটি খারাপ। কেউ রিপোর্ট না করলে নির্বাচন কমিশনদের ওই পর্যন্ত গিয়ে দেখভাল করার সুযোগ নাই।’

বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনী ধারা কবে ফিরবে জানতে চাইলে অন্তত ২শ’ বছর সময় লাগবে বলে মন্তব্য করেন সাবেক এই প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা। বলেন, ‘ইংল্যান্ডে ১৮৮৩ সাল থেকে ২০০ বছর লেগেছিল নির্বাচন গ্রহণযোগ্য বা ফেয়ার করার পেছনে। আমার যদি কনভেনশনাল নিয়মে যদি যাই তাহলে আমাদের ২০০ বছর সময় লাগবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আসার পক্ষে আমি না। আমি এটার বিপক্ষে। ভুল যাই হোক না কেন এই কনভেনশনাল নিয়মের মধ্যে হতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কনসেপ্ট একটা খারাপ কনসেপ্ট।’

গত নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলেও আগামী ভোটে তাদের আনাটাই বর্তমান কমিশনের বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলেও মন্তব্য করেন কে এম নূরুল হুদা। তিনি বলেন, নির্বাচনে বড় বড় দলগুলো অংশগ্রহণ করানো একটা বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলে ভালো হবে।

ইভিএম নির্বাচনী সংস্কৃতির পরিবর্তন আনতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেন সাবেক এই প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

২শ’ বছরেও সুষ্ঠু নির্বাচনের ধারায় ফেরা সম্ভব নয়: সাবেক সিইসি হুদা

প্রকাশের সময় : ০১:১৮:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সরকারি দলের কারণেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। বাংলাদেশ সুষ্ঠু নির্বাচনের ধারায় ফিরতে অন্তত ২শ’ বছর লাগবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন। ২০১৭ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর ৫ বছরে ৬ হাজারের বেশি নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছিল হুদা কমিশন। যার বড় অংশ নিয়েই রয়েছে বিতর্ক। সম্প্রতি দায়িত্ব ছাড়ার পর প্রথম কোনো গণমাধ্যমের সাথে এভাবে খোলামেলা কথা বলেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

তিনি বলেন, ‘যারা সরকারের দলে থাকে তাদের প্রভাব থাকতে পারে। সেটাতো গভমেন্ট মেশিনারির বিষয় না। সরকার দল যখন থাকে ক্ষমতায় তারা এইসব সুযোগ নেওয়ার.. আছে।’

ইসির সীমাবদ্ধতা নিয়ে প্রতিবেদকের করা প্রশ্নে জবাবে ২০১৮ সালের প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের কথা তুলে আনেন কে এম নূরুল হুদা। বলেন, ‘অভিযোগ যখন আছে তাহলে কোথাও কোথাও এই ধরনের সত্যতা থাকতে পারে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা জানি না সঠিক কিনা। যদি হয়ে থাকে সেটি খারাপ। কেউ রিপোর্ট না করলে নির্বাচন কমিশনদের ওই পর্যন্ত গিয়ে দেখভাল করার সুযোগ নাই।’

বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনী ধারা কবে ফিরবে জানতে চাইলে অন্তত ২শ’ বছর সময় লাগবে বলে মন্তব্য করেন সাবেক এই প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা। বলেন, ‘ইংল্যান্ডে ১৮৮৩ সাল থেকে ২০০ বছর লেগেছিল নির্বাচন গ্রহণযোগ্য বা ফেয়ার করার পেছনে। আমার যদি কনভেনশনাল নিয়মে যদি যাই তাহলে আমাদের ২০০ বছর সময় লাগবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আসার পক্ষে আমি না। আমি এটার বিপক্ষে। ভুল যাই হোক না কেন এই কনভেনশনাল নিয়মের মধ্যে হতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কনসেপ্ট একটা খারাপ কনসেপ্ট।’

গত নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলেও আগামী ভোটে তাদের আনাটাই বর্তমান কমিশনের বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলেও মন্তব্য করেন কে এম নূরুল হুদা। তিনি বলেন, নির্বাচনে বড় বড় দলগুলো অংশগ্রহণ করানো একটা বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলে ভালো হবে।

ইভিএম নির্বাচনী সংস্কৃতির পরিবর্তন আনতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেন সাবেক এই প্রধান নির্বাচন কমিশনার।