Dhaka শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকার চার প্রকল্প অনুমোদন একনেকে

১ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকার চার প্রকল্প অনুমোদন একনেকে

সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হবে ৭৪০ কোটি ১৪ লাখ টাকাসহ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১ হাজার ৬৫৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে চারটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাকি ৯১৯ কোটি ২০ লাখ টাকা বৈদেশিক উৎস থেকে পাওয়া ঋণ সহায়তা বাবদ পাওয়া যাবে।

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এবং রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষ থেকে মন্ত্রী ও সচিবরা একনেক সভায় অংশগ্রহণ করেন।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তার তথ্যমতে, আজকের একনেকে তিনটি সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তার মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন (প্রথম সংশোধন)’ প্রকল্প।

সংশোধনীতে প্রকল্পের খরচ বাড়ানো হয়েছে। সময় একই রয়েছে। সংশোধনীতে ৪৯১ কোটি ৩৪ লাখ থেকে খরচ বেড়ে ৮৪০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘চট্টগ্রাম জেলা উপকূলীয় এলাকার পোল্ডার নং-৬২ (পতেঙ্গা), পোল্ডার নং-৬৩/১ বি (আনোয়ারা এবং পটিয়া) পুনর্বাসন’ প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধন আনা হয়েছে। এতে খরচও বাড়ছে, সময়ও বাড়ছে। ২৮০ কোটি ৩০ লাখ থেকে খরচ বেড়ে প্রথম সংশোধনীতে হয় ৩২০ কোটি ২৯ লাখ এবং আজকে সংশোধনের পর আরও বেড়ে দাঁড়ালো ৫৭৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। ২০১৬ সালের মেতে শুরু হওয়া প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২০ সালের জুন থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত।

আরও পড়ুন : রোহিঙ্গা সহায়তা প্রকল্পের মেয়াদ ও অনুদান বাড়ছে

স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘জরুরি ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় মাল্টি-সেক্টর’ প্রকল্পটির প্রথম সংশোধন আনা হয়েছে। এই প্রকল্পটিরও ব্যয় ও সময়ও বেড়েছে। ১ হাজার ৫৭ কোটি ৮৪ লাখ থেকে ব্যয় বেড়ে ১ হাজার ৯৮৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে।

২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ২০২১ সালের নভেম্বরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন হবে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের ‘হাতে কলমে কারিগরি প্রশিক্ষণে মহিলাদেরকে গুরুত্ব দিয়ে বিটাকের কার্যক্রম সম্প্রসারণপূর্বক আত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র বিমোচন (ফেজ-২)’ নামে একটি নতুন প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে একনেক সভায়। এতে খরচ করা হবে ১২৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

সভায় কৃষি মন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক অংশগ্রহণ করেন।

এছাড়াও মন্ত্রীপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

১ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকার চার প্রকল্প অনুমোদন একনেকে

প্রকাশের সময় : ১১:৪৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর ২০২০

সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হবে ৭৪০ কোটি ১৪ লাখ টাকাসহ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১ হাজার ৬৫৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে চারটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাকি ৯১৯ কোটি ২০ লাখ টাকা বৈদেশিক উৎস থেকে পাওয়া ঋণ সহায়তা বাবদ পাওয়া যাবে।

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এবং রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষ থেকে মন্ত্রী ও সচিবরা একনেক সভায় অংশগ্রহণ করেন।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তার তথ্যমতে, আজকের একনেকে তিনটি সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তার মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন (প্রথম সংশোধন)’ প্রকল্প।

সংশোধনীতে প্রকল্পের খরচ বাড়ানো হয়েছে। সময় একই রয়েছে। সংশোধনীতে ৪৯১ কোটি ৩৪ লাখ থেকে খরচ বেড়ে ৮৪০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘চট্টগ্রাম জেলা উপকূলীয় এলাকার পোল্ডার নং-৬২ (পতেঙ্গা), পোল্ডার নং-৬৩/১ বি (আনোয়ারা এবং পটিয়া) পুনর্বাসন’ প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধন আনা হয়েছে। এতে খরচও বাড়ছে, সময়ও বাড়ছে। ২৮০ কোটি ৩০ লাখ থেকে খরচ বেড়ে প্রথম সংশোধনীতে হয় ৩২০ কোটি ২৯ লাখ এবং আজকে সংশোধনের পর আরও বেড়ে দাঁড়ালো ৫৭৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। ২০১৬ সালের মেতে শুরু হওয়া প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২০ সালের জুন থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত।

আরও পড়ুন : রোহিঙ্গা সহায়তা প্রকল্পের মেয়াদ ও অনুদান বাড়ছে

স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘জরুরি ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় মাল্টি-সেক্টর’ প্রকল্পটির প্রথম সংশোধন আনা হয়েছে। এই প্রকল্পটিরও ব্যয় ও সময়ও বেড়েছে। ১ হাজার ৫৭ কোটি ৮৪ লাখ থেকে ব্যয় বেড়ে ১ হাজার ৯৮৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে।

২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ২০২১ সালের নভেম্বরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন হবে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের ‘হাতে কলমে কারিগরি প্রশিক্ষণে মহিলাদেরকে গুরুত্ব দিয়ে বিটাকের কার্যক্রম সম্প্রসারণপূর্বক আত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র বিমোচন (ফেজ-২)’ নামে একটি নতুন প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে একনেক সভায়। এতে খরচ করা হবে ১২৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

সভায় কৃষি মন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক অংশগ্রহণ করেন।

এছাড়াও মন্ত্রীপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।