Dhaka মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলেও জনগণ এখনো স্বাধীন নয় : গয়েশ্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলেও জনগণ এখনো স্বাধীন নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা ও জাতীয় মর্যাদার প্রতি ভিনদেশি আগ্রাসন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। গণঅধিকার পরিষদের একাংশ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

গয়েশ্বর বলেন, বর্তমান সরকারকে বয়কট করা অত্যন্ত জরুরি। ১৯৭১ সালে স্বাধীন হলেও দেশের জনগণ এখনো স্বাধীন নয়। কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলছে বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগ দেশের জনগণকে নয়, পার্শ্ববর্তী দেশকে খুশি করতে রাজনীতি করে।

ভারত আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে পারবে না বলে মন্তব্য করে গয়েশ্বর বলেন, আওয়ামী লীগ ভারতের সবচেয়ে নিকৃষ্ট পণ্য। এই সরকারকে বয়কট করা অত্যন্ত জরুরি। আমাদের বিদেশি পণ্য বর্জন করা উচিত।

গয়েশ্বর বলেন, গণতন্ত্র কখনো আসবে, কখনো যাবে। গণতন্ত্র চলে গেলে লড়াই করতে হবে। তাহলে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। কিন্তু আগ্রাসন বিরোধী লড়াই করা কঠিন। অর্থনীতিবিদরা বর্তমানের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো বলতে পারবেন এবং ব্যাংকের যে করুণ চিত্র কিছুদিন পরে কর্মীদের বেতন দেওয়ার টাকা থাকবে না। চেয়ার-টেবল বিক্রি করে তাদের বেতন দিতে হবে। যেখানে মানুষের টাকা জমা থাকে সেই ব্যাংকপাড়ার অবস্থা যদি এমন হয় দেশের রাজনীতি থেকে কি হাসিনা যাবে না? যাবে, যেতেই হবে। ভারত তাকে রাখতে পারবে না।

গণঅধিকার পরিষদ একাংশের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামানের সভাপতিত্বে, সদস্য সচিব ফারুক হাসানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, এবি পার্টির সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান মুঞ্জু, ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলেও জনগণ এখনো স্বাধীন নয় : গয়েশ্বর

প্রকাশের সময় : ০৬:১৬:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলেও জনগণ এখনো স্বাধীন নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা ও জাতীয় মর্যাদার প্রতি ভিনদেশি আগ্রাসন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। গণঅধিকার পরিষদের একাংশ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

গয়েশ্বর বলেন, বর্তমান সরকারকে বয়কট করা অত্যন্ত জরুরি। ১৯৭১ সালে স্বাধীন হলেও দেশের জনগণ এখনো স্বাধীন নয়। কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলছে বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগ দেশের জনগণকে নয়, পার্শ্ববর্তী দেশকে খুশি করতে রাজনীতি করে।

ভারত আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে পারবে না বলে মন্তব্য করে গয়েশ্বর বলেন, আওয়ামী লীগ ভারতের সবচেয়ে নিকৃষ্ট পণ্য। এই সরকারকে বয়কট করা অত্যন্ত জরুরি। আমাদের বিদেশি পণ্য বর্জন করা উচিত।

গয়েশ্বর বলেন, গণতন্ত্র কখনো আসবে, কখনো যাবে। গণতন্ত্র চলে গেলে লড়াই করতে হবে। তাহলে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। কিন্তু আগ্রাসন বিরোধী লড়াই করা কঠিন। অর্থনীতিবিদরা বর্তমানের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো বলতে পারবেন এবং ব্যাংকের যে করুণ চিত্র কিছুদিন পরে কর্মীদের বেতন দেওয়ার টাকা থাকবে না। চেয়ার-টেবল বিক্রি করে তাদের বেতন দিতে হবে। যেখানে মানুষের টাকা জমা থাকে সেই ব্যাংকপাড়ার অবস্থা যদি এমন হয় দেশের রাজনীতি থেকে কি হাসিনা যাবে না? যাবে, যেতেই হবে। ভারত তাকে রাখতে পারবে না।

গণঅধিকার পরিষদ একাংশের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামানের সভাপতিত্বে, সদস্য সচিব ফারুক হাসানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, এবি পার্টির সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান মুঞ্জু, ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা প্রমুখ।