Dhaka বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৮ কোটি মানুষের কাছে এই সরকারের সমর্থন নেই : গয়েশ্বর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৪৭:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৯২ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ১৮ কোটি মানুষের কাছে এই সরকারের সমর্থন নেই। বিদেশিদের কাছে মাথানত করল কী করল না, এটা বিএনপির মাথাব্যথা নয়।

শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক বিশ্ব গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলছে, মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলছে, ন্যায়বিচারের পক্ষে কথা বলছেৃ এটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে তাদের দায়িত্ববোধ থেকে বলছে…। অর্থাৎ তারা বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে কথা বলছে। সুতরাং যদি মাথানত করতে হয় সরকারকে ১৮ কোটি মানুষের কাছেই মাথা নত করতে হবে।

বিদেশিরা কেন বিএনপির পক্ষে সমর্থন দিচ্ছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে গয়েশ্বর বলেন, আমাদের কথা হলো তাদের (বিদেশিদের) সমর্থন আদায় করার বিষয় না। আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়ছি, তারা (বিদেশিরা) গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলছে; আমরা ন্যায়বিচার চাই, তারা এ দেশে ন্যায়বিচার চায়, জনগণের অধিকার ভূলুণ্ঠিত না হয় সেটা তারা চায়। তারা মানবাধিকারের কথা বলে, তারা খুন-গুমের বিরুদ্ধে বলে। সুতরাং আমাদের এখানে চাওয়ার ব্যাপার নেই। তাদের নিজস্ব বিবেচনা বোধ থেকে তারা আমাদের দেশের জনগণের পক্ষে কথা বলছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির প্রতিশ্রুতি একটি সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সংবিধানে মানুষের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠাই বিএনপির প্রতিশ্রুতি। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমরা রাজপথে লড়ছি দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য। শেষ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকার বিকল্প নাই। আমরা দাঁড়িয়ে থাকার বিষয় নয় শুধু, ১৮ কোটি মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। সুতরাং কোনো রাজনৈতিক দল পরাজিত হলেও জনগণ কখনো পরাজিত হয় না।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একজন ক্ষণজন্মা মানুষ। তিনি স্বাধীনতার ডাক দিয়ে কোনো শত্রুর শিবিরে গিয়ে ওঠেননি। আত্মসমর্পণ করেননি। সম্মুখে ৯ মাস যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন।

তিনি বলেন, জনগণের ভাষায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শাহাদত বরণ করেছেন। তার জানাজায় ৩৫ লাখ লোক হয়েছিল। এদেশে জানাজা না হওয়ারও ইতিহাস রয়েছে। কেমন লোক হয়েছিল সেটাও সবার জানা আছে। অর্থাৎ যারা মারছে তারাই কবর দিয়েছে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শাহজাহান ওমর, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব, ফরহাদ হালিম ডোনার, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নেত্রকোনায় বাঁশ-কাঠে জোড়াতালি দেওয়া সেতু যেন এখন মৃত্যুফাঁদ

১৮ কোটি মানুষের কাছে এই সরকারের সমর্থন নেই : গয়েশ্বর

প্রকাশের সময় : ০৩:৪৭:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ১৮ কোটি মানুষের কাছে এই সরকারের সমর্থন নেই। বিদেশিদের কাছে মাথানত করল কী করল না, এটা বিএনপির মাথাব্যথা নয়।

শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক বিশ্ব গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলছে, মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলছে, ন্যায়বিচারের পক্ষে কথা বলছেৃ এটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে তাদের দায়িত্ববোধ থেকে বলছে…। অর্থাৎ তারা বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে কথা বলছে। সুতরাং যদি মাথানত করতে হয় সরকারকে ১৮ কোটি মানুষের কাছেই মাথা নত করতে হবে।

বিদেশিরা কেন বিএনপির পক্ষে সমর্থন দিচ্ছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে গয়েশ্বর বলেন, আমাদের কথা হলো তাদের (বিদেশিদের) সমর্থন আদায় করার বিষয় না। আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়ছি, তারা (বিদেশিরা) গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলছে; আমরা ন্যায়বিচার চাই, তারা এ দেশে ন্যায়বিচার চায়, জনগণের অধিকার ভূলুণ্ঠিত না হয় সেটা তারা চায়। তারা মানবাধিকারের কথা বলে, তারা খুন-গুমের বিরুদ্ধে বলে। সুতরাং আমাদের এখানে চাওয়ার ব্যাপার নেই। তাদের নিজস্ব বিবেচনা বোধ থেকে তারা আমাদের দেশের জনগণের পক্ষে কথা বলছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির প্রতিশ্রুতি একটি সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সংবিধানে মানুষের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠাই বিএনপির প্রতিশ্রুতি। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমরা রাজপথে লড়ছি দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য। শেষ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকার বিকল্প নাই। আমরা দাঁড়িয়ে থাকার বিষয় নয় শুধু, ১৮ কোটি মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। সুতরাং কোনো রাজনৈতিক দল পরাজিত হলেও জনগণ কখনো পরাজিত হয় না।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একজন ক্ষণজন্মা মানুষ। তিনি স্বাধীনতার ডাক দিয়ে কোনো শত্রুর শিবিরে গিয়ে ওঠেননি। আত্মসমর্পণ করেননি। সম্মুখে ৯ মাস যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন।

তিনি বলেন, জনগণের ভাষায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শাহাদত বরণ করেছেন। তার জানাজায় ৩৫ লাখ লোক হয়েছিল। এদেশে জানাজা না হওয়ারও ইতিহাস রয়েছে। কেমন লোক হয়েছিল সেটাও সবার জানা আছে। অর্থাৎ যারা মারছে তারাই কবর দিয়েছে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শাহজাহান ওমর, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব, ফরহাদ হালিম ডোনার, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।