Dhaka শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৫ হাজার ৬২ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চলতি নভেম্বর মাসের ১৬ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১২৫ কোটি ৫১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১৫ হাজার ৬২ কোটি টাকা।

রোববার (১৭ নভেম্বর) এ তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

তথ্য বলছে, নভেম্বরের ১৬ দিনে প্রতিদিন প্রবাসী আয় এসেছে সাত কোটি ৮৪ লাখ ৪৫ হাজার ৬২৫ ডলার। আর আগের মাস অক্টোবরে প্রতিদিন প্রবাসী আয় আসে সাত কোটি ৯৮ লাখ ৩৬ হাজার ডলার। আগের বছরের নভেম্বর মাসে প্রতিদিন প্রবাসী আয় আসে ছয় কোটি ৪৩ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬৭ ডলার।

এ হিসাবে আগের বছরের নভেম্বর মাসের চেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে। আবার আগের মাস অক্টোবরের চেয়ে কিছুটা কম এসেছে।

তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, নভেম্বরের ১৬ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪২ কোটি ৭ লাখ ডলার। কৃষি ব্যাংকের ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৮ কোটি ১৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার। বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৭৪ কোটি ৯৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার। আর বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আসে ৩২ লাখ ২০ হাজার ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানিয়েছে, ১০ থেকে ১৬ নভেম্বর দেশের প্রবাসী আয় এসেছে ৬০ কোটি ১ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। নভেম্বরের ৩ থেকে ৯ তারিখের মধ্যে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৬১ কোটি ২৫ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর ১ থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৪ কোটি ২৪ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

নভেম্বরের ১৬ দিনে একক ব্যাংক হিসাবে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় আসে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ২০ কোটি ৩২ লাখ ৯০ হাজার ডলার।

রেমিট্যান্স আসার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জনতা ব্যাংক। ব্যাংকটির মাধ্যমে এসেছে ১২ কোটি ৮১ লাখ ৭০ হাজার ডলার। এরপর ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে ১২ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ডলার, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ কোটি ২১ লাখ ৫০ হাজার ডলার, রূপালী ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ৮৬ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ১৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

নভেম্বর মাসের প্রথম ১৬ দিনে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ১০টি। এর মধ্যে রয়েছে একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক, একটি বিশেষায়িত ব্যাংক, ৫টি বেসরকারি ব্যাংক ও ৩টি বিদেশি ব্যাংক।

এসময়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত খাতের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব ও বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, সিটিজেন্স ব্যাংক পিএলসি, পদ্মা ব্যাংক পিএলসি, সীমান্ত ব্যাংক পিএলসি ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংকে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।

এ ছাড়া কোনো রেমিট্যান্স আসেনি বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়াতেও।

এর আগে, গত জুন মাসে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসার পর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবাসী আয় এসেছিল প্রায় ১৯১ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম আয় ছিল।

তবে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় গত আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। এছাড়া গত সেপ্টেম্বরে দেশে এসেছে চলতি অর্থবছরের সর্বোচ্চ ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। আর অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

দেশে যেন উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিতে না পারে : তারেক রহমান

১৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৫ হাজার ৬২ কোটি টাকা

প্রকাশের সময় : ০৯:৩৯:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চলতি নভেম্বর মাসের ১৬ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১২৫ কোটি ৫১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১৫ হাজার ৬২ কোটি টাকা।

রোববার (১৭ নভেম্বর) এ তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

তথ্য বলছে, নভেম্বরের ১৬ দিনে প্রতিদিন প্রবাসী আয় এসেছে সাত কোটি ৮৪ লাখ ৪৫ হাজার ৬২৫ ডলার। আর আগের মাস অক্টোবরে প্রতিদিন প্রবাসী আয় আসে সাত কোটি ৯৮ লাখ ৩৬ হাজার ডলার। আগের বছরের নভেম্বর মাসে প্রতিদিন প্রবাসী আয় আসে ছয় কোটি ৪৩ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬৭ ডলার।

এ হিসাবে আগের বছরের নভেম্বর মাসের চেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে। আবার আগের মাস অক্টোবরের চেয়ে কিছুটা কম এসেছে।

তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, নভেম্বরের ১৬ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪২ কোটি ৭ লাখ ডলার। কৃষি ব্যাংকের ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৮ কোটি ১৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার। বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৭৪ কোটি ৯৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার। আর বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আসে ৩২ লাখ ২০ হাজার ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানিয়েছে, ১০ থেকে ১৬ নভেম্বর দেশের প্রবাসী আয় এসেছে ৬০ কোটি ১ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। নভেম্বরের ৩ থেকে ৯ তারিখের মধ্যে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৬১ কোটি ২৫ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর ১ থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৪ কোটি ২৪ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

নভেম্বরের ১৬ দিনে একক ব্যাংক হিসাবে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় আসে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ২০ কোটি ৩২ লাখ ৯০ হাজার ডলার।

রেমিট্যান্স আসার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জনতা ব্যাংক। ব্যাংকটির মাধ্যমে এসেছে ১২ কোটি ৮১ লাখ ৭০ হাজার ডলার। এরপর ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে ১২ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ডলার, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ কোটি ২১ লাখ ৫০ হাজার ডলার, রূপালী ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ৮৬ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ১৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

নভেম্বর মাসের প্রথম ১৬ দিনে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ১০টি। এর মধ্যে রয়েছে একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক, একটি বিশেষায়িত ব্যাংক, ৫টি বেসরকারি ব্যাংক ও ৩টি বিদেশি ব্যাংক।

এসময়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত খাতের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব ও বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, সিটিজেন্স ব্যাংক পিএলসি, পদ্মা ব্যাংক পিএলসি, সীমান্ত ব্যাংক পিএলসি ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংকে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।

এ ছাড়া কোনো রেমিট্যান্স আসেনি বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়াতেও।

এর আগে, গত জুন মাসে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসার পর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবাসী আয় এসেছিল প্রায় ১৯১ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম আয় ছিল।

তবে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় গত আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। এছাড়া গত সেপ্টেম্বরে দেশে এসেছে চলতি অর্থবছরের সর্বোচ্চ ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। আর অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।