Dhaka শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৫ বছরে বাংলাদেশে বিমান চলাচল বাড়বে তিন গুণ : বিমান প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আগামী ১৫ বছরে বাংলাদেশে বিমান চলাচল প্রায় তিন গুণ বাড়বে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।

রোববার (১৫ অক্টোবর) সকালে ঢাকার প্যান-প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইকাও) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সিভিল এভিয়েশন প্রধানদের (ডিজিসিএ) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এরপর সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি।

৩৮ বছর পর পাঁচ দিনব্যাপী আজ থেকে ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে ৫৮তম এই সম্মেলন শুরু হলো। চলবে আগামী ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত। এতে প্রায় ৪৭টি দেশ এবং ১৩টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিসহ ৫০০ বিদেশি ডেলিগেট অংশ নিয়েছে।

তিনি বলেন, এভিয়েশন সেক্টরে বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় নাম। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এই সম্ভাবনাকে সফলভাবে বাস্তবে রূপ দিতে কাজ করে যাচ্ছি। গত ১০ বছরে দেশের বিমান চলাচলের বাজার যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহনে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। আগামী ১৫ বছরে তা তিন গুণ বাড়বে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনায় দেশের এভিয়েশন সেক্টর আন্তর্জাতিক অর্থে বিকশিত ও অগ্রসর হচ্ছে। উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের বিমান যোগাযোগের পরিধি বাড়ছে। সারাদেশে বিমান পরিকাঠামোর সময়োপযোগী সম্প্রসারণ, যাত্রীসেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ চলছে।

তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে বিমান শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৭২ সালে তার হাত ধরে সিভিল এভিয়েশন প্রতিষ্ঠিত হয়। তার স্বপ্ন এখন বাস্তবায়নে কাজ করছে তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার হাত ধরে দেশ এক অপার উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, এবারের সম্মেলন টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈশ্বিক উন্নয়নের কর্মকাণ্ড হিসেবে বিগত দুই যুগ ধরে কাজ করছেন। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ হওয়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। ২১০০ সালে ডেল্টা প্ল্যান আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য।

মাহবুব আলী বলেন, প্রযুক্তিগত এবং জনসাধারণের দক্ষতা উন্নতকরণ, নিরাপদ ও মসৃণ এয়ার নেভিগেশন নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে দেশের সব বিমানবন্দরে যুগান্তকারী উন্নয়ন প্রকল্প, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। অন্যান্য উন্নয়নকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।

মাহবুব আলী বলেন, আমাদের বর্তমান সরকার স্বীকার করে যে সম্মেলনের বিষয় প্রোমোটিং আইসিএও জেন্ডার ইকুয়ালিটি প্রোগ্রামের সাথে নেক্সট জেনারেশন অফ এভিয়েশন প্রফেশনালস (এনজিএপি) উদ্যোগ’ এগিয়ে যাওয়ার জন্য একটি সুস্পষ্ট পথ নির্ধারণ করে।

শেষে তিনি বলেন, এই সম্মেলনে আপনার অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি আশা করি যে এই ইভেন্টটি আমাদের ধারণা এবং সর্বোত্তম অনুশীলন বিনিময়ের সুযোগ প্রদান করবে এবং অনেক অসামান্য সমস্যা সমাধানে সহায়তা করবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান। অনুষ্ঠানে আইকাও-এর সভাপতি সালভাতোর সাকিতানো, মহাসচিব হুয়ান কার্লোস সালাজার, আঞ্চলিক পরিচালক তাও মা ছাড়াও বিভিন্ন দেশের এভিয়েশন প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

শ্রমিক ধর্মঘটের কথা মাথায় রেখে ১,০০,০০০ যাত্রীর ফ্লাইট বাতিল করেছে এয়ার কানাডা

১৫ বছরে বাংলাদেশে বিমান চলাচল বাড়বে তিন গুণ : বিমান প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১২:২৬:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আগামী ১৫ বছরে বাংলাদেশে বিমান চলাচল প্রায় তিন গুণ বাড়বে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।

রোববার (১৫ অক্টোবর) সকালে ঢাকার প্যান-প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইকাও) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সিভিল এভিয়েশন প্রধানদের (ডিজিসিএ) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এরপর সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি।

৩৮ বছর পর পাঁচ দিনব্যাপী আজ থেকে ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে ৫৮তম এই সম্মেলন শুরু হলো। চলবে আগামী ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত। এতে প্রায় ৪৭টি দেশ এবং ১৩টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিসহ ৫০০ বিদেশি ডেলিগেট অংশ নিয়েছে।

তিনি বলেন, এভিয়েশন সেক্টরে বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় নাম। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এই সম্ভাবনাকে সফলভাবে বাস্তবে রূপ দিতে কাজ করে যাচ্ছি। গত ১০ বছরে দেশের বিমান চলাচলের বাজার যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহনে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। আগামী ১৫ বছরে তা তিন গুণ বাড়বে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনায় দেশের এভিয়েশন সেক্টর আন্তর্জাতিক অর্থে বিকশিত ও অগ্রসর হচ্ছে। উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের বিমান যোগাযোগের পরিধি বাড়ছে। সারাদেশে বিমান পরিকাঠামোর সময়োপযোগী সম্প্রসারণ, যাত্রীসেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ চলছে।

তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে বিমান শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৭২ সালে তার হাত ধরে সিভিল এভিয়েশন প্রতিষ্ঠিত হয়। তার স্বপ্ন এখন বাস্তবায়নে কাজ করছে তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার হাত ধরে দেশ এক অপার উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, এবারের সম্মেলন টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈশ্বিক উন্নয়নের কর্মকাণ্ড হিসেবে বিগত দুই যুগ ধরে কাজ করছেন। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ হওয়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। ২১০০ সালে ডেল্টা প্ল্যান আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য।

মাহবুব আলী বলেন, প্রযুক্তিগত এবং জনসাধারণের দক্ষতা উন্নতকরণ, নিরাপদ ও মসৃণ এয়ার নেভিগেশন নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে দেশের সব বিমানবন্দরে যুগান্তকারী উন্নয়ন প্রকল্প, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। অন্যান্য উন্নয়নকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।

মাহবুব আলী বলেন, আমাদের বর্তমান সরকার স্বীকার করে যে সম্মেলনের বিষয় প্রোমোটিং আইসিএও জেন্ডার ইকুয়ালিটি প্রোগ্রামের সাথে নেক্সট জেনারেশন অফ এভিয়েশন প্রফেশনালস (এনজিএপি) উদ্যোগ’ এগিয়ে যাওয়ার জন্য একটি সুস্পষ্ট পথ নির্ধারণ করে।

শেষে তিনি বলেন, এই সম্মেলনে আপনার অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি আশা করি যে এই ইভেন্টটি আমাদের ধারণা এবং সর্বোত্তম অনুশীলন বিনিময়ের সুযোগ প্রদান করবে এবং অনেক অসামান্য সমস্যা সমাধানে সহায়তা করবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান। অনুষ্ঠানে আইকাও-এর সভাপতি সালভাতোর সাকিতানো, মহাসচিব হুয়ান কার্লোস সালাজার, আঞ্চলিক পরিচালক তাও মা ছাড়াও বিভিন্ন দেশের এভিয়েশন প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।