Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৪ দিন পর সীমিত পরিসরে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘাত এবং কারফিউ জারির কারণে বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। দীর্ঘ ১৪ দিন বন্ধ থাকার পর সীমিত পরিসরে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মোহাম্মদ আনোয়ার বলেন, সকাল থেকেই ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩টি ট্রেন কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে গেছে। সকাল ৭টায় প্রথম ট্রেন ছেড়েছে। পরেরটা ছেড়েছে ৭টা ২০মিনিটে। পরবর্তীতে সকাল ১০টায় ছেড়েছে তৃতীয় ট্রেন। শেষ ট্রেন ছেড়ে যাবে ৩টায়।

শুক্রবার (২ আগস্ট) থেকে ট্রেন চলাচল বাড়বে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আগামীকাল থেকে আস্তে আস্তে ট্রেন চলাচল বাড়বে। কাল কমিউটার ট্রেন চলাচল করবে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনাসহ কয়েকটি শহর থেকে আশপাশের গন্তব্যে কমিউটার ও লোকাল ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে তিতাস কমিউটার, দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার, জামালপুর কমিউটার, তুরাগ কমিউটার, কর্ণফুলী কমিউটার ও নারায়ণগঞ্জ কমিউটার চলাচল করবে। এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে কর্ণফুলী কমিউটার, সাগরিকা কমিউটার ও নাজিরহাট কমিউটার; ময়মনসিংহ থেকে মোহনগঞ্জ এবং ঝারিয়া রুটে দুইদিক থেকেই লোকাল ট্রেন চলাচল করবে।

আর খুলনা-ঈশ্বরদী, রাজশাহী-রহনপুর, খুলনা-বেনাপোল, বেনাপোল-মোংলা, রাজবাড়ী-ভাঙ্গা এবং রাজবাড়ী-ভাটিয়াপাড়া রুটে ১২টি লোকাল ট্রেন চলাচল করবে। তবে আন্তঃনগর যাত্রীবাহী ট্রেন কবে থেকে চলবে সেই সিদ্ধান্ত এখানও হয়নি বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে কর্মকর্তারা।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, তেলবাহী ট্রেন গত (২৫ জুলাই) শুক্রবার থেকেই চলাচল করছে। বুধবার চলাচল করেছে মালবাহী কিছু ট্রেন। ভারত থেকে পাথরবাহী দুটি ট্রেনও এ দিন চলাচল করেছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি সরবরাহের তেলবাহী ট্রেনও চলছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কারফিউ শিথিলের পাঁচ ঘণ্টায় বেশি দূরত্বের আন্তনগর ট্রেন চালানো সম্ভব নয়। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনাসহ অন্যান্য অঞ্চলে ট্রেন যেতেই পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। ফলে কারফিউ শিথিরের সময়ের মধ্যে এই ট্রেনগুলোর ফিরতি যাত্রা সম্ভব নয়। তবে শুক্রবার (২৬ জুলাই) থেকে কিছু আন্তনগর ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি রয়েছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রেল মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে ট্রেন চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানান বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) সরদার সাহাদাত।

সরদার সাহাদাত বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে কারফিউ শিথিলের সময় স্বল্প দূরপাল্লার ট্রেন সীমিত আকারে চলবে। এলাকাগুলো হলো—ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-জয়দেবপুর।

তিনি বলেন, এখনই আন্তঃনগর ট্রেন চলবে না। কারফিউয়ের কারণে আন্তঃনগর সময়মতো চলাচল করতে পারবে না। তবে পরিস্থিতি ঠিক হলে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৮ জুলাই আন্দোলনকারীদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘিরে সৃষ্টি হয় সহিংসতা। রণক্ষেত্রে রূপ নেয় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান। এ সময় জননিরাপত্তার স্বার্থে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

১৪ দিন পর সীমিত পরিসরে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু

প্রকাশের সময় : ১২:৪৯:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘাত এবং কারফিউ জারির কারণে বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। দীর্ঘ ১৪ দিন বন্ধ থাকার পর সীমিত পরিসরে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মোহাম্মদ আনোয়ার বলেন, সকাল থেকেই ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩টি ট্রেন কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে গেছে। সকাল ৭টায় প্রথম ট্রেন ছেড়েছে। পরেরটা ছেড়েছে ৭টা ২০মিনিটে। পরবর্তীতে সকাল ১০টায় ছেড়েছে তৃতীয় ট্রেন। শেষ ট্রেন ছেড়ে যাবে ৩টায়।

শুক্রবার (২ আগস্ট) থেকে ট্রেন চলাচল বাড়বে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আগামীকাল থেকে আস্তে আস্তে ট্রেন চলাচল বাড়বে। কাল কমিউটার ট্রেন চলাচল করবে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনাসহ কয়েকটি শহর থেকে আশপাশের গন্তব্যে কমিউটার ও লোকাল ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে তিতাস কমিউটার, দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার, জামালপুর কমিউটার, তুরাগ কমিউটার, কর্ণফুলী কমিউটার ও নারায়ণগঞ্জ কমিউটার চলাচল করবে। এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে কর্ণফুলী কমিউটার, সাগরিকা কমিউটার ও নাজিরহাট কমিউটার; ময়মনসিংহ থেকে মোহনগঞ্জ এবং ঝারিয়া রুটে দুইদিক থেকেই লোকাল ট্রেন চলাচল করবে।

আর খুলনা-ঈশ্বরদী, রাজশাহী-রহনপুর, খুলনা-বেনাপোল, বেনাপোল-মোংলা, রাজবাড়ী-ভাঙ্গা এবং রাজবাড়ী-ভাটিয়াপাড়া রুটে ১২টি লোকাল ট্রেন চলাচল করবে। তবে আন্তঃনগর যাত্রীবাহী ট্রেন কবে থেকে চলবে সেই সিদ্ধান্ত এখানও হয়নি বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে কর্মকর্তারা।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, তেলবাহী ট্রেন গত (২৫ জুলাই) শুক্রবার থেকেই চলাচল করছে। বুধবার চলাচল করেছে মালবাহী কিছু ট্রেন। ভারত থেকে পাথরবাহী দুটি ট্রেনও এ দিন চলাচল করেছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি সরবরাহের তেলবাহী ট্রেনও চলছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কারফিউ শিথিলের পাঁচ ঘণ্টায় বেশি দূরত্বের আন্তনগর ট্রেন চালানো সম্ভব নয়। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনাসহ অন্যান্য অঞ্চলে ট্রেন যেতেই পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। ফলে কারফিউ শিথিরের সময়ের মধ্যে এই ট্রেনগুলোর ফিরতি যাত্রা সম্ভব নয়। তবে শুক্রবার (২৬ জুলাই) থেকে কিছু আন্তনগর ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি রয়েছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রেল মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে ট্রেন চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানান বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) সরদার সাহাদাত।

সরদার সাহাদাত বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে কারফিউ শিথিলের সময় স্বল্প দূরপাল্লার ট্রেন সীমিত আকারে চলবে। এলাকাগুলো হলো—ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-জয়দেবপুর।

তিনি বলেন, এখনই আন্তঃনগর ট্রেন চলবে না। কারফিউয়ের কারণে আন্তঃনগর সময়মতো চলাচল করতে পারবে না। তবে পরিস্থিতি ঠিক হলে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৮ জুলাই আন্দোলনকারীদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘিরে সৃষ্টি হয় সহিংসতা। রণক্ষেত্রে রূপ নেয় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান। এ সময় জননিরাপত্তার স্বার্থে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখে বাংলাদেশ রেলওয়ে।