Dhaka বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিমান্ডে ইমরান খান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইপ্রধান ইমরান খানের সাজা স্থগিত হলেও অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের মামলার শুনানির জন্য মুক্তি পাচ্ছেন না তিনি। গোপন তারবার্তা বা সাইফার মামলায় ইমরান খানের বিচার বিভাগীয় রিমান্ড আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করেছেন বিশেষ আদালত। ফলে তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় সাজা স্থগিত হলেও ইমরানকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।

বুধবার (৩০ আগস্ট) অ্যাটক জেলা কারাগারে অনুষ্ঠিত শুনানি শেষে এ নির্দেশ দেন বিচারক আবুল হাসনাত জুলকারনাইন। খবর আল জাজিরা ও জিও নিউজ।

শুনানি পরিচালনা করতে কারাগারে এসেছিলেন বিচারক আবুল হাসনাত জুলকারনাইন। তিনি সাইফার মামলায় এই সিদ্ধান্ত জারি করেছেন। কথিত সাইফার (ফাঁস হওয়া রাষ্ট্রীয় গোপন নথি) গত বছর ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে রাজনৈতিক সমাবেশে দেখিয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তিনি সেটি হারিয়ে ফেলেছেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

এদিকে ৫ আগস্ট তোশাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর থেকে তিনি ক্ষমতায় থাকাকালীন প্রাপ্ত উপহারগুলোর হিসাব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।

ইসলামাবাদ হাইকোর্ট এক দিন আগে তাকে ১ লাখ রুপি জরিমানা দিয়ে তিন বছরের কারাদণ্ডের রায় বাতিল করেছে। এই রায় দিয়েছিল নিম্ন আদালত। পাশাপাশি ইমরান খানকে আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতেও বাধা দিয়েছিল।

এখন ইমরান খানের সাজা স্থগিত হওয়ার পরও বিশেষ আদালত অ্যাটক জেলা কারাগারের কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিল যে পিটিআই প্রধানকে জেলবন্দী করে রাখতে। পাকিস্তানের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে ওই অ্যাটক জেলেরই বন্দী অবস্থায় আছেন।

অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে গঠিত ওই বিশেষ আদালত বলেছে, তাকে বিচারিক কারণে জেলবন্দী থাকতে হবে। এছাড়া তাকে কূটনীতিক বার্তা প্রকাশের মামলায় আজ আদালতে হাজির করতে হবে।

সাইফার মামলাটি একটি কূটনীতিক নথির সঙ্গে সম্পর্কিত। জানা গেছে যে ওই কূটনীতিক বার্তাটি হারিয়ে ফেলেছেন ইমরান খান।

তবে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের অভিযোগ, ওই কূটনীতিক বার্তায় ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি রয়েছে। একই মামলায় পিটিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির বিরুদ্ধেও মামলা চলছে।

এক দিন আগে অ্যাটক জেল সুপারকে উদ্দেশ্য করে লেখা একটি চিঠিতে বিশেষ আদালতের বিচারক আবুল হাসনাত মুহম্মদ জুলকারনাইন বলেছেন, ইমরান খানকে কূটনীতিক বার্তা (সাইফার) প্রকাশের মামলায় বিচার বিভাগীয় রিমান্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

গত রাতে পাকিস্তানের আইন মন্ত্রণালয়ের জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি চিঠিতে এ বিচার প্রক্রিয়ায় “নিরাপত্তা উদ্বেগ” জানিয়েছিল। অপরদিকে দেশটির আইন ও বিচার বিভাগ জানিয়েছে, কূটনীতিক বার্তা প্রকাশের মামলায় ইমরানের বিচারে তাদের আপত্তি নেই।

বুধবার (৩০ আগস্ট) শুনানিতে প্রসিকিউটর জুলফিকার নকভি ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ) প্রতিনিধিত্ব করেন এবং পিটিআইয়ের আইনজীবী সালমান সাফদার খানের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন। পিটিআই প্রধানের কৌঁসুলি পরে একটি উন্মুক্ত আদালতে মামলার শুনানির অনুরোধসহ গ্রেপ্তার-পরবর্তী জামিনের আবেদন করেন। সূত্র : ডন।

আবহাওয়া

১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিমান্ডে ইমরান খান

প্রকাশের সময় : ০৪:৫১:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইপ্রধান ইমরান খানের সাজা স্থগিত হলেও অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের মামলার শুনানির জন্য মুক্তি পাচ্ছেন না তিনি। গোপন তারবার্তা বা সাইফার মামলায় ইমরান খানের বিচার বিভাগীয় রিমান্ড আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করেছেন বিশেষ আদালত। ফলে তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় সাজা স্থগিত হলেও ইমরানকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।

বুধবার (৩০ আগস্ট) অ্যাটক জেলা কারাগারে অনুষ্ঠিত শুনানি শেষে এ নির্দেশ দেন বিচারক আবুল হাসনাত জুলকারনাইন। খবর আল জাজিরা ও জিও নিউজ।

শুনানি পরিচালনা করতে কারাগারে এসেছিলেন বিচারক আবুল হাসনাত জুলকারনাইন। তিনি সাইফার মামলায় এই সিদ্ধান্ত জারি করেছেন। কথিত সাইফার (ফাঁস হওয়া রাষ্ট্রীয় গোপন নথি) গত বছর ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে রাজনৈতিক সমাবেশে দেখিয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তিনি সেটি হারিয়ে ফেলেছেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

এদিকে ৫ আগস্ট তোশাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর থেকে তিনি ক্ষমতায় থাকাকালীন প্রাপ্ত উপহারগুলোর হিসাব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।

ইসলামাবাদ হাইকোর্ট এক দিন আগে তাকে ১ লাখ রুপি জরিমানা দিয়ে তিন বছরের কারাদণ্ডের রায় বাতিল করেছে। এই রায় দিয়েছিল নিম্ন আদালত। পাশাপাশি ইমরান খানকে আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতেও বাধা দিয়েছিল।

এখন ইমরান খানের সাজা স্থগিত হওয়ার পরও বিশেষ আদালত অ্যাটক জেলা কারাগারের কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিল যে পিটিআই প্রধানকে জেলবন্দী করে রাখতে। পাকিস্তানের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে ওই অ্যাটক জেলেরই বন্দী অবস্থায় আছেন।

অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে গঠিত ওই বিশেষ আদালত বলেছে, তাকে বিচারিক কারণে জেলবন্দী থাকতে হবে। এছাড়া তাকে কূটনীতিক বার্তা প্রকাশের মামলায় আজ আদালতে হাজির করতে হবে।

সাইফার মামলাটি একটি কূটনীতিক নথির সঙ্গে সম্পর্কিত। জানা গেছে যে ওই কূটনীতিক বার্তাটি হারিয়ে ফেলেছেন ইমরান খান।

তবে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের অভিযোগ, ওই কূটনীতিক বার্তায় ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি রয়েছে। একই মামলায় পিটিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির বিরুদ্ধেও মামলা চলছে।

এক দিন আগে অ্যাটক জেল সুপারকে উদ্দেশ্য করে লেখা একটি চিঠিতে বিশেষ আদালতের বিচারক আবুল হাসনাত মুহম্মদ জুলকারনাইন বলেছেন, ইমরান খানকে কূটনীতিক বার্তা (সাইফার) প্রকাশের মামলায় বিচার বিভাগীয় রিমান্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

গত রাতে পাকিস্তানের আইন মন্ত্রণালয়ের জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি চিঠিতে এ বিচার প্রক্রিয়ায় “নিরাপত্তা উদ্বেগ” জানিয়েছিল। অপরদিকে দেশটির আইন ও বিচার বিভাগ জানিয়েছে, কূটনীতিক বার্তা প্রকাশের মামলায় ইমরানের বিচারে তাদের আপত্তি নেই।

বুধবার (৩০ আগস্ট) শুনানিতে প্রসিকিউটর জুলফিকার নকভি ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ) প্রতিনিধিত্ব করেন এবং পিটিআইয়ের আইনজীবী সালমান সাফদার খানের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন। পিটিআই প্রধানের কৌঁসুলি পরে একটি উন্মুক্ত আদালতে মামলার শুনানির অনুরোধসহ গ্রেপ্তার-পরবর্তী জামিনের আবেদন করেন। সূত্র : ডন।