Dhaka মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৩ বিলিয়ন ডলার জলে গেল : মঈন খান

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৫৫:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩
  • ১৯২ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, আমি জানি এর পেছনে ১৩ বিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়েছে। কিন্তু আমি দুঃখের এবং যথেষ্ট যুক্তি দিয়ে বলছি যে অর্থনীতিবিদরা আমার সঙ্গে তর্ক করতে পারেন যে, এ ১৩ বিলিয়ন ডলার তো জলে গেল।

বৃহস্পতিবার (০৫ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বিএনপি মিডিয়া সেল আয়োজিত ‘পরিবেশ ও মানব বিপর্যয়ের আশঙ্কা উপেক্ষা করে দুর্নীতিগ্রস্ত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ একটি রাষ্ট্রীয় অপরিণামদর্শিতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মঈন খান বলেন, আমি জোর দিয়ে বলছি এই ১৩ বিলিয়ন ডলার যদি জলে না যায় তাহলে তার ফলশ্রুতিতে যে ক্ষতি হবে বা হতে পারে অথবা বাংলাদেশে যে পরিবেশগত বিপর্যয় হতে পারে তার মূল্যমান ১৩ বিলিয়ন ডলার না হয়ে ১৩০ বিলিয়ন ডলার হলেও কিন্তু অবাক হওয়ার কিছু নেই।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা পৃথিবীতে যদি কেবল অর্থ-বিত্ত সম্পদ এগুলোর পেছনে ছুটি, যদি আমরা দেশের দরিদ্র মানুষের যে কোয়ালিটি অব লাইফ, তাদের যে স্বাস্থ্য, তাদের যে নিরাপত্তা সেগুলো যদি ভুলে যাই তাহলে কিন্তু আমরা আমাদের মরার অথরিটি হারিয়ে ফেলব। যেটা আজকের সরকার হারিয়ে ফেলেছে। তাদের এই দেশ পরিচালনার দায়িত্বে থাকার আর কোনো নৈতিক অধিকার নেই। তারা একে একে ভুল করে যাচ্ছে। আর তাদের সর্বশেষ ভুল হচ্ছে এই নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট। আমি বিনীতভাবে এ সরকারকে অনুরোধ করব এই আগুন নিয়ে খেলার পথ থেকে আপনারা সরে আসুন।

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, আমাদের দূরদর্শী হতে হবে। আমাদের আজকের যে আমাদের জ্ঞানবিজ্ঞান, প্রযুক্তির যে আন্ডারস্ট্যান্ডিং, আমাদের যে উপলব্ধি আমাদের যে আজকের গবেষণা তার প্রেক্ষিতে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ষাট বছরের আগের সেই পরিস্থিতি নিয়ে আজকে সিদ্ধান্ত নিলে বাংলাদেশ মারাত্মক ভুল করবে। আজকে রাষ্ট্রের যে সিদ্ধান্ত হয়েছে আমি তাকে এক কথা বলব চরম অপরিণামদর্শী।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমি খোলাখুলি বলতে চাই, আজকে বাংলাদেশে নিউক্লিয়ার পাওয়ার হবে এর সবচেয়ে বড় প্রবক্তা তো আমার হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমি আজকে কেন এর বিরোধিতা করে কথা বলছি? কারণ পরমাণুর যে রিঅ্যাক্ট হয় তার ফলশ্রুতিতে দেশের কোটি কোটি মানুষের স্বাস্থ্যহানি ঘটতে পারে। শুধু তাই নয়; এটা বিশ্বের পরিবেশগত ভারসাম্য ধ্বংস করে দিতে পারে। কিন্তু আজকে ৫০-৬০ বছর আগে মানুষের ছিল না। আজকে সেই জ্ঞান হয়েছে বলেই আমি একজন পরমাণু বিজ্ঞানী হয়েও শক্ত ভাষায় বলছি এই ভয়ংকর, এই পরিবেশ ধ্বংসকারী পথ থেকে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষকে বাঁচাতে হলে আমাদের এই প্রকল্প থেকে সরে আসতে হবে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাংলাদেশের মত জনঘনত্বপূর্ণ একটি দেশের জন্য অপরিণামদর্শীতার একটি জলন্ত উদাহরণ বলে মন্তব্য করে ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ভারতে তামিলনাড়ুর কুদামকুলীনে একই মডেলের ২০০০ মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ব্যয় ৬.৭ বিলিয়ন ডলারে সম্পন্ন হলেও একই কোম্পানির রূপপুর প্রকল্পের ব্যায় দ্বিগুণেরও বেশি কেন? এটি মূলত সরকারের অব্যাহত দুর্নীতির একটি জ্বলন্ত প্রমাণ।

মঈন খান বলেন, কতটা মূল্য দিয়ে আমরা ২৪০০ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র পাচ্ছি, কোন কোন যুক্তির ভিত্তিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হলো, সেটি একটি ব্যপক গবেষণার বিষয়। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প যেন বাংলাদেশের দুঃশাসন ও দুর্নীতির এক জাইগান্টিক মনুমেন্ট। বিগত সময়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের আওতাধীন আবাসন ও বালিশকাণ্ডের অবিশ্বাস্য দুর্নীতিই মূল প্রকল্পে দুর্নীতির ব্যাপকতা প্রমাণ করে।

তিনি বলেন, ১২.৮০ বিলিয়ন ডলারের প্রাক্কলিত এই প্রকল্প নিশ্চিতভাবে ২০ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়াবে। যার ১২ বিলিয়নের উপর রাশিয়ার সাপ্লাই ক্রেডিট। আওয়ামী অর্থনৈতিক দুঃশাসনের অন্যতম মাধ্যম হলো- এই সাপ্লাইয়ার্স ক্রেডিট। কিভাবে এই প্রকল্পে বিপুল ব্যয় নিরূপণ হলো, কোন অর্থনৈতিক সমীক্ষার মাধ্যমে এই ব্যয়ের বাণিজ্যিক কার্যকরীতা নিরুপণ করা হয়েছে সেটা কখনোই জনসম্মুখে আসেনি।

তিনি আরও বলেন, কোন যথার্থ বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা ছাড়াই এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে এখানে দুই ধরনের বিপর্যয় স্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এক, অর্থনৈতিক বিপর্যয়- যার অন্তরালে রয়েছে সীমাহীন দুর্নীতি এবং দুই, হলো ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা। এনার্জি সিকিউরিটির নামে মেগা দুর্নীতির ক্ষেত্র প্রস্তুত করার মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতি এবং জীববৈচিত্র্যকে চূড়ান্ত হুমকির সম্মুখীন করার জন্য, অপরিনামদর্শী শেখ হাসিনার সরকারকে একদিন ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে, বাংলাদেশ কখনো তাকে ক্ষমা করবে না।

বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনের সভাপতিত্বে ও সদস্য শাম্মী আক্তারের সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন— ‘সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশন’র চেয়ারম্যানের ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. লুতফর রহমান, বিএনপির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম প্রমুখ।

আবহাওয়া

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি তরুণীর পা বিচ্ছিন্ন

১৩ বিলিয়ন ডলার জলে গেল : মঈন খান

প্রকাশের সময় : ০৬:৫৫:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, আমি জানি এর পেছনে ১৩ বিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়েছে। কিন্তু আমি দুঃখের এবং যথেষ্ট যুক্তি দিয়ে বলছি যে অর্থনীতিবিদরা আমার সঙ্গে তর্ক করতে পারেন যে, এ ১৩ বিলিয়ন ডলার তো জলে গেল।

বৃহস্পতিবার (০৫ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বিএনপি মিডিয়া সেল আয়োজিত ‘পরিবেশ ও মানব বিপর্যয়ের আশঙ্কা উপেক্ষা করে দুর্নীতিগ্রস্ত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ একটি রাষ্ট্রীয় অপরিণামদর্শিতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মঈন খান বলেন, আমি জোর দিয়ে বলছি এই ১৩ বিলিয়ন ডলার যদি জলে না যায় তাহলে তার ফলশ্রুতিতে যে ক্ষতি হবে বা হতে পারে অথবা বাংলাদেশে যে পরিবেশগত বিপর্যয় হতে পারে তার মূল্যমান ১৩ বিলিয়ন ডলার না হয়ে ১৩০ বিলিয়ন ডলার হলেও কিন্তু অবাক হওয়ার কিছু নেই।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা পৃথিবীতে যদি কেবল অর্থ-বিত্ত সম্পদ এগুলোর পেছনে ছুটি, যদি আমরা দেশের দরিদ্র মানুষের যে কোয়ালিটি অব লাইফ, তাদের যে স্বাস্থ্য, তাদের যে নিরাপত্তা সেগুলো যদি ভুলে যাই তাহলে কিন্তু আমরা আমাদের মরার অথরিটি হারিয়ে ফেলব। যেটা আজকের সরকার হারিয়ে ফেলেছে। তাদের এই দেশ পরিচালনার দায়িত্বে থাকার আর কোনো নৈতিক অধিকার নেই। তারা একে একে ভুল করে যাচ্ছে। আর তাদের সর্বশেষ ভুল হচ্ছে এই নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট। আমি বিনীতভাবে এ সরকারকে অনুরোধ করব এই আগুন নিয়ে খেলার পথ থেকে আপনারা সরে আসুন।

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, আমাদের দূরদর্শী হতে হবে। আমাদের আজকের যে আমাদের জ্ঞানবিজ্ঞান, প্রযুক্তির যে আন্ডারস্ট্যান্ডিং, আমাদের যে উপলব্ধি আমাদের যে আজকের গবেষণা তার প্রেক্ষিতে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ষাট বছরের আগের সেই পরিস্থিতি নিয়ে আজকে সিদ্ধান্ত নিলে বাংলাদেশ মারাত্মক ভুল করবে। আজকে রাষ্ট্রের যে সিদ্ধান্ত হয়েছে আমি তাকে এক কথা বলব চরম অপরিণামদর্শী।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমি খোলাখুলি বলতে চাই, আজকে বাংলাদেশে নিউক্লিয়ার পাওয়ার হবে এর সবচেয়ে বড় প্রবক্তা তো আমার হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমি আজকে কেন এর বিরোধিতা করে কথা বলছি? কারণ পরমাণুর যে রিঅ্যাক্ট হয় তার ফলশ্রুতিতে দেশের কোটি কোটি মানুষের স্বাস্থ্যহানি ঘটতে পারে। শুধু তাই নয়; এটা বিশ্বের পরিবেশগত ভারসাম্য ধ্বংস করে দিতে পারে। কিন্তু আজকে ৫০-৬০ বছর আগে মানুষের ছিল না। আজকে সেই জ্ঞান হয়েছে বলেই আমি একজন পরমাণু বিজ্ঞানী হয়েও শক্ত ভাষায় বলছি এই ভয়ংকর, এই পরিবেশ ধ্বংসকারী পথ থেকে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষকে বাঁচাতে হলে আমাদের এই প্রকল্প থেকে সরে আসতে হবে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাংলাদেশের মত জনঘনত্বপূর্ণ একটি দেশের জন্য অপরিণামদর্শীতার একটি জলন্ত উদাহরণ বলে মন্তব্য করে ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ভারতে তামিলনাড়ুর কুদামকুলীনে একই মডেলের ২০০০ মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ব্যয় ৬.৭ বিলিয়ন ডলারে সম্পন্ন হলেও একই কোম্পানির রূপপুর প্রকল্পের ব্যায় দ্বিগুণেরও বেশি কেন? এটি মূলত সরকারের অব্যাহত দুর্নীতির একটি জ্বলন্ত প্রমাণ।

মঈন খান বলেন, কতটা মূল্য দিয়ে আমরা ২৪০০ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র পাচ্ছি, কোন কোন যুক্তির ভিত্তিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হলো, সেটি একটি ব্যপক গবেষণার বিষয়। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প যেন বাংলাদেশের দুঃশাসন ও দুর্নীতির এক জাইগান্টিক মনুমেন্ট। বিগত সময়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের আওতাধীন আবাসন ও বালিশকাণ্ডের অবিশ্বাস্য দুর্নীতিই মূল প্রকল্পে দুর্নীতির ব্যাপকতা প্রমাণ করে।

তিনি বলেন, ১২.৮০ বিলিয়ন ডলারের প্রাক্কলিত এই প্রকল্প নিশ্চিতভাবে ২০ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়াবে। যার ১২ বিলিয়নের উপর রাশিয়ার সাপ্লাই ক্রেডিট। আওয়ামী অর্থনৈতিক দুঃশাসনের অন্যতম মাধ্যম হলো- এই সাপ্লাইয়ার্স ক্রেডিট। কিভাবে এই প্রকল্পে বিপুল ব্যয় নিরূপণ হলো, কোন অর্থনৈতিক সমীক্ষার মাধ্যমে এই ব্যয়ের বাণিজ্যিক কার্যকরীতা নিরুপণ করা হয়েছে সেটা কখনোই জনসম্মুখে আসেনি।

তিনি আরও বলেন, কোন যথার্থ বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা ছাড়াই এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে এখানে দুই ধরনের বিপর্যয় স্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এক, অর্থনৈতিক বিপর্যয়- যার অন্তরালে রয়েছে সীমাহীন দুর্নীতি এবং দুই, হলো ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা। এনার্জি সিকিউরিটির নামে মেগা দুর্নীতির ক্ষেত্র প্রস্তুত করার মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতি এবং জীববৈচিত্র্যকে চূড়ান্ত হুমকির সম্মুখীন করার জন্য, অপরিনামদর্শী শেখ হাসিনার সরকারকে একদিন ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে, বাংলাদেশ কখনো তাকে ক্ষমা করবে না।

বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনের সভাপতিত্বে ও সদস্য শাম্মী আক্তারের সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন— ‘সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশন’র চেয়ারম্যানের ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. লুতফর রহমান, বিএনপির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম প্রমুখ।