Dhaka বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১১ বছর পর আগে গোপনে বেগম খালেদা জিয়ার চরিত্রে অভিনয় করেছন নিপুণ

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৪:২৬:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪
  • ১৯৩ জন দেখেছেন

বিনোদন ডেস্ক : 

এগারো বছর আগে অনেকটা গোপনেই দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে বায়োপিক সিনেমা নির্মাণ করেছিলেন কিংবদন্তি গীতিকার-প্রযোজক ও পরিচালক গাজী মাজহারুল আনোয়ার। যেটির শিরোনাম ‘আপসহীন’। আর এ সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন ব্যক্তিজীবনে আওয়ামী লীগের সমর্থক চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার।

জানা যায়, চলচ্চিত্রটি আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বায়োপিক। এক দশক আগেই, অর্থাৎ ২০১৩ সালে গোপনে এর শুটিং সম্পন্ন হয়েছিল। তখন প্রধান বিরোধীদল ছিল বিএনপি। তবে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমাগত অস্থিরতার দিকে ধাবিত হলে সিনেমাটির বিষয়ে গোপন রাখা হয়। এবার ১১ বছর পর তা আলোর মুখ দেখতে চলেছে।

এই সিনেমাটি নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল দুই বছর আগে প্রয়াত হওয়া গাজী মাজহারুল আনোয়ারের, এমনটাই জানালেন তার ছেলে সরফরাজ আনোয়ার উপল। বাবার সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে ছবিটি শিগগিরই মুক্তি দিতে চান তিনি।

গণমাধ্যমে উপল বললেন, আমরা পারিবারিকভাবেও উদ্যোগ নিয়েছি বাবার সব সৃষ্টি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে। বাবার নির্মিত শেষ চলচ্চিত্র এটি। দর্শক দেখলে বাবার আত্মা শান্তি পাবে। এটা শুধু যে একটা চলচ্চিত্র তা কিন্তু নয়, একই সঙ্গে সফল রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার বায়োপিক। দেখলে দর্শক জানতে পারবে দেশের প্রতি তাদের ভালোবাসা, ত্যাগ ও মহিমার কথা।

সিনেমাটিতে বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন হেলাল খান। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে শেষ হয়েছিল এর দৃশ্যধারণের কাজ। তখন দ্রুত পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ সম্পন্ন করে সেন্সরে জমা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত নিচ্ছিলেন অভিনেতা। এমন সময়েই গ্রেপ্তার হন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) এই কর্মী। তিনি সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাস’র নেতা।

পরিকল্পনা ছিল, ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের (৫ জানুয়ারি) আগে ছবিটি সারাদেশে মুক্তি দেবেন। কিন্তু হেলাল খান জেলে থাকায় গাজী মাজহারুল আনোয়ার সিনেমাটি মুক্তির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।

এদিকে, ব্যক্তিজীবনে আওয়ামী লীগের সমর্থক নিপুণ আক্তার। ছবিটিতে যুক্ত হওয়ার নেপথ্যের ঘটনা জানিয়ে গণমাধ্যমে তিনি বলেন, “একদিন গাজী মাজহারুল আনোয়ার আঙ্কেল আমার বাসায় আসেন। ছবিটির কথা জানালেন। তখন শাহ আলম কিরণ ভাইয়ের ‘৭১-এর মা জননী’ ছবির শুটিং চলছে। আমাকে আঙ্কেল বললেন, চলচ্চিত্রটি ম্যাডাম খালেদা জিয়ার জীবনী নিয়ে। আমাকে তাঁর চরিত্রেই রূপদান করতে হবে। জানতে চাইলেন, আমার আপত্তি আছে কিনা? জানালাম, অভিনেত্রী হিসেবে ম্যাডামের চরিত্রে অবশ্যই অভিনয় করা উচিত। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তখন বিরোধীদলীয় নেত্রী হিসেবে রাজপথে সরব। আমি রাজি হওয়ায় আঙ্কেল খুব খুশি হলেন। জানালেন, আমার আগে জয়া আহসান ও নুসরাত ইমরোজ তিশার কথা উঠেছিল। তবে গাজী আঙ্কেলই হেলাল ভাইকে বলেছিলেন, নিপুণ হলে ম্যাডামের চেহারার সঙ্গে দারুণ মিলবে।’’

তবে সিনেমাটি মুক্তির আগে অবশ্যই বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে একবার দেখা করতে চান হেলাল খান। তিনি বললেন, ‘ম্যাডাম অসুস্থ। এই মুহূর্তে এটা নিয়ে কথা বলাটা ঠিক হবে না। তিনি সুস্থ হলেই ছবিটি নিয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করব। তিনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই হবে।’

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

১১ বছর পর আগে গোপনে বেগম খালেদা জিয়ার চরিত্রে অভিনয় করেছন নিপুণ

প্রকাশের সময় : ০৪:২৬:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

বিনোদন ডেস্ক : 

এগারো বছর আগে অনেকটা গোপনেই দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে বায়োপিক সিনেমা নির্মাণ করেছিলেন কিংবদন্তি গীতিকার-প্রযোজক ও পরিচালক গাজী মাজহারুল আনোয়ার। যেটির শিরোনাম ‘আপসহীন’। আর এ সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন ব্যক্তিজীবনে আওয়ামী লীগের সমর্থক চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার।

জানা যায়, চলচ্চিত্রটি আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বায়োপিক। এক দশক আগেই, অর্থাৎ ২০১৩ সালে গোপনে এর শুটিং সম্পন্ন হয়েছিল। তখন প্রধান বিরোধীদল ছিল বিএনপি। তবে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমাগত অস্থিরতার দিকে ধাবিত হলে সিনেমাটির বিষয়ে গোপন রাখা হয়। এবার ১১ বছর পর তা আলোর মুখ দেখতে চলেছে।

এই সিনেমাটি নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল দুই বছর আগে প্রয়াত হওয়া গাজী মাজহারুল আনোয়ারের, এমনটাই জানালেন তার ছেলে সরফরাজ আনোয়ার উপল। বাবার সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে ছবিটি শিগগিরই মুক্তি দিতে চান তিনি।

গণমাধ্যমে উপল বললেন, আমরা পারিবারিকভাবেও উদ্যোগ নিয়েছি বাবার সব সৃষ্টি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে। বাবার নির্মিত শেষ চলচ্চিত্র এটি। দর্শক দেখলে বাবার আত্মা শান্তি পাবে। এটা শুধু যে একটা চলচ্চিত্র তা কিন্তু নয়, একই সঙ্গে সফল রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার বায়োপিক। দেখলে দর্শক জানতে পারবে দেশের প্রতি তাদের ভালোবাসা, ত্যাগ ও মহিমার কথা।

সিনেমাটিতে বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন হেলাল খান। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে শেষ হয়েছিল এর দৃশ্যধারণের কাজ। তখন দ্রুত পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ সম্পন্ন করে সেন্সরে জমা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত নিচ্ছিলেন অভিনেতা। এমন সময়েই গ্রেপ্তার হন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) এই কর্মী। তিনি সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাস’র নেতা।

পরিকল্পনা ছিল, ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের (৫ জানুয়ারি) আগে ছবিটি সারাদেশে মুক্তি দেবেন। কিন্তু হেলাল খান জেলে থাকায় গাজী মাজহারুল আনোয়ার সিনেমাটি মুক্তির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।

এদিকে, ব্যক্তিজীবনে আওয়ামী লীগের সমর্থক নিপুণ আক্তার। ছবিটিতে যুক্ত হওয়ার নেপথ্যের ঘটনা জানিয়ে গণমাধ্যমে তিনি বলেন, “একদিন গাজী মাজহারুল আনোয়ার আঙ্কেল আমার বাসায় আসেন। ছবিটির কথা জানালেন। তখন শাহ আলম কিরণ ভাইয়ের ‘৭১-এর মা জননী’ ছবির শুটিং চলছে। আমাকে আঙ্কেল বললেন, চলচ্চিত্রটি ম্যাডাম খালেদা জিয়ার জীবনী নিয়ে। আমাকে তাঁর চরিত্রেই রূপদান করতে হবে। জানতে চাইলেন, আমার আপত্তি আছে কিনা? জানালাম, অভিনেত্রী হিসেবে ম্যাডামের চরিত্রে অবশ্যই অভিনয় করা উচিত। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তখন বিরোধীদলীয় নেত্রী হিসেবে রাজপথে সরব। আমি রাজি হওয়ায় আঙ্কেল খুব খুশি হলেন। জানালেন, আমার আগে জয়া আহসান ও নুসরাত ইমরোজ তিশার কথা উঠেছিল। তবে গাজী আঙ্কেলই হেলাল ভাইকে বলেছিলেন, নিপুণ হলে ম্যাডামের চেহারার সঙ্গে দারুণ মিলবে।’’

তবে সিনেমাটি মুক্তির আগে অবশ্যই বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে একবার দেখা করতে চান হেলাল খান। তিনি বললেন, ‘ম্যাডাম অসুস্থ। এই মুহূর্তে এটা নিয়ে কথা বলাটা ঠিক হবে না। তিনি সুস্থ হলেই ছবিটি নিয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করব। তিনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই হবে।’