Dhaka শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১১ বছরে দেশে সড়কে প্রাণহানি ৮৬ হাজার : যাত্রী কল্যাণ সমিতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গত ১১ বছরে দেশে ৬২ হাজার ৬১৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৮৬ হাজার ৬৯০ জন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৫৩ হাজার ২৫৭ জন। এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ ও যানজট নিরসনের কার্যকর কৌশল অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘যাত্রী অধিকার দিবস’ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় এসব তথ্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

আলোচনা সভায় মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সড়কে প্রাণহানি এখন এক ভয়াবহ বাস্তবতা। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য গণপরিবহন খাতে উন্নয়ন ও সংস্কার জরুরি। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে শুধুমাত্র রাজধানী ঢাকাতেই যানজটের কারণে প্রতিদিন ৩২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। বছরে এ ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৯৮ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া জ্বালানি অপচয়ে ক্ষতি হচ্ছে আরও ১১ হাজার কোটি টাকার।

যানজট নিয়ে বিশ্বব্যাংকের হিসাব উল্লেখ করে যাত্রী কল্যাণের মহাসচিব বলেন, অসহনীয় যানজটে প্রতিদিন কেবল রাজধানীতে ৩২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। যার আর্থিক ক্ষতি ৯৮ হাজার কোটি টাকা। জ্বালানি অপচয় প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকার। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘ যানজটে সময় ও আর্থিক ক্ষতি হিসাবে আসলেও শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যগত ক্ষতি কয়েকগুণ বেশি। দীর্ঘক্ষণ যানজটে পড়ে নাগরিকদের মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে ও উদ্বেগ বাড়ছে।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এখন আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। উচ্চ রক্তচাপ, ফুসফুসে ক্যানসার, শ্বাসকষ্ট, কিডনি, হৃদ্‌যন্ত্র ও প্রজননতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রাজধানীতে যানজটের তীব্রতা দিন দিন প্রকট হচ্ছে। মারাত্মকভাবে শব্দ ও বায়ুদূষণও হচ্ছে। এতে যাত্রীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। নিয়মিত যানজটের বিরক্তি থেকে মানুষের সংসার ভাঙার ঝুঁকি বাড়ে ৫০ শতাংশ। শিশুদের বুদ্ধিমত্তা বিকাশ এবং স্নায়বিক ক্ষতির অন্যতম কারণও অতিরিক্ত যানজট বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বর্তমানে টিনএজদের বিপদগামিতা যানজট ও বেকারত্বের কারণ বলে মনে করেন অনেকেই।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির সভাপতি বলেন, ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইন যাত্রী ও নাগরিক সমাজের মতামত উপেক্ষা করে প্রণীত হওয়ায় কার্যকর সমাধান দিতে ব্যর্থ হয়েছে। উন্নত গণপরিবহন না থাকায় মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, অটোরিকশার মতো ছোট যানবাহন প্রধান পরিবহনে পরিণত হয়েছে। আর প্রাইভেট পরিবহনের ওপর নির্ভরশীল মানুষের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ শতাংশে।

তিনি অভিযোগ করেন, বিগত সরকারের দুর্নীতি ও ভুল নীতির কারণে যানজট আজ নগর থেকে গ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত। অথচ অন্তর্বর্তী সরকারও এখনো কোনো কার্যকর সংস্কারমূলক উদ্যোগ নেয়নি।

পরিবহনখাতে বিগত সরকারের দুর্নীতি ও ভুলনীতির ফলে যানজট এখন নগর-বন্দর পেরিয়ে গ্রামগঞ্জেও সম্প্রসারিত হয়েছে জানিয়ে মহাসচিব বলেন, হাজারো ছাত্র-জনতার প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার সড়কখাত সংস্কারে কোনো কার্যক্রম নেয়নি। এমন পরিস্থিতিতে সড়কে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি বন্ধ ও যানজটের ভোগান্তি লাঘবের কৌশল রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান তিনি।

সড়ক দুর্ঘটনার চিত্র তুলে ধরে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, গত এক দশকের বেশি সময়ে সড়ক দুর্ঘটনা, যানজট ও দূষণে দেশের অর্থনীতি, স্বাস্থ্য ও সামাজিক কাঠামো মারাত্মক ক্ষতির শিকার হয়েছে। কিন্তু কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। পরিবহন খাতে দুর্নীতি ও ভুল নীতির কারণে পরিস্থিতি আরও প্রকট হয়েছে।

স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, দীর্ঘ যানজট শুধু সময় ও অর্থনৈতিক ক্ষতিই করছে না; নাগরিকদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতাও বিপন্ন করছে। এতে উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, হৃদ্রোগ, ক্যানসারসহ নানা রোগ বাড়ছে। একই সঙ্গে উদ্বেগ, খিটখিটে মেজাজ ও পারিবারিক অশান্তি দেখা দিচ্ছে। শিশুদের বুদ্ধির বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে এবং টিনএজদের বিপথগামিতার অন্যতম কারণও যানজট ও বেকারত্ব।

দেশের অধিকাংশ চালকের লাইসেন্স নেই জানিয়ে আলোচনা সভায় যাত্রী কল্যাণ সমিতির সভাপতি শরিফ রফিকুজ্জামান বলেন, লাইসেন্সহীন ও মাদকাসক্ত চালকেরা যাতে গাড়ি চালাতে না পারেন, সে বিষয়ে সরকারকে কঠোর হতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলো সোজা করে সড়ক সংস্কার না করলে দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে না।

রফিকুজ্জামান আরও বলেন, বাসভাড়ার সঙ্গে যাত্রীদের কাছ থেকে ইনস্যুরেন্সের টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীরা কোনো দিন এই সুবিধা পান না। ক্ষতিগ্রস্তদের পাওনা আদায়ে যাত্রীসাধারণকে আরও সচেতন হতে হবে।

গণ অধিকারের মুখপাত্র ফারুক খান বলেন, তাঁরা চান, যাত্রী কল্যাণ সমিতি শক্তিশালী হয়ে সব সিদ্ধান্ত প্রণয়নে অংশগ্রহণ করবে, যাতে তাদের দাবি বাস্তবায়িত হয়। কোনো দল বা সরকারের বিরুদ্ধে নয়, জনগণের পক্ষের কথা তাঁরা বলতে চান। তাঁদের লক্ষ্য হলো, যাত্রীদের অধিকার সুরক্ষিত রাখা, সৎ ও ন্যায়সংগতভাবে দাবি পূরণ করা।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন এবি পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক মেজর (অব.) আবদুল ওহাব মিনার, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দীপক রয়, যাত্রীকল্যাণ সমিতির অর্থ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, কোনো সন্দেহ নেই : নৌ উপদেষ্টা

১১ বছরে দেশে সড়কে প্রাণহানি ৮৬ হাজার : যাত্রী কল্যাণ সমিতি

প্রকাশের সময় : ০৩:১৫:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গত ১১ বছরে দেশে ৬২ হাজার ৬১৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৮৬ হাজার ৬৯০ জন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৫৩ হাজার ২৫৭ জন। এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ ও যানজট নিরসনের কার্যকর কৌশল অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘যাত্রী অধিকার দিবস’ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় এসব তথ্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

আলোচনা সভায় মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সড়কে প্রাণহানি এখন এক ভয়াবহ বাস্তবতা। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য গণপরিবহন খাতে উন্নয়ন ও সংস্কার জরুরি। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে শুধুমাত্র রাজধানী ঢাকাতেই যানজটের কারণে প্রতিদিন ৩২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। বছরে এ ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৯৮ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া জ্বালানি অপচয়ে ক্ষতি হচ্ছে আরও ১১ হাজার কোটি টাকার।

যানজট নিয়ে বিশ্বব্যাংকের হিসাব উল্লেখ করে যাত্রী কল্যাণের মহাসচিব বলেন, অসহনীয় যানজটে প্রতিদিন কেবল রাজধানীতে ৩২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। যার আর্থিক ক্ষতি ৯৮ হাজার কোটি টাকা। জ্বালানি অপচয় প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকার। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘ যানজটে সময় ও আর্থিক ক্ষতি হিসাবে আসলেও শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যগত ক্ষতি কয়েকগুণ বেশি। দীর্ঘক্ষণ যানজটে পড়ে নাগরিকদের মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে ও উদ্বেগ বাড়ছে।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এখন আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। উচ্চ রক্তচাপ, ফুসফুসে ক্যানসার, শ্বাসকষ্ট, কিডনি, হৃদ্‌যন্ত্র ও প্রজননতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রাজধানীতে যানজটের তীব্রতা দিন দিন প্রকট হচ্ছে। মারাত্মকভাবে শব্দ ও বায়ুদূষণও হচ্ছে। এতে যাত্রীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। নিয়মিত যানজটের বিরক্তি থেকে মানুষের সংসার ভাঙার ঝুঁকি বাড়ে ৫০ শতাংশ। শিশুদের বুদ্ধিমত্তা বিকাশ এবং স্নায়বিক ক্ষতির অন্যতম কারণও অতিরিক্ত যানজট বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বর্তমানে টিনএজদের বিপদগামিতা যানজট ও বেকারত্বের কারণ বলে মনে করেন অনেকেই।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির সভাপতি বলেন, ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইন যাত্রী ও নাগরিক সমাজের মতামত উপেক্ষা করে প্রণীত হওয়ায় কার্যকর সমাধান দিতে ব্যর্থ হয়েছে। উন্নত গণপরিবহন না থাকায় মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, অটোরিকশার মতো ছোট যানবাহন প্রধান পরিবহনে পরিণত হয়েছে। আর প্রাইভেট পরিবহনের ওপর নির্ভরশীল মানুষের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ শতাংশে।

তিনি অভিযোগ করেন, বিগত সরকারের দুর্নীতি ও ভুল নীতির কারণে যানজট আজ নগর থেকে গ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত। অথচ অন্তর্বর্তী সরকারও এখনো কোনো কার্যকর সংস্কারমূলক উদ্যোগ নেয়নি।

পরিবহনখাতে বিগত সরকারের দুর্নীতি ও ভুলনীতির ফলে যানজট এখন নগর-বন্দর পেরিয়ে গ্রামগঞ্জেও সম্প্রসারিত হয়েছে জানিয়ে মহাসচিব বলেন, হাজারো ছাত্র-জনতার প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার সড়কখাত সংস্কারে কোনো কার্যক্রম নেয়নি। এমন পরিস্থিতিতে সড়কে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি বন্ধ ও যানজটের ভোগান্তি লাঘবের কৌশল রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান তিনি।

সড়ক দুর্ঘটনার চিত্র তুলে ধরে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, গত এক দশকের বেশি সময়ে সড়ক দুর্ঘটনা, যানজট ও দূষণে দেশের অর্থনীতি, স্বাস্থ্য ও সামাজিক কাঠামো মারাত্মক ক্ষতির শিকার হয়েছে। কিন্তু কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। পরিবহন খাতে দুর্নীতি ও ভুল নীতির কারণে পরিস্থিতি আরও প্রকট হয়েছে।

স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, দীর্ঘ যানজট শুধু সময় ও অর্থনৈতিক ক্ষতিই করছে না; নাগরিকদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতাও বিপন্ন করছে। এতে উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, হৃদ্রোগ, ক্যানসারসহ নানা রোগ বাড়ছে। একই সঙ্গে উদ্বেগ, খিটখিটে মেজাজ ও পারিবারিক অশান্তি দেখা দিচ্ছে। শিশুদের বুদ্ধির বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে এবং টিনএজদের বিপথগামিতার অন্যতম কারণও যানজট ও বেকারত্ব।

দেশের অধিকাংশ চালকের লাইসেন্স নেই জানিয়ে আলোচনা সভায় যাত্রী কল্যাণ সমিতির সভাপতি শরিফ রফিকুজ্জামান বলেন, লাইসেন্সহীন ও মাদকাসক্ত চালকেরা যাতে গাড়ি চালাতে না পারেন, সে বিষয়ে সরকারকে কঠোর হতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলো সোজা করে সড়ক সংস্কার না করলে দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে না।

রফিকুজ্জামান আরও বলেন, বাসভাড়ার সঙ্গে যাত্রীদের কাছ থেকে ইনস্যুরেন্সের টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীরা কোনো দিন এই সুবিধা পান না। ক্ষতিগ্রস্তদের পাওনা আদায়ে যাত্রীসাধারণকে আরও সচেতন হতে হবে।

গণ অধিকারের মুখপাত্র ফারুক খান বলেন, তাঁরা চান, যাত্রী কল্যাণ সমিতি শক্তিশালী হয়ে সব সিদ্ধান্ত প্রণয়নে অংশগ্রহণ করবে, যাতে তাদের দাবি বাস্তবায়িত হয়। কোনো দল বা সরকারের বিরুদ্ধে নয়, জনগণের পক্ষের কথা তাঁরা বলতে চান। তাঁদের লক্ষ্য হলো, যাত্রীদের অধিকার সুরক্ষিত রাখা, সৎ ও ন্যায়সংগতভাবে দাবি পূরণ করা।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন এবি পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক মেজর (অব.) আবদুল ওহাব মিনার, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দীপক রয়, যাত্রীকল্যাণ সমিতির অর্থ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।